বিদ্যমান ডলার সংকটের কারণে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) ও ইউসেন্স পেঅ্যাবল এট সাইটের (ইউপিএএস) অধীনে বাণিজ্যিক ব্যাংকে কাঁচামাল আমদানির জন্য ওপেনিং লেটার অফ ক্রেডিট (এলসি) খুলতে পারছে না গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানগুলো।
গতকাল রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) বাংলাদেশ ব্যাংককে দেওয়া এক চিঠিতে এমন পরিস্থিতির কথা জানায়।
চিঠিতে বিটিএমএ জানিয়েছে, প্রচুর রপ্তানি চাহিদা পাওয়া স্বত্বেও দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি করতে পারছে না। তুলা, পলিয়েস্টার স্টেপল ফাইবার (পিএসএফ) এবং ভিসকস স্টেপল ফাইবার (ভিএসএফ) আমদানি করতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের। ব্যাংকগুলোর এলসি খুলতে অনাগ্রহের কারণে টেক্সটাইল এবং পোশাক সামগ্রীর উত্পাদন এবং রপ্তানিতে খারাপ প্রভাব পড়বে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, টেক্সটাইল মিলগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন এবং রপ্তানি কার্যক্রমের জন্য কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ মাসের কাঁচামাল মজুত থাকতে হয়। এছাড়া আমদানি করা কাঁচামাল পেতেও প্রায় তিন থেকে চার মাস সময় লাগে।
টেক্সটাইল মিলার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দেশীয় পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক কোম্পানিগুলোর কাছে যে কাঁচামাল রয়েছে তা দিয়ে আগামী তিন মাস উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া যাবে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি না খুললে অনেক স্পিনিং মিলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, উৎপাদন কমে গেলে বিদ্যমান ডলার সংকট আরো বাড়বে কেননা এটি রপ্তানি আয়কেও প্রভাবিত করবে। এছাড়া অনেকে চাকরি হারাবেন। বেকারত্বও বেড়ে যাবে।
বিটিএমএ কেন্দ্রীয় ব্যাংককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং ইডিএফ ও ইউপিএএস’র অধীনে এলসি খোলার বিষয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : পোশাক গার্মেন্টস আমদানি বাংলাদেশ ব্যাংক
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh