আজ পবিত্র হজ

হজ ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম একটি। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম ব্যক্তির জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ ইবাদত। ১৪৪১ হিজরির ৯ জিলহজ মুসলিম উম্মাহকে হজ পালনে ঐতিহাসিক এ ময়দানে উপস্থিত হতে হয়। 

হাদিসের ভাষায়- আল-হাজ্জু আরাফাহ অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়াই হজ। আর প্রতি বছর হিজরি সনের শেষ মাস অর্থাৎ জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফার ময়দানে উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে হজ পালন করা হয়।

প্রতি বছর সারা বিশ্বের প্রায় ২৫ লাখ লোক হজে অংশগ্রহণ করতো। এবার আরাফাত ময়দানে ভিন্ন এক পরিবেশ। বৈশ্বিক মহামারি নভেল কনাভাইরাসের (কভিড-১৯) কারণে এবার সৌদি আরবসহ দেশটিতে বসবাসকারী বিশ্বের ১৬০ দেশের ১০ হাজার লোক পবিত্র নগরী মক্কার ঐতিহাসিক জাবালে রহমতের পাদদেশে আরাফার ময়দানে হজ পালনে জমায়েত হবেন। ৯ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে আরাফার ময়দানে উপস্থিত না হলে হজই হবে না।

হজ ও ওমরাহ কর্তৃপক্ষ করোনার মধ্যে হজ পালনকারীদের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সেবার সর্বোচ্চ ব্যবস্থাও নিশ্চিত করেছে। আরাফাতের ময়দানে প্রচণ্ড গরম মোকাবেলায় নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে অভিজ্ঞ স্বেচ্ছাসেবক ও স্বাস্থ্য সেবকদল। 

আজ ৯ জিলহজ (বৃহস্পতিবার) সূর্যোদয়ের পর থেকে জাবালে রহমত থেকে শুরু করে মসজিদে নামিরাসহ আরাফার ময়দানের চিহ্নিত সীমানার মধ্যে যেকোনো সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে হজ সম্পন্ন করবে মুমিন মুসলমান।

৯২ বছরের প্রবীণ শায়খ ড. আব্দুল্লাহ ইবনে সুলাইমান আল-মানিয়া এবার হজের খুতবা দেবেন। হজের খুতবা দেয়া ইমাম ও খতিবদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি বয়স্ক ব্যক্তি। হজের দিন মসজিদে নামিরায় মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শায়খ ইমাদ বিন আলি ইসমাইল। তিনি মসজিদের হারামের নিয়মিত মুয়াজ্জিন।

আজ তালবিয়া ও তাকবিরের ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফার ময়দান। হজে অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ব মুসলিমের কল্যাণ কামনাসহ মহামারি করোনা থেকে মুক্তি চাইবে। 

মহান আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সকল গোনাহ মাফ করুন। হজে অংশগ্রহণকারীদের হজে মাবরূর দান করুন। পৃথিবীর মানুষদের করোনা মহামারিসহ যাবতীয় দুর্যোগ থেকে মুক্তি দিন। আমিন।