ইরাকে ফের রকেট হামলা

পর পর ১৩টি রকেট আছড়ে পড়লো পশ্চিম ইরাকের আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে। বিপুল পরিমাণ মার্কিন বাহিনী আছে এখানে। ঘটনায় সেনা বাহিনীর কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এক মার্কিন কনট্রাক্টরের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য পশ্চিম ইরাকের এই এয়ার বেসে বিপুল পরিমাণ মার্কিন সেনা বসবাস করে। এছাড়াও যৌথ বাহিনীর আরো বেশ কিছু দেশের সেনাও সেখানে আছে। আছে, ইরাকের সেনা। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার (৩ মার্চ) সেই সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করেই পর পর ১৩টি রকেট ছোড়া হয়।

মার্কিন সেনার এক মুখপাত্র সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আট কিলোমিটার দূর থেকে রকেট হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। কারা এই কাজ করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রকেট হামলা শুরু হওয়ার পরে এক মার্কিন কনট্রাক্টর প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় খুঁজছিলেন। তখনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, এই মাসেই উত্তর ইরাকে মার্কিন দূতাবাস এবং সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তার জবাবে সিরিয়ায় নির্দিষ্ট জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করেছে বলেও পেন্টাগন জানিয়েছে। তবে বুধবারের রকেট হামলা গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড়।

বুধবারের ঘটনার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং পেন্টাগন প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। বাইডেন জানিয়েছেন, যারা এ কাজ লাগাতার করে চলেছে, তাদের এবার উত্তর দেয়া হবে। পেন্টাগনও একই কথা জানিয়েছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, কারা এ কাজ করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে। ইরাকের প্রশাসনের দায়িত্ব আরো তথ্য দেয়ার। সব তথ্য হাতে এলেই এর জবাব দেয়া হবে।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইরানের মতদপুষ্ট বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী লাগাতার এ কাজ করছে। জেনারেল সুলেইমানির হত্যার পর থেকে তারা আরো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জেনারেলের হত্যার বদলা হিসেবেই এ কাজ করা হচ্ছে বলে তাদের দাবি। বস্তুত, সুলেইমানির হত্যার পরে ইরান প্রকাশ্যেই জানিয়েছিল যে, বদলার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এবং বিভিন্ন গোষ্ঠী তাতে অংশ নেবে। সে সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের সঙ্গে কার্যত যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। কিন্তু যে ভাবে গত কয়েকদিনে মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে, তাতে পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র- ডয়েচে ভেলে