আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:৩৮ পিএম
আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:৩৯ পিএম
জ্বালানি নিয়ে বিপাকের মুখে রয়েছে গোটা ইউরোপ। গোটা ইউরোপজুড়ে চলতি বছরে দেখা দিতে পারে ভয়াবহ সংকট। গেল বছরে জ্বালানি সংকট কোনোরকমে কাটিয়ে উঠলেও চলতি বছরে জ্বালানি কোনোভাবেই মোকাবিলা করতে পারবে না ইউরোপ। কেননা সংকট আরো মারাত্মক রূপ নেবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা এমনটাই মনে করছেন।
একই দিকে ইঙ্গিত দিয়ে জ্বালানি জায়ান্ট টোটাল এনার্জির প্রধান নির্বাহী প্যাট্রিক পোয়ান বলেছেন, চলতি বছর ইউরোপের দেশগুলো ইতিহাসের ভয়াবহতম গ্যাস সংকটে পড়তে পারে। বর্তমানে তুলনামূলক কম দামে জ্বালানি পাওয়া গেলেও খুব বেশিদিন তা স্থায়ী হবে না।
ইউরো নিউজের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এতদিন রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল ছিল ইউরোপের দেশগুলো। গোটা ইউরোপের মোট গ্যাস চাহিদার ৪০ শতাংশ একাই সরবরাহ করত রাশিয়া। কিন্তু গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় জ্বালানির বিকল্প উৎস খুঁজছে ইউরোপ। রিজার্ভ থেকে তেল ছেড়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।
সবচেয়ে বেশি শঙ্কা ছিলো শীত মৌসুম ঘিরে। ইউরোপের প্রায় সব দেশই শীতকালে ঘর গরম রাখতে জ্বালানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। চলতি শীত মৌসুম ইউরোপ কোনোভাবে পার করতে পারলেও সামনের শীত ঘিরে শঙ্কা রয়েই গেছে।
টোটাল এনার্জির প্রধান নির্বাহী প্যাট্রিক পোয়ান জানান, এই মৌসুমে তেমন ভোগান্তিতে পড়বে না ইউরোপ। কারণ, বিভিন্ন দেশ এরই মধ্যে তাদের প্রয়োজনীয় গ্যাস মজুত করে রেখেছে। তবে ২০২৩ সালে গত বছরের তুলনায় রাশিয়া থেকে আরও কম জ্বালানি পাবে ইউরোপ। রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে অন্যান্য উৎস থেকে গ্যাস কিনে সাময়িকভাবে হয়তো জ্বালানি সংকটের সমাধান করা যাবে, কিন্তু সেসব উৎস টেকসই হবে না বলে মনে করেন পোয়ান। ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় এরই মধ্যে এলএনজির বাজারে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : ইউরোপ জ্বালানি সংকট রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এলএনজি
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh