তুরস্কে ‘হামাগুড়ি’ দিয়ে চলছে উদ্ধারকাজ, নিহত ৫০০০

শতাব্দীর সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প গতকাল সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক-সিরিয়ায় আঘাত হেনেছে। উদ্ধারকর্মীরা এক প্রকার ‘হামাগুড়ি’ দিয়ে ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়াদের উদ্ধার করছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা পাঁচ হাজার।

দেশটিতে স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সকাল ৪টা ১৭ মিনিটে প্রথম দফা এবং ৪টা ২৮ মিনিটে দ্বিতীয় দফায় ভূমিকম্প আঘাত হানার পর আরও বেশ কয়েকবার মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

বার্তাসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গৃহযুদ্ধ এবং অন্যান্য সংঘাতের কারণে সিরিয়ার থেকে পালিয়ে তুরস্কের একটি শহরে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। ভূমিকম্পে শহরটি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

উদ্ধারকারীরা ভারি যন্ত্রপাতি এবং খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে বেঁচে থাকা মানুষদের খুঁজছেন। অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে সাহায্য প্রার্থনা করছেন।

তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরের এক বাসিন্দা মেলিসা সালমান বলেন, ‘যেহেতু আমি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে থাকি, তাই আমি এতে অভ্যস্ত।’

২৩ বছর বয়সী মেলিসা আরও বলেন, ‘তবে এই প্রথম আমরা এ ধরনের ঘটনা দেখছি।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শত শত মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা ওই এলাকার বিভিন্ন শহর ও শহরে ধ্বংসাবশেষের স্তূপে অভিযান চালাচ্ছেন। ফলে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটি তুরস্কের গাজিআন্তাপ প্রদেশের নুরদাগি জেলার ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার। নুরদাগি অঞ্চলটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তে অবস্থিত। এ অঞ্চলের বেশ কিছু দেশে ভূকম্পন অনুভূত হয়, যার মধ্যে আছে সিরিয়া, লেবানন ও ইসরায়েল। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //