আজ কলকাতায় বন্ধ। রাস্তায় সকাল থেকে সচল বাস চলাচল। সরকারের তরফে আগেই আশ্বস্ত করা হয়েছিল গণ পরিবহন সচল থাকবে। আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকেই কলকাতার রাস্তায় সেই ছবি দেখা গেল। শ্যামবাজার চত্বরে সকালে বেসরকারি বাসের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। হাওড়া ও যাদবপুর এইট বি-তেও বাস পরিষেবা স্বাভাবিক।
এদিন সকালে ভাটপাড়ায় গুলি চলল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাটপাড়ার ঘোষপাড়া এলাকায়। ঘটনায় এক জন আহত হয়েছেন বলে খবর। তাকে ব্যারাকপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর।
এর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে (৩১) ধর্ষণ ও হত্যার বিচার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন অভিমুখে যাত্রা করেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী।
এদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা-গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছেন। তার কথায়, রবি সিংহ নামে আমাদের দলের এক কর্মী আহত হয়েছেন। রবিরা আমার বাড়ি আসছিলেন। ঘোষপাড়া মোড়ের কাছে তার গাড়ি আটকানো হয়। তার পর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
আজ বুধবার সকালে কালিয়াগঞ্জ শহরের সুকান্ত মোড় থেকে বিবেকানন্দ মোড় পর্যন্ত একটি মিছিল করেন বিজেপি সমর্থকেরা। বিবেকানন্দ মোড়ে কিছু ক্ষণ সময়য়ের জন্য পথ অবরোধ করেমন তাঁরা। আগুল জালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তবে পুলিশ এসে তাঁদের সরিয়ে দেয়। তবে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি জায়গা ছাড়া কালিয়াগঞ্জ শহরের পরিস্থিতি এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শহর জুড়ে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাস ভাঙচুর কোচবিহারে মাথাভাঙা-কোচবিহার রাজ্য সড়কে এনবিএসটিসির বাসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ বন্ধ সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রাস্তায় বাস-গাড়ি আটকানোর অভিযোগও উঠেছে। বন্ধের বিরোধিতায় কোচবিহারে পাল্টা পথে নেমেছে জেলা তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল শহরের বিভিন্ন বাজার যায়। মাইকিং করে দোকানপাট খুলে রাখার আবেদন করা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ। জবাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়েন শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় অন্তত ২২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে কর্মসূচি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি। আজ বুধবার রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টা ধর্মঘট পালনের ডাক দিয়েছে দলটি। তবে এই আন্দোলনকে ‘রাজনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে এর কঠোর সমালোচনা করেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস।
এর আগে গত সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রসমাজ। এর পরই কলকাতা শহরজুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই নবান্ন চত্বরে ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা। শহরের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয় কনটেইনার।
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে আন্দোলনকারীদের ভিড়। সাঁতরাগাছিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেলও ছোড়েন। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যান বিক্ষোভকারীরা।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh