সবাইকে নিয়ে কাজ করা উচিত : মুক্তি

জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী আয়েশা সালমা মুক্তি। সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন মাবরুর রশিদ বান্নাহ পরিচালিত ‘বদমাশ পোলাপাইন’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে। নিজের কাজ ও অন্যান্য বিষয়ে সাম্প্রতিক দেশকালের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি 

আপনাকে তো এখন ‘সুইটি ম্যাডাম’ বলছে দর্শকরা ...
মাবরুর রশিদ বান্নাহর ধারাবাহিকটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার হয়নি। ইউটিউবে প্রচার হয়েছে। আমি ভাবতেই পারিনি ইউটিউবে এত দর্শক নাটক দেখে। দ্রুত তাদের প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। চরিত্রটি এত জনপ্রিয় হয়েছে যে, তারা আমাকে ‘সুইটি ম্যাডাম’ বলেই ডাকছে। মনে হচ্ছে এ প্ল্যাটফর্মে আমি সফল।

সালাউদ্দিন লাভলু পরিচালিত ‘রঙের মানুষ’ ধারাবাহিকের ‘দিলখুশ’ থেকে আজকের ‘সুইটি ম্যাডাম’, দুই সময়ের দর্শক প্রতিক্রিয়া তুলনা করবেন কী করে?
‘কোথাও কেউ নেই’, ‘অয়োময়’, ‘রূপনগর’ ইত্যাদি ধারাবাহিকের মতোই ‘রঙের মানুষ’। সারাজীবন আমার সঙ্গে ‘দিলখুশ’ চরিত্রটি থাকবে। এতদিন পরও সে চরিত্রের কথা বলে মানুষ। আর এখন নতুন প্রজন্মের কাছে ‘সুইটি ম্যাডাম’ নামে পরিচিত হচ্ছি। দর্শকের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেলে ভালো লাগে।

এখন নাটকের মান কেমন দেখছেন?
আমরা যখন শুরু করি, তখন সময় নিয়ে কাজ করতাম। প্রচুর রিহার্সেল হতো। পোশাক নিয়েও কাজ হতো। কাজের মানের প্রতি গুরুত্ব থাকত। এখন দেখা যায় সে সময় থাকে না। বাজেটও কমেছে। সবকিছু মিলে এখন মানসম্পন্ন কাজের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমে গেছে। তা ছাড়া সব নাটক তো ভালো হবে না। দশ বছর আগের নাটকের সঙ্গে এখনকার নাটকের তুলনা করলে হবে না। কন্টেন্ট বদলে গেছে। দর্শকের রুচি বদলেছে। বর্তমান সময়কে বিবেচনা করে কাজ করলে ভালো কাজ হবে। 

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করবেন?
আমার ইচ্ছে আছে। অভিনয়ের সুযোগ আছে এমন চরিত্র পেলে অবশ্যই কাজ করব। সেক্ষেত্রে প্ল্যাটফর্ম কোনো বিষয় না।

এখন তো ভিউ নিয়ে মাতামাতি। আপনি বিষয়টি কোন চোখে দেখেন?
ভিউর সঙ্গে বাণিজ্যিক একটা বিষয় জড়িত আছে। ভালো কাজ হলে ভিউ অবশ্যই বাড়বে। তবে শুধু ‘ভিউ’ যার বেশি তাকে নিয়ে কাজ হবে, সেটা ঠিক নয়। সবাইকে নিয়ে কাজ হবে এটাই প্রত্যাশা করি।

গুঞ্জন আছে সিন্ডিকেট করে গুটিকয়েক শিল্পী নিয়ে কাজ করা হয় ...
আমাকে এখনো সিন্ডিকেটের বিপক্ষে লড়তে হয়। দর্শক আমাকে ভালোবাসে। তারা আমার কাজ দেখতে চায়। অথচ আমাকে কাজে নেওয়া হচ্ছে না। নিলেও বাদ দেওয়া হচ্ছে। কেন? আসলে অযোগ্যদের হাতে সবাই নিজেকে সঁপে দিতে পারে না। আগে মেধারভিত্তিতে কাজের সুযোগ মিলতো। এখন কাজের জন্য লবিং করতে হয়। আমি কখনো লবিং করে কাজ করিনি, ভবিষ্যতেও করব না।

ইদানীং সাইবার বুলিং খুব বেড়ে গেছে ...
সাইবার বুলিং খুবই বাজে জিনিস। মাঝে মধ্যে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিলে এত বাজে মন্তব্য হয় যে, রাতে আমার ঘুমই হয় না। দেখা যায় এক মন্তব্যের সঙ্গে আরও দশজন বাজে মন্তব্য করে। আমার মনে হয়, যারা খুব হতাশ, জীবনে ব্যর্থতা বেশি, অপরের সাফল্য সহ্য করতে পারে না, তারাই এসব করে। আমার অবাক লাগে অন্যরা কি করে এদের সহ্য করে! যারা মন্তব্য করে, তারা ফেইক আইডি দিয়ে এমন করছে। তার পরিবারের কেউ জানছে না অথচ আমার পরিচিতরা তো জানছে। এমন মন্তব্য যারা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

সাক্ষাৎকার : মোহাম্মদ তারেক

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //