মালয়েশিয়া বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালিত

মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দূতাবাসের প্রধান ফটকে দিবসের শুরুতে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সরোয়ার দূতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেসীদের উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও উপস্থিত সবাইকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর হাইকমিশনার  মো. গোলাম সরোয়ারের সভাপতিত্বে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শোক দিবসের আলোচনা সভা।

দূতাবাসের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রেহানা পারভীনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের  শ্রম সচিব সৈয়দ শরিফুল ইসলাম। 

প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) এবং দূতালয় প্রধান ফারহানা আহমেদ চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মিয়া মোহাম্মদ কিয়ামুদ্দিন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন ২য় সেক্রেটারি (শ্রম) সুমন দাস।

আলোচনা সভায় হাইকমিশনার মোঃ গোলাম সরোয়ার  বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেদিন বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় রচিত হয়েছিল। এই বর্বর হত্যাযজ্ঞ ছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটি দেশের আত্মবিকাশকে রুদ্ধ করে দেয়াই ছিল এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড জাতির অস্তিত্ব ও মননে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে। তবে সে ক্ষতের কিছুটা উপশম হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে খুনিদের বিচারের মাধমে।

এসময় বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমডোর তারিকুল ইসলাম, কাউন্সিলর কন্স্যুলার জি এম রাসেল রানা, ফার্স্ট সেক্রেটারি শ্রম এ এস এম জাহিদুর রহমানসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।