ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৩:২৯ পিএম
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় চলতি বছরে এ পর্যন্ত লাসা জ্বরে ২৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নাইজেরিয়ার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) এ কথা জানায়।
স্বাস্থ্য সংস্থাটির রিপোর্টে বলা হয়, ২০১৯ সালে এই জ্বরে ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে, এবার এই সংখ্যা আরো ৭২ জন বেশি।
মারবুর্গ ও ইবোলা ভাইরাসের সমগোত্রের ভাইরাস হলো লাসা। ইঁদুরের মাধ্যমে মল-মূত্র থেকে খাবার ও গৃহস্থালী সামগ্রীর সংস্পর্শে এসে এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। মূলত নেংটি ইঁদুর থেকেই ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই জ্বর প্রাণঘাতী নয়। তবে এই জ্বরে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায়। সাথে মাথাব্যথা, মুখে ঘা, মাংসপেশিতে ঘা, ত্বকের নিচে রক্তরক্ষণ, হৃদযন্ত্র বা কিডনি অচল হয়ে যেতে পারে। এই জ্বরে আক্রান্ত হলে ২১ দিন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। সংস্পর্শ থেকেই এই রোগ ছড়ায়।
এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে অন্য কারও শরীরে রক্ত বা রক্তজাতীয় পদার্থের সঞ্চালনের মাধ্যমেও এই রোগ ছড়াতে পারে। ৮০ ভাগ ক্ষেত্রেই লাসা জ্বরের উপসর্গ বোঝা যায় না। শনাক্ত করতে দেরি হলে শরীরের ভেতরেও রক্তক্ষরণ হতে পারে।
রিপোর্টে বলা হয়, নাইজেরিয়ায় ২০২০ সালে এই জ্বরে আক্রান্ত এক হাজার ১৭৫ জন শনাক্ত করা হয়েছে। দেশটির ৩৬টি প্রদেশের মধ্যে ২৭টি থেকে এই রিপোর্ট পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর পশ্চিম আফ্রিকায় ১ লাখ থেকে ৩ লাখ মানুষ লাসা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এরমধ্যে অন্তত ৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
ABOUT CONTACT ARCHIVE TERMS POLICY ADVERTISEMENT
প্রধান সম্পাদক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ | প্রকাশক: নাহিদা আকতার জাহেদী
প্রধান সম্পাদক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ
প্রকাশক: নাহিদা আকতার জাহেদী
অনলাইন সম্পাদক: আরশাদ সিদ্দিকী
অনলাইন সম্পাদক: আরশাদ সিদ্দিকী | ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
© 2021 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh