ঈদ অর্থনীতিতে ধস, হতাশ ব্যবসায়ীরা

প্রতিবছর রোজার ঈদকে ঘিরে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে একটা চাঙ্গাভাব থাকে। যা সারাবছর অর্থনীতিকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রোজা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঈদেও কেনাকাটায় ধুম পড়ে যায়। অনেকে ঈদের ছুটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে যান দেশের পর্যটন স্পটগুলোতে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে আমাদের পরিবহন খাত। তবে এ বছরটি ছিল ব্যতিক্রম। 

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটির কারণে গত দু’মাস যাবত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া আর সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ ছিল। যার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিল সব ধরনের পোশাকের দোকান। সীমিত আকারে শপিংমল খোলা হলেও বিক্রি আশাব্যঞ্জক ছিল না। বেশিরভাগ বেসরকারি চাকরিজীবী বেতন-বোনাস পাননি। দরিদ্রদের আয়ও কমে গেছে। আবার যাদের কাছে টাকা আছে, তারাও ভবিষ্যতের কথা ভেবে খরচ কমিয়ে দিয়েছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঈদের ছুটিতে কেউ পর্যটন স্পটগুলোতেও ঘুরতে যাননি। সব মিলিয়ে এ বছর ঈদকে ঘিরে দেশের অর্থনীতির স্বাভাবিক চাকা থমকে গেছে। যা বছরজুড়েই দেশের অর্থনীতিকে ভোগাবে। 

পোশাক, পর্যটন, পরিবহন খাতের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক বছরের তুলনায় পোশাক খাতে এবার ঈদকে ঘিরে বিক্রি হয়েছে ৫ শতাংশ। তবে তুলনামূলকভাবে ই-কমার্সে ব্যবসা ভালো হয়েছে। পর্যটনে ক্ষতির আনুমানিক পরিমাণ পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এ খাতে তিন লাখেরও বেশি মালিক-শ্রমিক বেকার বসেছিলেন। 

অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা বলছেন, অদৃশ্য এক ভাইরাসের কারণে উৎসবেও উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছানোর পুরো চেইনটাই নড়বড়ে হয়ে গেছে। এটি কাটিয়ে উঠে অর্থনীতির চাকা কতদিনে কতটুকু সচল হবে, তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। 

সেন্টার পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘প্রতিবছরই ঈদকে ঘিরে দেশের অর্থনীতির চাকা চাঙ্গা থাকে। ঈদকে ঘিরে অর্থনৈতিক কর্মকা-ের বিস্তার ঘটে। শহর ও গ্রামে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ঈদকেন্দ্রিক অর্থনীতির বড় অংশজুড়েই পোশাকেরই রাজত্ব। ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে খাদ্যপণ্য, পোশাক, বিনোদন ও পরিবহন খাতে বিপুল পরিমাণের অর্থ ব্যয় হয়। এসবের যোগান আসে বেতন বোনাস থেকে। তবে এবার পুরো চেইনটিতে ধস দেখা গেছে করোনাভাইরাসের কারণে।’ 

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ‘ঈদে সবচেয়ে বেশি টাকার প্রবাহ বাড়ে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এ টাকার ব্যবহার পোশাক, ভোগ্যপণ্য, শৌখিনতা ও ভ্রমণসহ বিনোদনমুখী খাতেই বেশি হচ্ছে। কাজেই এটা একটা বড় ভূমিকা রাখে অর্থনীতিতে। কিন্তু এবার প্রত্যেকটি খাতই ক্ষতির সম্মুখিন। আমরা এটি নিয়ে জরিপ করছি ক্ষতির পরিমাণটা খুব শিগগিরই প্রকাশ করবো।’

রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ রায়হান। এবারের ঈদে তার ‘ঢাকাঢোল’ ব্র্র্যান্ডের দুটি দোকানের জন্য ১০ লাখ টাকার পোশাক তৈরি করেছিলেন। নানা দ্বিধাদ্বন্দ্ব শেষে গত ১০ মে থেকে সীমিত আকারে শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এলে তিনিও খুলেছিলেন তার শোরুম দুটি। আশা ছিল, অন্তত দোকানভাড়া ও কর্মচারির বেতন-বোনাস দিতে পারবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৩০ হাজার টাকার পোশাক। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকার পোশাকই বিক্রি হয়েছে অনলাইনে। 

ফ্যাশন এন্ট্রাপ্রেনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এফইএবি) সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সদস্যদের অনেকেই শেষ পর্যন্ত তাদের শো-রুম খোলেনি। আবার কেউ হয়তো দুটো খুলেছিল, দুটো বন্ধ রেখেছিল। এটার সঠিক হিসাব আমরা এখনো পাইনি।’ নিজের ফ্যাশন হাউজ অঞ্জন’স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু কিছু শো-রুম খোলা রেখেছিলাম। বিক্রির পরিমাণ গত ঈদের পাঁচ শতাংশের বেশি হবে না।’

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এই ঈদে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছিল। এবার তা আনুমানিক ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে বলে জানান সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীন। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার গত বছরের তুলনায় বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ। সেই তুলনায় ই-কমার্সে বিক্রি তুলনামূলক ভালো হয়েছে। যেসব সাইট খোলা ছিল তাদের বিক্রির হার গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ ছিল। তবে ৮০ শতাংশ সাইটই এবার বন্ধ ছিল বলে জানা গেছে। 

এবারের ঈদকেন্দ্রিক পর্যটনে ক্ষতি দেড় হাজার কোটি টাকা। হোটেল-মোটেলগুলোতে বিদেশি পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে এ সময়টাতে। ইতিমধ্যে কক্সবাজার, কুয়াকাটা, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, তেঁতুলিয়া, সুন্দরবনসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ কয়েকটি জায়গায় সীমিত করা হয়েছিল চলাচল। এর ফলে ক্ষতির মুখে পড়ে গোটা পর্যটন শিল্প। বন্ধ হয়ে যায় নামকরা অনেক হোটেল-মোটেল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে নেমে এসেছে বিশাল ধস। ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) তথ্যানুযায়ী, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে বাংলাদেশের ভ্রমণ ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

ব্যাংক ঋণ ও পরিচালন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে তারকামানের হোটেলগুলো। আগের বছরগুলোতে ঈদের মৌসুমে ভরপুর বাণিজ্য হলেও এবার তা শূন্য। লাখ লাখ টাকা বিনোয়োগের পর আয় শূন্য হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা।

প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পাটা) তথ্যমতে, ঈদে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রায় আট লাখ দেশীয় পর্যটক ভ্রমণ করেন। আসেন বিদেশি পর্যটকও। ঈদ উদযাপনে দেশের বাইরে যান অনেক বাংলাদেশি। এসবের জন্য দুই-তিনমাস আগে থেকেই হোটেল বুকিং, বিমান টিকেট নিশ্চিত করাসহ আনুসঙ্গিক প্রক্রিয়ার জন্য যোগাযোগ করেন পর্যটকরা। এবার পুরোটাই হাতছাড়া হয়েছে তাদের। দেশীয় অর্থনীতিতে পর্যটনের অবদান ৪.৪ শতাংশ, যার মুখ্য অংশ অভ্যন্তরীণ পর্যটন থেকে আসে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্সি, এয়ার ট্রাভেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এ কারণে প্রায় নয় হাজার ৭০৫ কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট তিন লাখ নয় হাজার মানুষের চাকরি ঝুঁকির মুখে। 

রাঙামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে মানসম্পন্ন রির্সোট ও কটেজের সংখ্যা ১০৬টি। এসব রিসোর্টে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ ২০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত। আবার অনেকে মাসিক চুক্তিতে রিসোর্ট ইজারা নিয়েছেন। মাসিক ভাড়া পরিশোধ নিয়ে অনেকে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। আবার অনেকে পরিশোধ করেছেন পুরো বছরের অর্থ, অথচ আয় নেই তাদের। 

সাজেকের রক প্যারাডাইসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসেন ওমর বিজু জানান, ‘ঈদের সময়ে পাহাড়ে প্রচুর পর্যটক বেড়াতে যান। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। লকডাউনের কারণে অনেকে অগ্রিম বুকিং বাতিল করেছেন। মার্চ ও এপ্রিলে অগ্রিম বুকিং বাবদ নেওয়া চার লাখ ৮০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছি। ঈদ মৌসুমে আমাদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ টাকা।’

কক্সবাজারের পর্যটন এলাকা কলাতলীর মেরিন ড্রাইভ হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন থেকে পর্যটন আগমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত বর্তমানে পর্যটকশূন্য। হোটেল কর্মচারীরা অলস জীবনযাপন করছেন। প্রতিদিন খরচের খাতা ভারি হলেও আয়ের খাতা একেবারেই জিরো।’

প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল এজেন্সির (পাটা) বাংলাদেশ কেন্দ্রের মহাসচিব তৌফিক রহমান বলেন, ‘এই পাঁচ মাসে আমাদের নয় হাজার পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া আশঙ্কা করছি, জুনের পরে তিন লাখেরও বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ঈদ অর্থনীতি প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, ‘দেশে অন্য যে কোনো উৎসবের চেয়ে ঈদে অর্থের প্রবাহ বাড়ে। যেসব খাত থেকে অর্থের জোগান হয়, সেগুলো হচ্ছে সরকারি- বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বোনাস, প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স, মানুষের জমানো আয়, রাজনৈতিক নেতাদের দান, অনুদান বা ঈদ বখশিশ, মানুষের জাকাত-ফিতরা, রোজা ও ঈদ কেন্দ্র করে চাঙা হওয়া শহর ও গ্রামীণ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোয় উৎপাদিত পণ্যের বিক্রীত অর্থ, মৌসুমি ফল বিক্রির অর্থ, ব্যাংকগুলোর ছাড় করা কৃষিঋণ ও সরকারি দান-অনুদানের অর্থ। ঈদ অর্থনীতির বেশিরভাগই ব্যয় হয় গ্রামে। এই সময়টাতে শহরের তুলনায় গ্রামে টাকার প্রবাহ বাড়ে। ফলে চাঙা হয় গ্রামীণ অর্থনীতি; কিন্তু এবার পুরো প্রক্রিয়াটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ব্যবসা বন্ধ ছিল, অনেকে বেতন বোনাস পাননি, চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। মোট জনসংখ্যার ৮৫ ভাগ এবার ঈদ শপিং থেকে দূরে ছিলেন।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘অন্যান্য বছর ঈদ উপলক্ষে অর্থের বড় একটা জোগান আসতো সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের বোনাস, গতিশীল অভ্যন্তরীণ বাজার, জাকাত ও ফিতরা থেকে। এ ছাড়াও অন্যতম একটি উৎস ছিল প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ (রেমিট্যান্স), যা চাঙা করতো গ্রামীণ অর্থনীতি। তবে এ বছর বেসরকারি অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই বোনাস দিতে পারেনি, অনেক প্রতিষ্ঠান দিয়েছে অর্ধেক। বেতন বকেয়া রেখেছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বোনাস হলেও অনেকে কেনাকাটা করতে পারেননি। আর নিম্ন মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় টাকা না থাকায় নিত্য দরকারি খাদ্যপণ্য জোগাড়েই ব্যতিব্যস্ত দেখা গেছে তাদের। কেনাকাটার চিন্তাও করতে পারেনি তারা। দরিদ্র ও দুস্থরা তো পুরোপুরি সরকারি বেসরকারি ত্রাণ ও সহায়তার উপর এখনো নির্ভরশীল। মার্কেটের সামনে কেনাকাটা নয়, সাহায্য পাওয়ার আশায় ভিড় জমিয়েছিলেন তারা।’

এ দিকে ঈদের দুই সপ্তাহ আগে রাত ১০টা পর্যন্ত ই-কমার্স চালানোর অনুমতি দেয় সরকার। তবে অধিকাংশ সাইট শেষ পর্যন্ত বন্ধ ছিল বলে জানা গেছে। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের ১২০০ সদসস্যের মধ্যে ৮০ শতাংশই বন্ধ। ঈদের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আমরা রাত ১০টা পর্যন্ত ই-কমার্স চালু রাখার অনুমতি পেয়েছিলাম। তবে মানুষের হাতে টাকা নেই। একেবারে জরুরি পণ্যই কেবল তারা কেনা-কাটা করেছেন।’ যারা ব্যবসা চালু রেখেছিলেন তাদের গত বছরের তুলনায় অর্ধেক বিক্রি হয়েছে বলেও তিনি জানান।


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //