ভ্যাকসিন বৈষম্যে বিশ্ব

ফাইজারের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন পরীক্ষায় অংশ নিতে নিঃস্বার্থভাবে সম্মতি জানিয়েছেন প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ। কভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণায় অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্দেশ্যে লেখা খোলা চিঠিতে এ তথ্য জানান আমেরিকার বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিটির  প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যালবার্ট বোরলা।  

প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় অংশ নিয়েছেন আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, জার্মানি, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বেচ্ছাসেবীরা। ফাইজার সিইওর চিঠিটি প্রকাশিত হয় গত বছরের ৯ নভেম্বর। একই দিনে বিশ্বের অন্যতম ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিটি ঘোষণা করেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর তাদের তৈরি ভ্যাকসিন। স্বেচ্ছাসেবীদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বোরলা বলেন, ‘আপনারাই প্রকৃত হিরো। গোটা বিশ্ব আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ ও ঋণী।’ তবে দুর্ভাগ্যবশত আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল ও তুরস্ককে ফাইজারের কৃতজ্ঞতা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। কারণ বিশ্বের অন্য অনেক দেশের মতো ফাইজারের ভ্যাকসিন গবেষণায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর জনগণ সহসাই পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাচ্ছে না। ফলে বিশ্ব আজ মুখোমুখি ‘ভ্যাকসিন বৈষম্যের’।

যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্য সদস্য দেশগুলো বিভিন্ন কোম্পানি থেকে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের জোগান নিশ্চিতে আগে থেকেই বিভিন্ন সময় চুক্তি করেছে। তবে এসব অঞ্চলের মধ্যে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পেতে যুক্তরাষ্ট্রকে নানাবিধ লড়াই করতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির ৩০ লাখেরও কম মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেতে সমর্থ হয়েছেন। ফাইজারের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ গ্রীষ্মকালেই আগাম ক্রয় করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। আরও ১০ কোটি ডোজ নিশ্চিতের সুযোগ পেয়েছে দেশটি। ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সম্প্রতি এ সংক্রান্ত চুক্তি ঘোষণা করেছে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন হবে চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যেই। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আরও ৪০ কোটি ডোজ কেনার সুযোগ রয়েছে। দেশটি এরই মধ্যে মডার্না ভ্যাকসিনের ২০ কোটি ডোজ কিনে ফেলেছে। এ ভ্যাকসিনও কভিড-১৯ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। আরও ৩০ কোটি ভ্যাকসিন কিনতে পারে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। ওলোগি, সানোফি, নোভাভ্যাক্স ও জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন গবেষণার শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ভ্যাকসিন সংগ্রহে এসব কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। 

করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের নিদারুণ চাহিদার দৌলতে ফুলেফেঁপে উঠছে ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ও এর ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা। এ ক্ষেত্রে ফাইজার এবং এর সিইও বোরলার কথাই বলা যায়। ভ্যাকসিনকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে ফাইজারের শেয়ারদর ঊর্ধ্বমুখী। বোরলার এখন দুই কোটি ৬০ লাখ ডলারেরও বেশি উদ্বৃত্ত সম্পদ রয়েছে। উল্লেখ্য, স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্দেশ্যে তার খোলা চিঠি প্রকাশের দিন ৯ নভেম্বরই ফাইজারের শেয়ার বিক্রি করে আয় করেছেন ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি। ভ্যাকসিনে ভর করে তার প্রতিষ্ঠানের অবস্থাও বেশ রমরমা। ভ্যাকসিন ব্যবসা থেকে এরই মধ্যে ৯৭ কেটি ৫০ লাখ ডলার আয় করেছে কোম্পানিটি। যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মরগান স্ট্যানলির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর এই ভ্যাকসিন থেকে আরও এক হাজার ৯০০ কোটি ডলার আসবে ফাইজারের ঘরে। ভ্যাকসিন ব্যবসা থেকে এর মুনাফা হবে ৬০-৮০ শতাংশ। আর  আমেরিকার বায়োটেকনোলজি কোম্পানি মডার্না চলতি বছর ভ্যাকসিন ব্যবসা থেকে ১ হাজার কোটিরও বেশি ডলার আয় করবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। 

আনুমানিক ১০ হাজার কোটি ডলারের কভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিক্রি- মূলত এ আকাক্সক্ষাই ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোকে ভ্যাকসিন গবেষণায় আগ্রহী করেছে। অবশ্য গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের হিসাব এক্ষেত্রে আলাদা, বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্টের অনুসন্ধানী প্রতিবেদক শ্যারন লারনার। চিকিৎসা নীতিবিদ ও লেখক হ্যারিয়েট ওয়াশিংটনের বরাতে তিনি জানান, উন্নয়নশীল দেশগুলোয় পর্যাপ্ত ও উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। সেখানকার মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে মরিয়া। তারা চিকিৎসার গবেষণা ক্ষেত্রগুলোকে আঁকড়ে ধরবেন, এটিই স্বাভাবিক। ওয়াশিংটনের ভাষ্য, ‘চিকিৎসাসেবা পাওয়ার এই আকাঙ্ক্ষা পুঁজি করে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো তাদের বেশিরভাগ গবেষণা পরিচালনা করে অনুন্নত দেশগুলোয়। এসব দেশে গবেষণা পরিচালন ব্যয়ও তুলনামূলক কম।

দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও তুরস্কে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির মানুষের চেয়ে কম অর্থে কাজটি করে দেবেন। এটি ব্যয় সাশ্রয়ী হলেও নীতিগত সমস্যা সৃষ্টি করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোর গবেষণায় অংশ নেন; কিন্তু তারাই গবেষণা সাফল্যের ভাগীদার কম হন।  সুফল ভোগ করে উন্নত দেশ। প্রতিটি মহামারিতেই এই গল্পের পুনরাবৃত্তি হয়। গবেষণায় অংশগ্রহণ থাক বা না থাক- আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নেওয়ার সক্ষমতা থাকে না নিস্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর বেশিরভাগ মানুষের। অনেক ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত ওষুধটির দাম থাকে নাগালের বাইরে।’ এটি কতটা মারাত্মক হতে পারে তার স্পষ্ট ও মর্মান্তিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জিলিয়েড সায়েন্স। মারণ রোগ হেপাটাইটিস-সি নিরাময়ের ওষুধ সোফোসবুভিরের পেটেন্ট আমেরিকার এই বায়োফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিটির। ব্রাজিলে এই জীবনদায়ক ওষুধটির প্রয়োজন ছিল সাত জনের। অথচ ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত মূল্যবান এই ওষুধ জোগাড় করতে পেরেছেন এই সাত ব্যক্তির মাত্র একজন। অলাভজনক গ্রুপ মেইক মেডিসিনস অ্যাফর্ডেবলের তথ্য অনুযায়ী, চিকিৎসা, ওষুধের অভাবে নিরাময়যোগ্য রোগে শুধু ব্রাজিলেই মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। অনেক ওষুধ সহজলভ্য হলেও উন্নয়নশীল দেশের মানুষের নাগালে পৌঁছাতে দেরি হয়। এমনটি দেখা যায় এইচআইভির ক্ষেত্রে। এইচআইভিতে আক্রান্ত বিশ্বের প্রায় দেড় কোটি মানুষের কাছে এখনো সহজলভ্য নয় এ রোগ নিরাময়যোগ্য ওষুধ। এ ছাড়া এইচআইভির ওষুধ সরবরাহে ধনী দেশগুলো প্রাধান্য পাওয়ায় গুটিকয়েক দরিদ্র দেশে এটি আসে উদ্ভাবনের এক দশকেরও বেশি সময় পরে।    

ডিউক গ্লোবাল হেলথ ইনোভেশন সেন্টারের পরিচালক চিকিৎসক কৃষ্ণ উদয় কুমারের ভাষ্য, ‘নতুন ওষুধ বা মেডিক্যাল ডিভাইস- প্রতিটি বিষয়েই একই ঘটনা ঘটে। নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর এসব পণ্যের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট অর্থ নেই। এ ক্ষেত্রে নির্ভর করতে হয় অনুদানের ওপর। ফলে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য পাওয়া সম্ভব হয় না। অর্থাৎ, কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বিলম্বিত প্রবেশের কারণে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর মারাত্মক পরিণতি চলতি বছরই দেখা যাবে।’

সাংবাদিক শ্যারন লারনার বলেন, ‘ভ্যাকসিনের ন্যায্য সরবরাহ নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্ট। সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য জোট ‘গ্যাভি’ পরিচালিত এই উদ্যোগের আওতায় গবেষণায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে ২০২১ সালের মধ্যে তাদের জনসংখ্যার সর্বোচ্চ ২০ শতাংশের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যমাত্রায় বিশ্বের জনসংখ্যার একটি বড় অংশই ভ্যাকসিন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। ফলে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্যাভির প্রতি ক্ষুব্ধ।’ 

মেডিসিনস স্যানস ফ্রন্টিয়ারসের ভ্যাকসিন নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা কেট এল্ডার বলেন, ‘যেদিন যুক্তরাজ্যে প্রথম ব্যক্তিটিকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল, সেদিনই উন্নয়নশীল দেশে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করা উচিত ছিল; কিন্তু তা হয়নি। উন্নয়নশীল দেশগুলোয় কবে ভ্যাকসিন পৌঁছাবে, সে বিষয়েও আমাদের কোনো ধারণা নেই।’ তিনি আরও বলেন, বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে সমান সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভ্যাকসিন বিতরণ চেষ্টা বৈশ্বিক শক্তি এবং সম্পদের ভারসাম্যহীনতার দ্বারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ভ্যাকসিন সরবরাহে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। দরিদ্র দেশগুলোকে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বিলম্বের ফলস্বরূপ, নিম্ন আয়ের দেশের অনেক মানুষের কাছে ২০২৩ বা ২০২৪ সাল অবধি ভ্যাকসিন পৌঁছাবে না। এতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান পাবলিক সিটিজেনের আইন ও নীতি গবেষক জেইন রিজভি বলেন, ‘বিশ্ব ভ্যাকসিন বৈষম্যের মুখোমুখি। যথাসময়ে ভ্যাকসিন যথাস্থানে না পৌঁছানো বিপজ্জনক, তা এবার প্রমাণিত হবে।’ যুক্তরাষ্ট্র যাতে এ ভ্যাকসিন সরবরাহ যথাসময়ে ব্যবহার করতে পারে, সে উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে পাবলিক সিটিজেন। অন্যদিকে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) কেনিয়া, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা একটি প্রস্তাব রেখেছে। এর আওতায় ভ্যাকসিনসহ করোনভাইরাস সম্পর্কিত পণ্যগুলোর জন্য তারা কিছু মেধা সম্পদ স্বত্ব মওকুফ করবে। প্রস্তাবনাটিতে সমর্থন জানিয়েছে ৯৯টি দেশ; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, জাপান, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মতো ধনী দেশ এ প্রস্তাবনার বিরোধিতা করায় তা এখনো পাস হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার এবং ভ্যাকসিন তৈরির জন্য যে কোম্পানিগুলো অর্থায়ন করেছে তারা মহামারি শেষ করার জন্য এরই মধ্যে কৃতিত্ব পাচ্ছে; কিন্তু এই সফলতার গল্পে বড় খাদ দেখতে পাচ্ছেন অলাভজনক অ্যাডভোকেসি গ্রুপ নলেজ ইকোলজি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক জেমস লভ। তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের গল্পটি ইতিবাচক। তাই অনেকেই বিষয়টিকে ভালো বলে অভিহিত করছেন; কিন্তু বাস্তবতা হলো- সরকার আমাদের অর্থ কোম্পানিগুলোকে গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য দিয়েছে। হয়েছে এ সংক্রান্ত চুক্তি। অথচ আমাদের অর্থায়নে যে উদ্ভাবন, তাতে আমাদের অধিকার কমই থাকবে।’ 

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেনের সময়ে এ পরিস্থিতি বদলাতে পারে বলে মনে করেন পাবলিক সিটিজেনের রিজভি। তিনি বলেন, ‘বাইডেন বড় পরিসরে চিন্তা করতে পারেন। ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়া শেয়ার করতে পারেন। ভ্যাকসিনের দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিতে তা উৎপাদন ও উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তাও করতে পারেন।’ ওয়াশিংটনের মতে, ‘ভ্যাকসিন গবেষণায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে নীতিগত যে সংশয় তৈরি হয়েছে, তার সমাধান করা সম্ভব। উন্নতদের মতো অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনগণকে সমান সুযোগ দেওয়া হলে এই নীতিগত জটিলতার অবসান হতে পারে।’

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //