Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৮

দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

বিস্ফোরণের পর লাল কেল্লা এলাকায় তদন্তে নেমেছে প্রশাসন। ছবি- এনডিটিভি

ভারতের রাজধানী দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় এক এক করে সব চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। বিস্ফোরণকাণ্ডে একের পর এক ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিকিৎসকদের নাম উঠে আসছে। এরই মধ্যে ৩ জন চিকিৎসকসহ অন্তত ৯  জনকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার এক চিকিৎসককে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। তার নাম ডা. সাজাদ আহমেদ। এ নিয়ে মোট ৩ জন চিকিৎসককে আটক করলো সেখানকার প্রশাসন। তদন্তকারীরা খুঁটিনাটি তথ্য খতিয়ে দেখছেন। সংগ্রহ করা হয়েছে এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ফুটেজ।

তদন্তকারী সংস্থাগুলোর শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটি কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা চিকিৎসক ওমর মোহাম্মদের। তিনি সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা পুলিশের হাতে ধরা পড়া ‘হোয়াইট কলার’ সন্ত্রাস দলের সদস্য ছিলেন। প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, সোমবার রাতে বিস্ফোরিত গাড়িটি নিজেই চালাচ্ছিলেন ওমর। তদন্তে অনুমান, বিস্ফোরণে তিনি নিজেও প্রাণ হারান।

চিকিৎসক সাজাদ ঘটনার মূল অভিযুক্ত ওমরের সহযোগী এবং বন্ধু বলে জানা গিয়েছে। ফরিদাবাদের আল ফালা হাসপাতালে কাজ করতেন তিনি। এখান থেকেই  গ্রেপ্তার করা হয় চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল ও শাহীন সইদকে।

টেলিগ্রামের মাধ্যমেই যোগাযোগ রাখছিলেন চিকিৎসক ওমর ও সাজাদ। ‘র‍্যাডিক্যালাইজড ডক্টর’ নামে এক গ্রুপে তথ্যের আদান-প্রদান চলছিল। কখন, কোথায় দেখা হবে, কী কী জিনিসের দেওয়া, নেওয়া হবে- এসব আলোচনা সাংকেতিক ভাষায় করা হতো।

সূত্র অনুযায়ী, ‘হোয়াইট কলার’ সন্ত্রাস দলের দুই মূল সদস্য মুজাম্মিল শাকিল ও আদিল রশিদ। গ্রেপ্তারের পর এবং হরিয়ানার ফরিদাবাদে ২,৯০০ কেজি সন্দেহজনক বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ার পর আতঙ্কে লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণ ঘটান ওমর।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, লালকেল্লার বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করা হয়। ফরিদাবাদের অভিযানে উদ্ধার হওয়া পদার্থটিও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বলে সন্দেহ করা হচ্ছে—যা সাধারণত সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে তা দিয়েই শক্তিশালী বোমা তৈরি সম্ভব।

এরই মধ্যে এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দিল্লি উত্তরের ডিসিপি রাজা বাঁথিয়া জানিয়েছেন, আনল’ফুল অ্যাক্টিভিটিস (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট (ইউএপিএ) ও বিএনএস (ভারতীয় ন্যায় সংহিতার) অধীনে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিস্ফোরণকাণ্ডে আইবি, এনআইএ, এনএসজি একযোগে তদন্ত করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন, এটি কি আত্মঘাতী হামলা ছিল? আদিল ও মুজাম্মিলের গ্রেপ্তার এবং বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির উপকরণ উদ্ধার হওয়ার পর ওমর আতঙ্কে পড়েছিলেন কি না, তা নিয়েও চলছে অনুসন্ধান। সন্দেহ, ভয় ও হতাশার চাপে পড়ে তিনি হয়তো আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটান।

বিস্ফোরণের পর পরই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে দিল্লিকে। জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। এছাড়া দেশের অন্যান্য বড় শহর যেমন- কলকাতা, উত্তরপ্রদেশ, মুম্বইতে চলছে নাকা চেকিং। মেট্রো স্টেশন ও ভিড় এলাকাগুলোতে তল্লাশি চলছে। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫