কাঁচা পাট রফতানি বন্ধ চায় মিল মালিকরা

সংকট মেটাতে বেসরকারিখাতের পাটকল মালিকরা কাঁচা পাট রফতানি নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানিয়েছে।

এজন্য তারা সরকারকে টন প্রতি কাঁচা পাট রফতানির ওপর ২৫০ মার্কিন ডলার রফতানি শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছে। 

গতকাল বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি পাটকল মালিকরা এসব দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুবুর রাহমান পাটোয়ারী বলেন, বর্তমান পাট মৌসুমে কাঁচা পাটের ফলন খরা ও অতিবন্যার কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাটের এই ভরা মৌসুমে এরই মধ্যে পাটের বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়া শুরু করেছে। দেশে প্রতিবছর যেখানে ৭৫ লাখ বেল পাট উৎপাদন হয়, সেখানে এবছর করোনাভাইরাস ও বন্যার কারণে ৫৫ লাখ বেল পাট উৎপাদন হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। প্রায় ৩০ শতাংশ পাট উৎপাদন গতবারের তুলনায় কম হবে।

তিনি বলেন, দেশে পাট শিল্পের জন্য পাটের প্রয়োজন হবে ৬০ লাখ বেল, গৃহস্থালী ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন ৫ লাখ বেল। সবমিলিয়ে মোট কাঁচা পাটের প্রয়োজন হবে ৬৫ লাখ বেল। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে কাঁচাপাট রফতানি বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এভাবে কাঁচা পাট রফতানি হলে আরো সংকট বাড়বে। পাটের অভাবে মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। তাই সরকার যদি এখনই কাঁচা পাট রফতানি নিরূৎসাহিত না করে, তাহলে দেশে পাট শিল্প মারাত্বক ক্ষতির মুখে পড়বে।

মাহবুবুর রাহমান বলেন, জুলাই ও আগস্টে দেখা গেছে দেশের সবচেয়ে ভাল মানের পাট যেটি বাংলা তোসা, সেটি রফতানি হয়েছে। মূলত রফতানিজাত পাট পণ্য তৈরিতে এই পাট ব্যবহার হয়। 

তিনি বলেন, কাঁচা পাট সরবরাহ ঘাটতির কারণে পাটকল বন্ধ হয়ে গেলে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রেতারা পাটপণ্য ব্যবহার থেকে সরে দাঁড়াবে, যা পাট শিল্পকে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিতে ফেলবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. জাহিদ মিয়া, বাংলাদেশ বহুমূখী পাটপণ্য উৎপাদন ও রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মো. রাশিদুল করিম মুন্না উপস্থিত ছিলেন। -বাসস

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //