মডার্নার টিকা দুই বছর কার্যকর থাকবে

মডার্নার করোনাভাইরাসের টিকা মাত্র দুই বছর কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির সিইও স্টেফান বানসেল। বহু টিকা এর চেয়েও কম সময় কার্যকর বলে দাবি সংবাদমাধ্যমের।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার টিকাকরণ শুরু হয়েছে। একইসাথে বাড়ছে টিকা ঘিরে আতঙ্ক। চিকিৎসকদের অনেকেই বলছেন, টিকা নিয়ে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। 

তারই মধ্যে অন্যতম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা মডার্না জানিয়েছে, তাদের টিকা দুই বছর পর্যন্ত কার্যকরী হবে। যদিও এই তথ্যের পক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ তারা দেয়নি। 

সংস্থার সিইও স্টেফান সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, কিছুদিন আগে কোনো কোনো সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল যে, করোনার টিকা কয়েক মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকে। তারপর ফের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে করোনার ভাইরাস। মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। তাদের ভ্যাকসিন দুই বছর পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে। 

তবে স্টেফান নিজেই জানিয়েছেন, এই বক্তব্যের পক্ষে তার কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। এটি তার অভিমত। বস্তুত, বাস্তবে টিকার সক্রিয়তা কতদিন থাকবে, তা দেখতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে মডার্নার টিকা এর মধ্যেই দেয়া শুরু হয়েছে। গত বুধবার (৬ জানুয়ারি) ইউরোপীয় ইউনিয়নেও মডার্নার টিকা ছাড়পত্র পেয়েছে। এর আগে ফাইজারের টিকা ছাড়পত্র পেয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যুক্তরাষ্ট্রেও ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যাচ্ছে। অক্সফোর্ডের টিকাতেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে। বস্তুত অক্সফোর্ডের টিকার সাথে এখন প্যারাসিটামলও দেয়া হচ্ছে। কারণ টিকা নেয়ার পরে অনেকেরই জ্বর হচ্ছে। 

কোনো কোনো চিকিৎসকের বক্তব্য, করোনার টিকায় স্বাভাবিক ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতায় সমস্যা হচ্ছে। তবে কোনো কিছুই পরীক্ষিত নয়। যে রোগীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, তাদের চিকিৎসা করতে গিয়ে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি বোঝার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। 

সম্প্রতি ভারতের টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, সেরাম ইনস্টিটিউইটের তৈরি অক্সফোর্ডের টিকার কার্যকারিতা এক বছরের বেশি নয়। যদিও সেরাম এই বক্তব্য মানতে চায়নি। তবে তাদের টিকার কার্যকাল কতদিনের সে বিষয়েও তারা স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি। ভারত বায়োটেকও তাদের টিকার কার্যকাল বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। 

মডার্না দাবি করেছে, তাদের টিকা কভিড ঠেকাতে ৯৪ দশমিক এক শতাংশ কার্যকর। যদিও এটা নিয়েও কোনো তথ্যপ্রমাণ দেননি মডার্নার সিইও। -ডয়চে ভেলে