কাজী নওশাবা আহমেদ। সম্প্রতি মঞ্চে প্রথমবার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হয়েছে তার উপস্থিতি। নাটকে অনিয়মিত নওশাবা অভিনীত ‘পূনর্জন্ম’ সিরিজ নজর কেড়েছে দর্শকের। তিনি সাম্প্রতিক কাজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন মোহাম্মদ তারেকের সঙ্গে
সম্প্রতি মঞ্চে অভিনয় করলেন। সে অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
আমি সৈয়দ জামিল আহমেদ স্যারের কর্মশালা করেছি। অনেক আগে একটি নাটকের ছোট একটি চরিত্রে মঞ্চে অভিনয় করেছি। কেন্দ্রীয় চরিত্রে এবারই প্রথম অভিনয় করলাম। প্রখ্যাত লেখক ও নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীল দর্পণ’ নাটক অবলম্বনে কমলা কালেক্টিভের ‘নীল ছায়া’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছে। এ নাটকের প্রস্তুতির জন্য মাত্র ১৯ দিন সময় পেয়েছিলাম। এ সময়ের মধ্যে ২ ঘণ্টার নাটকের জন্য প্রস্তুত হওয়া সহজ নয়। তা-ও আবার দ্বৈত চরিত্র। আমার মঞ্চে ওঠার সাহস হয়নি। নাটকটির প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার লিসা গাজী, নির্দেশক নায়লা আজাদ নূপুর এবং রিপনের উৎসাহে মঞ্চে দাঁড়িয়ে গেলাম।
আপনি তো দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন?
হ্যাঁ আমি রূপা ও ক্ষেত্রমণি চরিত্রে অভিনয় করেছি। দুই সময়ের দুই চরিত্র। এক চরিত্র থেকে অন্য চরিত্রে শিফট করা চ্যালেঞ্জিং ছিল। খুব ভালো বা খুব খারাপ বলব না; তবে আমি চেষ্টা করেছি। তাৎক্ষণিক দর্শকের প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। অনেকদিন পর প্রাণ খুলে অভিনয় করলাম। আসলে আমার অভিনয়ের ক্ষুধা অনেক। আমি কাস্টিংয়ের দৌড়ে পিছিয়ে। যে কাজগুলো করেছি, খেয়াল করলে দেখবেন অভিনয়ের সুযোগ মেলেনি খুব একটা। কষ্ট নিয়ে এতগুলো বছর বসে ছিলাম। এ নাটক করতে গিয়ে অভিনয় দেখানোর সুযোগ মিলেছে। ওটিটি, সিনেমা ও টেলিভিশনে যখন অভিনয়ের সুযোগ মিলছিল না; তখন মনে হলো মূলে ফিরে যাই। ‘নীল ছায়া’ করতে গিয়ে ২ ঘণ্টা জানপ্রাণ দিয়ে অভিনয় করেছি।
টেলিভিশনে আপনাকে দেখা যায় না; কিন্তু ভিকি জাহেদের ‘পূনর্জন্ম’ সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে প্রশংসিত হচ্ছে আপনার অভিনয়। এ প্রসঙ্গে কী বলবেন?
আমি আগে কখনো ভিকির সঙ্গে কাজ করিনি। তার কাজ দেখি। ভালো লাগে। সে এ সিরিজের আগে জানিয়েছিল আমাকে এমন একটি চরিত্র দিতে চায়, যেখানে অভিনয়ের জায়গা আছে। প্রথম পর্ব করার পর দেখার আগেই দর্শকের প্রশংসা শুনেছি। দ্বিতীয় পর্ব করার সময় ভাবিনি সিরিজটি এমন পর্যায়ে আসবে। মুশকিল হলো- এ সিরিজে কাজ করার পর আমার কাছে বোন জাতীয় চরিত্রের প্রস্তাব আসতে শুরু করল। আমি বিনয়ের সঙ্গে না করে দিয়েছি। এমনটি হয়েছিল যখন ‘ঢাকা অ্যাটাক’ করলাম। প্রেগনেন্ট মেয়েদের চরিত্রের প্রস্তাব পেতাম তখন। এর পর আর নাটকই করতে পারিনি। নাটক করা প্রায় ছেড়েই দিয়েছি এসব কারণে। আর ভিকির ওপর বিশ্বাস ছিল। বন্ধুত্বসুলভ পরিবেশে আমরা শুটিং করেছি।
আপনাকে বিষয়ভিত্তিক ফটোশুট করতে দেখা যায়। পূজায় প্রকাশ হওয়া কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাসছে।হ্যাঁ, চরিত্র ভেবে ফটোশুট করেছি। পূজায় শুধু নয়, নারী দিবস উপলক্ষেও এমন শুট করেছি। প্রতিটি কাজ করতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন লেগেছে। চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে প্রস্তুতিও নিতে হয়েছে। আমাকে দেখে উৎসাহিত হয়ে অন্যরাও থিম বেজড ফটোশুট করছে। শুধু ছবি নয়, অভিনয়ের ক্ষেত্রেও আমি বৈচিত্র্যময় কাজ করতে পছন্দ করি। নিজেকে ছকে বেঁধে ফেলতে চাই না। আমাকে যে চরিত্র দেবেন, সে চরিত্র করব। আমার কাছে চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার আগামী কাজের খবর জানতে চাই।
সম্প্রতি তিনটি শর্টফিল্মের কাজ শেষ করেছি। একটি যাবে ওটিটিতে। আর দুটি বিভিন্ন উৎসবে পাঠানো হবে। সামনের মাসে একটি ওয়েব সিরিজ ও একটি ছবির শুটিং শুরু হবে। এ মাসে নিজেকে বিশ্রাম দিচ্ছি।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : কাজী নওশাবা আহমেদ নাটক অভিনেত্রী সিরিজ
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh