বুধবার (২৩ আগস্ট) জিম্বাবুয়েতে শুরু হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় ও শেষবারের মত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমারসন এমনাঙ্গাগাওয়া। সংঘর্ষ-হানাহানি আর রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে চলমান দেশটিতে ২০১৭ সালে দমন ও নিপীড়নের জন্য পরিচিত প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের পতনের পর এটি দ্বিতীয় নির্বাচন হিসেবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এবারের নির্বাচনে ১২ জন প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন। তাদের মধ্যে ৮০ বছর বয়স্ক এমনাঙ্গাগাওয়াকেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে দেখছেন দেশটির জনগণ। আর তার বিপরীতে আরেক প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি হলেন বিরোধীদলের নেতা ৪৫ বছর বয়স্ক নেলসন কামিজা। এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কামিজাকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এমনাঙ্গাগাওয়া।
এদিকে কামিজা অবশ্য তার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী এবং তিনি মনে করছেন এবারেই দেশটিতে ৪৩ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা জানু-পিএফ পার্টির শাসনামলের অবসান ঘটবে। এর আগে ১৯৮০ সালে শ্বেতাঙ্গ কর্তৃত্ব হতে দেশটি স্বাধীনতা পাওয়ার পর মাত্র দুইজন নেতা পেয়েছে।
অন্যদিকে অক্টোবরের ২ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে রান অফ ইলেকশন। আর সেখানে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী জয় না পেলে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় যিনি এগিয়ে থাকবেন তিনিই হবেন এবারের প্রেসিডেন্ট।
এছাড়াও এ নির্বাচনের মধ্যদিয়েই দেশটির পার্লামেন্টের ৩৫০ টি আসনের পাশে ২০ হাজার স্থানীয় কাউন্সিলরের ভাগ্যও নির্ধারিত হবে।
নির্বাচনের দিন দেখা গেছে রাজধানী হারারের বেশ কয়েকটি গরীব অধ্য্যুষিত এলাকার জনগোষ্ঠী ভোট শুরুর দুই ঘন্টা আগেই উপস্থিত হন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে। এর আগে সকাল ৭ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। এ সময় ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখতে পাওয়া যায়।
ভোট দিতে আসা স্থানীয় এক ভোটার বাসিল জানান, আমরা পরিবর্তন আশা করি। এটি আমার জীবনের তৃতীয়বারের মত ভোট দিতে আসা। আমি প্রবলভাবে আশা করি এবারে আমার ভোটটি গণনা করা হবে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh