নামাজ না পড়ার শাস্তি যেমন হবে

নামাজ ইসলামের প্রধান ইবাদত। এ ইবাদতের প্রতিদান সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে এসেছে অনেক বর্ণনা। আবার যারা নামাজ আদায় করে না, তাদের ভয়াবহ পরিণাম ও শাস্তির কথাও এসেছে কোরআনে। 

কোরআনে বর্ণিত নামাজ তরককারীর শাস্তির কথাগুলো মানুষ জানতে পারলে নামাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতে নিয়োজিত রাখবে। তাই কুরআনে ঘোষিত বেনামাজির শাস্তির কথাগুলো তুলে ধরা হলো- 

নামাজ পরিত্যাগেই সৃষ্টি হয় বিবাদ ও পতন

যারা একেবারে নামাজ পড়ে না কিংবা মন চাইলে দু/এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ে অথবা সাপ্তাহ, মাস কিংবা বছরে নামাজ পড়ে। তারা খুব শীঘ্রই অশান্তি ও পতন নেমে আসবে। শাস্তি তাদের জন্য অবধারিত। আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘তাদের পরে যারা তাদের স্থলাভিষিক্ত হল, তারা নামাজ নষ্ট করল (একেবারে নামাজ পড়ে না কিংবা মন চাইলে ) এবং নফসের লালসা-বাসনার অনুসরণ করল। সুতরাং তারা অচিরেই এই কুকর্মের (নামাজ নষ্টের ও প্রবৃত্তিপরায়ন হওয়ার) শাস্তি ভোগ করবে। অবশ্য যারা তওবা করেছে, ঈমান এনেছে ও সৎকর্মশীল হয়েছে তারা ব্যতিত।’ (সুরা মারইয়াম : আয়াত ৫৯)

 বেনামাজির অবস্থান হবে সাকার জাহান্নাম

আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতি কাজের হিসাব নেবেন। আর প্রতি কাজের হিসাব দিতে না পারলে শাস্তি অবধারিত। শাস্তি প্রাপ্ত মানুষকে তাদের অপরাধে কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তারা তাদের অপরাধগুলোও বলতে থাকবে। আল্লাহ তাআলা কুরআনে সে কথা তুলে ধরেন এভাবে-

‘কোনো জিনিস (কাজ) তোমাদেরকে (সাকার) জাহান্নামে নিয়ে এল? তারা বলবে আমরা নামাজিদের অন্তর্ভূক্ত ছিলাম না। (সুরা আল-মুদ্দাচ্ছির : আয়াত ৪২-৪৩)

যথাযথভাবে নামাজ না পড়ার শাস্তি

যারা মোটেও নামাজ পড়ে না বা পড়লেও করে অবহেলা। আবার কোনো কোনো সময় নামাজ পড়ে আবার নামাজে দেরি করে। এমনকি নামাজে বিনয় ও নম্রতা না থাকলেও তা যথাযথভাবে আদায় বলে বিবেচিত হয় না। আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘সুতরাং দুর্ভোগ (ওয়াইল নামক জাহান্নামের কঠিন শাস্তি) সেসব নামাজ আদায়কারীদের জন্য যারা তাদের নামায সম্পর্কে উদাসিন।’ (সুরা মাউন : আয়াত ৪-৫)

হাশরের ময়দানে যেসব বেনামাজি অপমাণিত হবে

দুনিয়াতে যারা যথাযথভাবে নামাজ আদায় করবে, পরকালে তারা আল্লাহর নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে সেজদায় লুটিয়ে পড়বে। আর যারা দুনিয়াতে যথাযথভাবে নামাজ পড়বে না, লোক দেখানো কিংবা সুনাম লাভের আশায় নামাজ পড়তো তারা সে দিন সেজদা করতে পারবে না। বরং তারা হবে অপমানিত ও লাঞ্ছিত। আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘(স্মরণ কর) সেই চরম সংকটময় কিয়ামত দিবসের কথা যেই দিন তাদেরকে আহবান করা হবে সেজদা করার জন্য কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবেনা। তাদের দৃষ্টি অবনত হবে, হীনতা তাদের আচ্ছন্ন করবে অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল, তখন তো তাদের সেজদা করার আহ্বান করা হতো (কিন্তু তারা সেজদা করেনি)।’ (সুরা আল-কালাম : আয়াত ৪২-৪৩)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত আল্লাহর নির্ধারিত ফরজ নামাজগুলো যথাযথভাবে আদায় করা। দুনিয়া ও পরকালে অপমান লাঞ্ছনা ও শাস্তি থেকে বেঁচে থাকা।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //