বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত সাড়ে ৯ কোটি ছাড়ালো

বিশ্বব্যাপী গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাভাইরাসে নতুন করে মোট ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৭৮ জন আক্রান্ত হয়েছে ও ১২ হাজার ৮৯৩ জন প্রাণ হারিয়েছে।

জরিপ পর্যালোচনাকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের আজ সোমবার (১৮ জানুয়ারির) সকালের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমণ দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৫৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯১ জনে। আর করোনায় বিশ্বজুড়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৭০৬ জনের।

ভাইরাসটিতে আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৬ কোটি ৮১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮ জন। 

কভিড-১৯ রোগে প্রাত্যহিক আক্রান্তের ৬০ শতাংশেরও বেশি ঘটে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে। এ হিসাবে এ দুই অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টায় ৪ লাখ ৬ হাজার ৯৬৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর পরের অবস্থানে থাকা ইউরোপের দেশগুলোতে ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৮১ হাজার ৭৩ জন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ৩১ হাজার ৮৬২ জন আক্রান্ত হয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে নিশ্চিত করা উপাত্তের উপর ভিত্তি করেবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ পরিসংখ্যান তৈরি করে।

বিশ্বে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশেই মিলেছে করোনার নতুন ধরন। যা আগের ভাইরাস থেকে অনেকটা শক্তিশালী বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্য সংকট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। করোনায় প্রতিদিনের মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। দেশটিতে এ অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫৬০ রোগী শনাক্ত ও ১ হাজার ৮৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৪৪ লাখ ৮২ হাজার ৫০ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৭ হাজার ২০২ জনের।

পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ও মৃত্যু নিয়ে আছে তৃতীয় অবস্থানে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৫ লাখ ৭২ হাজার ৬৭২ জনে পৌঁছেছে। মারা গেছে মোট ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৫৬ জন। 

ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৮৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯৯ জন ও মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার ৮৬৮ জনের।

তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৩৫ লাখ ৬৮ হাজার ২০৯ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৬৬ হাজার ৫৬৬ জনের।

আক্রান্ত দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার ৯৫৯ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৮৯ হাজার ২৬১ জনের।

আক্রান্ত দেশের তালিকায় ফ্রান্স রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ২৯ লাখ ১০ হাজার ৯৮৯ জনে পৌঁছেছে। মারা গেছে মোট ৭০ হাজার ২৮৩ জন। 

মেক্সিকো আক্রান্ত দেশের তালিকায় ১৩তম স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে চতুর্থ স্থানে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১৬ লাখ ৪১ হাজার ৪২৮ জন ও মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৭০৪ জনের।

তুরস্ক আক্রান্তের তালিকায় সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে, ইতালি অষ্টম স্থানে, স্পেন নবম ও জার্মানি দশম স্থানে রয়েছে। আর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৯তম। সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় যে বিষয়টি তা হলো, এই এক বছরের মধ্যে চীন সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষ স্থান থেকে ৮৩ নম্বর স্থানে নেমে এসেছে।

চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় গত বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। আর ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।

গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।