বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৩ লাখ ছাড়ালো

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা প্রায় ২৩ লাখ ছাড়িয়েছে। সেই সাথে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

জরিপ পর্যালোচনাকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের আজ শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১০ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ২৩১ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৩ লাখ ৮ হাজার ৮৫৩ জনের। আর ভাইরাসটিতে আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ কোটি ৭৫ লাখ ২৪ হাজার ৮৭৪ জন। 

বিশ্বে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশেই মিলেছে করোনার নতুন ধরন। যা আগের ভাইরাস থেকে অনেকটা শক্তিশালী বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্য সংকট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। করোনায় প্রতিদিনের মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৭ হাজার ৩২৪ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার ৭০৫ জনের।

পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ও মৃত্যু নিয়ে আছে চতুর্থ অবস্থানে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৮ লাখ ১৫ হাজার ২২২ জনে পৌঁছেছে। মারা গেছে মোট ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৫৬ জন। 

ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার ৮৮ জন ও মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ১২৭ জনের।

তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৩৯ লাখ ৩৪ হাজার ৬০৬ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৭৫ হাজার ৭৩২ জনের।

আক্রান্ত দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৩৯ লাখ ১১ হাজার ৫৭৩ জন ও মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ২৬৪ জনের।

আক্রান্ত দেশের তালিকায় ফ্রান্স রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪৭ জনে পৌঁছেছে। মারা গেছে মোট ৭৮ হাজার ৬০৩ জন। 

মেক্সিকো আক্রান্ত দেশের তালিকায় ১৩তম স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে তৃতীয় স্থানে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১৯ লাখ ১২ হাজার ৮৭১ জন ও মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৯০ জনের।

স্পেন আক্রান্তের তালিকায় সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে, ইতালি অষ্টম স্থানে, তুরস্ক নবম ও জার্মানি দশম স্থানে রয়েছে। আর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম। সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় যে বিষয়টি তা হলো, এই এক বছরের মধ্যে চীন সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষ স্থান থেকে ৮৩ নম্বর স্থানে নেমে এসেছে।

চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় গত বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। আর ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।

গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।