অপসংস্কৃতি ছড়াচ্ছে টিকটক

বর্তমান সময়ের তরুণ-তরুণীদের কাছে সবচেয়ে আলোচিত অ্যাপের নাম টিকটক। অ্যাপটি দিয়ে ভিডিও তৈরি ও শেয়ার করা যায়। তাই তরুণ প্রজন্ম মেতেছে ভিডিও অ্যাপস টিকটকে। নানা গানের, সংলাপের সাথে তাল মেলাচ্ছেন তারা। টিকটক ভিডিও থেকে বাদ যাচ্ছেনা ইসলামিক ওয়াজও। বাংলা ওয়াজের মজার অংশ উঠে আসছে টিকটকের ভিডিওতে।

টিকটকের এসব ভিডিও সমাজে অপসংস্কৃতি ছড়াচ্ছে। অল্প বয়সের ছেলে-মেয়েরা টিকটকে আসক্ত হয়ে পড়ছেন। এবং সারাদিন মোবাইলের দিকে তাক করেই বসে রয়েছেন।

বর্তমান সমাজে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার সাথে টিকটকের বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পরছে। বিশেষত আঞ্চলিক ভাষায় এর প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ।

চীনা অ্যাপ টিকটিক বেশকিছু দিন আগে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিল। তাদের প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে অনেক অশালীন কুরুচিপূর্ণ ভিডিও শেয়ার বা তৈরি করা হলেও তারা সেসব নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করেনি। কিন্তু শুধু টিকটিকই না বেশ কিছু কম জনপ্রিয় অ্যাপ এই একই উপায়ে বিপুল অর্থউপার্জন করছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ অ্যাপ ফ্রিতে ডাউনলোড করা যায়। কিন্তু কোন বিশেষ ফিচার ব্যবহার করতে হলে তা একটি নির্দিষ্ট মূল্যে কিনতে হয়ে অ্যাপটি থেকে।

হট বিগো প্লে স্টোরে থাকা এরকমই একটি অ্যাপ, প্রায় ১০০০০০ বার ডাউনলোড করা হয়েছে এই অ্যাপটিকে। এই লাইভ স্ট্রিমিং অ্যাপটির থাম্বনেইল এ এশিয়ার মেয়েদের বিভিন্ন অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ছবি দিয়ে লেখা থাকে, এ কালেকশন অফ বিগো স্ট্রিমিং ভিডিওস, লাইভ হট।

ভিগো ভিডিও নামের অন্য একটি অ্যাপ প্রায় এক মিলিয়ন বার ডাউনলোড হয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে ইউজাররা, অন্য ভিডিও মেকারদের ফলো করতে পারবে, তাদের সাথে কথা বলতে পারবে, প্রাইভেট মেসেজ পাঠাতে পারবে, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যোগ করে ভিডিও শুট ও তা সোশ্যাল মিডিয়ার শেয়ার করতে পারবে।

এই সব অ্যাপ এখনো খুব বেশি সংখ্যক মানুষ ব্যবহার না করলেও, এর মাধ্যমে তৈরি ভিডিও ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামে অনেকেই দেখেছে এবং তা শেয়ার করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কমবয়সীরা খুব কম দিনেই এই ধরনের অ্যাপের নেশায় পরে যায় ফলে নিয়মিত তারা যদি কোন ভাবে এইসব অশালীন ভয়ংকর ভিডিও দেখে বা কোনভাবে তা যদি শেয়ার করে তাহলে তারা সাইবার ক্রাইমের আওতায় আসবে।

মূলত কোন মানুষ এইসব কনটেন্টগুলো মডারেট করেনা ফলে, অ্যাপের প্রোগ্রামিং এর দ্বারা এইসব ভিডিওগুলো অনিয়ন্ত্রিত থেকে যায়। মানুষ হিসাবে আমাদের নিজেদের সচেতন হওয়া উচিত এই ধরনের অ্যাপের ভিডিও শেয়ার করার ক্ষেত্রে যা আমাদের সমাজ জীবন ও ব্যক্তি জীবন ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলছে।

ভাইরাল হওয়া মজার মজার নাচ ও ঠোঁট মেলানো হাস্যকৌতুকের ভিডিও তৈরি ও শেয়ার হয় এই টিকটক অ্যাপে। অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদর কাছে এই অ্যাপ খুবই জনপ্রিয়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীর চাহিদা মতো যে কোন কিছুর সাথে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করে তা শেয়ার করা যায়।

আবার এর সাহায্যে নিজের পছন্দের গানের সাথে নাচ বা নানা ধরনের কমেডিও তৈরি করা সম্ভব। স্টিকার, ফিল্টার ও অগম্যান্টেড রিয়েলিটিও ব্যবহার করা যায় এসব ভিডিওতে। ফ্রি এই অ্যাপটিকে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ইউটিউবের ছোটখাটো সংস্করণ বলা চলে।

টিকটক ব্যবহারকারিরা এখানে এক মিনিট লম্বা ভিডিও পোস্ট করতে পারেন এবং এখানকার বিশাল তথ্যভাণ্ডার থেকে গান ‍ও ফিল্টার বাছাই করতে পারেন।

টিকটক দিয়ে অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েরা পরিচিত ফিল্মী ডায়লগ বা গানের সঙ্গে নিজেরা অভিনয় করে মজার মজার ভিডিও তৈরি করে থাকে। একজন ব্যবহারকারীর যখন এক হাজারের বেশি ফলোয়ার হয় তখন তিনি তার ভক্তদের জন্য লাইভে আসতে পারেন। শুধু তাই নয়, এখানে তিনি ডিজিটাল উপহারও গ্রহণ করতে পারেন যা অর্থের সাথেও বিনিময় করা যায়।

একজন ব্যবহারকারী যাকে অনুসরণ করেন তিনি তার ভিডিও দেখতে পারেন। এছাড়াও তিনি আগে যেসব বিষয়ে ভিডিও দেখেছেন তার ওপর ভিত্তি করেও তিনি নতুন নতুন ভিডিও দেখতে পারেন। ব্যবহারকারীরা নিজেদের মধ্যেও ব্যক্তিগত বার্তা আদান প্রদান করতে পারেন এই অ্যাপের মাধ্যমে।

যারা কিছুটা অভিনয় করেন বা কমেডি করতে পারেন, তাদের নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরার জন্য এই টিকটক একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উঠে এসেছে।

তরুণদের কাছে টিকটকের জনপ্রিয়তার পেছনে কারণগুলো হচ্ছে- এসব ভিডিও আকারে ছোট, ব্যবহার করা সহজ, সবসময় এতে যুক্ত হয় নতুন নতুন ফিচার, ভিডিওতে নিজের কণ্ঠ মেলানো যাকে বলা হয় লিপ সিঙ্ক, ভিডিওতে অন্যের কণ্ঠ ব্যবহার।

২০১৯ সালের শুরু থেকেই ডাউনলোড চার্টের শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান করছে টিকটক। গত বছর ইন্সটাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ ডাউনলোডকারী অ্যাপে পরিণত হয় এটি। এই কোম্পানির মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৫ বিলিয়ন ডলার যা রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবারের চেয়েও বেশি।

করোনাভাইরাস সঙ্কটের সময় টিকটকের জনপ্রিয়তা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। লকডাউনের কারণে ঘরবন্দী মানুষের তীব্র আগ্রহ তৈরি হয় এই অ্যাপের প্রতি। বলা হচ্ছে, টিকটক ও তার সহযোগী অ্যাপ দোইনের মোট ব্যবহারকারির সংখ্যা প্রায় ৮০ কোটি। দোইন অ্যাপটি শুধু চীনেই ব্যবহার করা যায়।

জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভারতে টিকটক নিষিদ্ধ করার আগে এটি সেখানে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। সেদেশে দশ কোটিরও বেশি মানুষ ইতোমধ্যে টিকটক ডাউনলোড করেছে।

২০১৮ সালে আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপ ছিলো এই টিকটক। ইকোনমিক টাইমস পত্রিকা লিখছে, প্রতিমাসে গড়ে প্রায় দুই কোটি মানুষ টিকটক ব্যবহার করছে।

টিকটকের যাত্রা শুরু হয়েছিল ভিন্ন ভিন্ন তিনটি অ্যাপ হিসেবে। প্রথমটি ছিলো মার্কিন একটি অ্যাপ যার নাম মিউজিক্যাল ডট লি। এটি শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে।

প্রযুক্তি বিষয়ক চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স ২০১৬ সালে একই ধরনের একটি অ্যাপ চালু করে যার নাম দোইন। পরে বাইটড্যান্স টিকটক নাম নিয়ে সারা বিশ্বে তার প্রসার ঘটাতে শুরু করে এবং ২০১৮ সালে মিউজিক্যাল ডট লিকে কিনে নিয়ে তাকেও টিকটকের সাথে একীভূত করে ফেলে।

বাইটড্যান্স তার অ্যাপগুলোকে চীনা মালিকানা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে। এরই অংশ হিসেবে ডিজনির শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা কেভিন মায়ারকে টিকটকের প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিযুক্ত করেছে।

একজন ব্যবহারকারী যখন টিকটক ব্যবহার করেন তখন তার প্রচুর ডাটা খরচ হয়। ডাটার এই খরচ যেসব বিষয়ের ওপর নির্ভর করে- কোন ভিডিও দেখা হচ্ছে এবং মন্তব্য করা হচ্ছে, ব্যবহারকারীর লোকেশন বা অবস্থানের ডাটা, ফোনের মডেল এবং কোন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে, লোকজন যখন টাইপ করে তখন তার কীস্ট্রোক রিদম কেমন অর্থাৎ ব্যবহারকারীর টাইপ করার ধরন।

অ্যাপটির কিছু কিছু ডাটা খরচের ধরন দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। খুব সম্প্রতি জানা গেছে এটি ব্যবহারকারীর কপি ও পেস্ট নিয়মিত মনে রাখে। রেডিট, লিঙ্কডিনসহ আরো বহু অ্যাপেও এরকমটা হয়ে থাকে।

টিকটকের এই ডাটা খরচকে তুলনা করা যেতে পারে ফেসবুকের মতো সোশাল নেটওয়ার্কের সাথে। এই অ্যাপটিও প্রচুর ডাটা খরচ করে থাকে। টিকটক কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে বহু প্রশ্ন আছে। ডাটা সংরক্ষণ থেকে শুরু করে এর এলগরিদম নিয়েও রয়েছে অনেক রহস্য।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও অভিযোগ করেছেন যে যারা টিকটক ব্যবহার করেন শেষ পর্যন্ত তাদের সব তথ্য চীনের কমিউনিস্ট পার্টির হাতে গিয়ে পড়তে পারে। কিন্তু টিকটক কর্তৃপক্ষ সবসময় বলে আসছে, ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তারা যেসব তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো চীনের বাইরে সংরক্ষণ করা হয়।

তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডাটা যুক্তরাষ্ট্রেই সংরক্ষণ করা হয়। তার ব্যাকআপ রাখা হয় সিঙ্গাপুরে। ইউরোপের গোপনীয়তা সংক্রান্ত ইউনিটও সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় টিকটকের নীতি নির্ধারণ বিষয়ক প্রধান থিও বেরট্রাম বলেছেন, ব্যবহারকারীরা চীনা কমিউনিস্ট সরকারের আঙ্গুলের নিচে চলে যাবে এই ধারণা মিথ্যা।

তবে তাত্বিকভাবে বলা যেতে পারে যে হুয়াওয়ের মতো টিকটকেরও বিদেশি ব্যবহারকারীর তথ্যের ব্যাপারে চীনা সরকার হয়তো বাইটড্যান্সের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে।

চীনে ২০১৭ সালে যে জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে সে অনুযায়ী দেশটির যেকোন সংগঠন অথবা নাগরিক রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে সাহায্য সহযোগিতা করতে বাধ্য। বেরট্রাম বলেছেন, টিকটকের কাছে চীন সরকার যদি কখনো ব্যবহারকারীর তথ্য চাইতো, তাহলে আমরা অবশ্যই তাদেরকে না বলে দিতাম।

তবে কমিউনিস্ট পার্টিকে অসন্তুষ্ট করলে তার পরিণতি কী হতে পারে সে বিষয়টি বাইটড্যান্সকে মনে রাখতে হবে। এই কোম্পানির নিজের জনপ্রিয় সংবাদ বিষয়ক অ্যাপ টুটিয়াওকে ২০১৭ সালে একবার ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

চায়না মর্নিং পোস্টের খবর অনুসারে, অ্যাপটি প্রচারণাধর্মী ও অশালীন বিষয় ছড়াচ্ছে- বেইজিং ইন্টারনেট ইনফরমেশন অফিস এই অভিযোগ আনার পর অ্যাপটি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

এছাড়াও গোয়েন্দা বিভাগের কথা মতো কাজ করতে অস্বীকৃতি জানালে এই কোম্পানি ও তার নেতৃত্বের ওপরেও তার বড় রকমের প্রভাব পড়তে পারে। আরেকটি উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে সেন্সরশীপ। চীনে ইন্টারনেট সার্ভিস সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত। অনেক ওয়েবসাইট চীনের ভেতরে যাতে দেখা না যায় সেজন্য আছে গ্রেট ফায়ারওয়াল অত্যন্ত কুখ্যাত।

ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ান গত বছর রিপোর্ট করেছিল যে রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর কিছু বিষয়ের ব্যাপারে টিকটকে কিছু নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছিল। তার মধ্যে রয়েছে তিয়েনানমেন স্কয়ারের প্রতিবাদ এবং তিব্বতের স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন।

মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টও টিকটকের সাবেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বলেছে, কোন ভিডিও অনুমোদন পাওয়ার ব্যাপারে চীনে এর কর্মকর্তাদের বক্তব্যই চূড়ান্ত। কিন্তু বাইটড্যান্স বলছে, এধরনের গাইডলাইন ধীরে ধীরে বাতিল করা হয়েছে। তার পরেও কারো কারো সন্দেহ যে অ্যাপটি পরিচালনার ক্ষেত্রে টিকটক হয়তো চীনা রাষ্ট্রেরই পক্ষ নিচ্ছে।

এদিকে দেশে ভিডিও তৈরির অ্যাপ ‘টিকটক’ থেকে অশালীন কন্টেন্ট সরিয়ে ফেলতে এবং এসব কন্টেন্ট তৈরিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে ‘নোটিশ প্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

আজ বুধবার (৫ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন  তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইসিটি বিভাগের সচিব বরাবর ই-মেইলের মাধ্যমে নোটিশটি পাঠিয়েছেন।

নোটিশের বিষয়ে আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন বলেন, ‘আমরা ইদানিং লক্ষ্য করছি ‘টিকটক’ অ্যাপ দিয়ে অশালীন ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করছে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে অনেক শিশু-কিশোর ও যুবক বিপথগামী হচ্ছে এবং নানারকম অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। তাই আমাদের কিশোর-তরুন প্রজন্মকে বিপথগামী হওয়া থেকে রক্ষার জন্য এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর সে বিবেচনায় আজ আমি এই লিগ্যাল নোটিশটি পাঠিয়েছি।’



সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

বিষয় : টিকটক ভিডিও

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //