সহিংসতার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এখন চলছে ভোট গণনা। আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।
দিনব্যাপী ভোটকে কেন্দ্র করে দেশটির একাধিক স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তাকর্মী, শিশু ও পুলিশসহ ৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। সহিংসতা এড়াতে মোবাইল পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কিছু স্থল সীমান্ত বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান।
এবারের নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশটির তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ পার্টির নেতা নওয়াজ শরিফ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। নির্বাচনে দেশটির বিরোধীদল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রধান ইমরান খান অংশ নিতে পারেননি। তিনটি আলাদা মামলায় কারাদণ্ড পেয়ে তিনি এখন জেলে বন্দি আছেন। তবে ইমরান খান জেলের ভেতর থেকেই নিজের ভোট প্রদান করেছেন। এই নির্বাচনে তার দলের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।
নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। সবমিলিয়ে ৯০ হাজার ৬৭৫টি বুথে ভোট দেন সাধারণ ভোটাররা। এসব ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন ১৪ লাখ কর্মী।
পাক সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, মধ্যরাতের পর ভোটের ফলাফল জানা যাবে। আর পূর্ণ ফল জানতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে ফলাফল জানা যাবে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh