মোট মৃত্যু প্রায় ১৫ লাখ

বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় ৭ লাখ করোনা শনাক্ত

বিশ্বজুড়ে চলছে মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। নতুন রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে প্রাণহানি।

যুক্তরাষ্ট্রে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী প্রায় সাত লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

জরিপ পর্যালোচনাকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টার তথ্য অনুসারে, বৈশ্বিক এ মহামারিতে আক্রান্তের হার দ্রুত বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ কোটি ৪৮ লাখ ৪৪ হাজার ৭১১ জন। আর বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৯৯ হাজার ৩৩৬ জনে। ভাইরাসটিতে আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৪১ হাজার ৪৮১ জন। 

একটা সময় যুক্তরাষ্ট্র করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে পৌঁছে যায়। আজ পর্যন্ত শীর্ষস্থানেই রয়েছে দেশটিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪১ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৭৯ হাজার ৮৬৫ জনের।

পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ও মৃত্যু নিয়ে আছে তৃতীয় অবস্থানে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে করোনার সংক্রমণ কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৩৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্ত ৯৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৬৪ জনে পৌঁছেছে। মারা গেছে মোট ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬৫৭ জন। 

ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৬৪ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫০ জন ও মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫৩১ জনের।

তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ, ফ্রান্স পঞ্চম, ষষ্ঠ স্পেন ও যুক্তরাজ্য সপ্তম। আর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৩তম। সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় যে বিষয়টি তা হলো, এই এক বছরের মধ্যে চীন সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষ স্থান থেকে ৬০ নম্বর স্থানে নেমে এসেছে। মৃত্যুর নিরিখে ৩৬তম স্থানে রয়েছে তারা।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।

করোনার উৎস কী এখনো তা নিয়ে নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। প্রথম দিকে যেমন জল্পনা চলছিল চীনে উহানের ল্যাব থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। বায়োকেমিক্যাল অস্ত্র তৈরি করতে গিয়েই এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। এই তথ্যকে চীন যেমন মান্যতা দেয়নি, তেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই অভিযোগগুলোকে নস্যাৎ করেছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //