মেগান-হ্যারির বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার

সম্প্রতি সিবিএস টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক কিছু তথ্য দেন ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কল। তার ছেলের গায়ের রং নিয়েও কতটা উদ্বেগ ছিলো রাজপরিবারে সে তথ্যই তুলে ধরে মেগান। এছাড়া কেনই বা তার ছেলে আর্চিকে প্রিন্স খেতাব দেওয়া হয়নি, তার ব্যাখ্যাও উঠে আসে রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়া হ্যারি ও মেগানের সাক্ষাৎকারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় কৃষ্ণাঙ্গ মা আর শ্বেতাঙ্গ বাবার ঘরে জন্ম নেওয়া মেগান সাক্ষাৎকারে বলে, ২০১৮ সালে রাজপরিবারে বিয়ে হওয়ার আগে তিনি ছিলেন সাদাসিধে জীবনের মানুষ। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর অসহায়ত্বের বোধ তাকে এতটাই গ্রাস করেছিল, যে তিনি আত্মহত্যার কথাও ভাবতে শুরু করেছিলেন। সাহায্য চেয়েও যখন কাউকে পাশে পাননি, তখন নিজের ক্ষতি করার কথাও ভাবতে শুরু করেছিলেন।

“তারা চায়নি ও (সে সময় মেগানের অনাগত সন্তান) প্রিন্স বা প্রিন্সেস হোক, সে মেয়ে না ছেলে হবে তা না জেনেই। রীতি অনুযায়ী যা হওয়ার কথা তা না হওয়ায় ভবিষ্যতে সে নিরাপত্তাও পেত না।”

“আমি যখন অন্তঃস্বত্ত্বা, আমার দিনগুলো একইরকম ছিল, বার বার ওই কথাগুলো ঘুরে ফিরে আসছিল- ‘তুমি নিরাপত্তা পাবে না, কোনো খেতাবও পাবে না’। আর যখন ওর জন্ম হবে, ওর গায়ের রঙ কতটা কালো হতে পারে সেসব নিয়ে তাদের আলাপ আর উদ্বেগও তো ছিলই।

রাজ পরিবারের কে বা কারা গায়ের রঙ নিয়ে ওই উদ্বেগের কথা বলেছিল, তা প্রকাশ করতে চাননি মেগান। তিনি নিজেই সে সময় চুপ ছিলেন, না তাকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল- এই প্রশ্নে মেগান বলেছেন- ‘পরেরটি’।

হ্যারি বলেছেন, তিনি রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়েছেন বোঝাপড়ার সঙ্কটের কারণে। তাছাড়া তার ভয় ছিল, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি আবার না ঘটে। ১৯৯৭ সালে নিজের মা প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর ঘটার দিকেই ইংগিত করেছেন হ্যারি। 

তিনি বলেছেন, “দাদির সাথে আমার এ নিয়ে তিন দফা কথা হয়েছিল। আর বাবা ফোন ধরা বন্ধ করে দেওয়ার আগে তার সাথেও দুই দফা কথা হয়েছে। পরে উনি আমাকে বলেছিলেন, আমি সব কথা তাকে লিখিতভাবে জানাতে পারি কি না।”

এদিকে, হ্যারি-মেগানের সমালোচকরা বলেন, রাজপরিবারের দায়িত্বে যে নিষ্ঠা প্রয়োজন, তার বদলে তারা গুরুত্ব দিয়েছেন ‘গ্ল্যামারকে’। যদিও তাদের সমর্থকদের ভাষায়, সেকেলে ব্রিটিশ ধ্যানধারণা যে এখনও বর্ণবাদের চেতনা বহন করে চলেছে মেগানের প্রতি তাদের আচরণই তার প্রমাণ।


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //