স্বপ্ন তৈরি করে শিল্পী: ভাস্কর রাসা

ভাস্কর রাসা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোনো ইনস্টিটিউশন থেকে পড়ালেখা করে বেড়ে ওঠা ভাস্কর-শিল্পী নন। তিনি ছেলেবেলা থেকেই নিজের চর্চা ও শিল্পবোধের মধ্য দিয়ে তৈরি হওয়া এক কলাজ্ঞ।

পৃথিবীজুড়ে এমন শিল্পীর সংখ্যা কম নয়, প্রাতিষ্ঠানিক শিল্পীদের ভিড়ে এই অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পীদের শিল্পের লড়াই সে কারণে বহুমাত্রিক। কখনো এঁরা সহজে কোথাও ঠাঁই পান না- নিজের শিল্পের প্রদর্শন এবং শিল্পভুবনকে জানান দেওয়ার। সম্প্রতি ভাস্কর রাসার ‘জয় বাংলা’ শিরোনামে একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শেষ হয়েছে শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা গ্যালারিতে। প্রদর্শনী চলাকালে গুণী এই শিল্পীর সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়, শিল্পচিন্তাসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন-  এহসান হায়দার। 

‘জয় বাংলা’ শিরোনামের এই একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী, কততম প্রদর্শনী আপনার?

এটি আমার ৫ম একক প্রদর্শনী। পূর্বে ৪টি একক আর চারটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছি। 

এবারের প্রদর্শনীতে সমকালীন বেশ কিছু বিষয় লক্ষ করেছি- বিশেষ করে চিত্রকর্মে...

হ্যাঁ, সমকালীন প্রেক্ষপটটিই বেশি গ্রহণীয় আমার কাছে। যেমন ধরুন করোনা মহামারি আকারে পৃথিবীতে এসেছে, মানুষ মারা যাচ্ছে, সকলে যে যেদিকে পারছে ছুটছেÑ এ সমস্ত আমরা দেখেছি। মোটকথা মানুষ উদ্ভ্রান্ত। এই উদ্ভ্রান্ত সময়টিই আমার তুলিতে কাঠামোভুক্ত করেছি।

আপনার জন্ম ১৮ই মে ১৯৫৮, জম্মস্থান কুমিল্লা, পৈতৃকনিবাস ফরিদপুর আর বেড়ে ওঠার পুরো সময়টাই ঢাকায় কেটেছে। এই যে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় আপনার থাকার ঠিকানা- শৈশবে আপনার বেড়ে ওঠার সঙ্গে আপনার শিল্পকর্ম বা শিল্পচিন্তায় কতটা প্রভাবিত করেছে? 

হ্যাঁ, প্রভাব তো পড়ে। মানুষের জীবন, জীবন সংগ্রামের- এরই মধ্য দিয়ে নিজের কাজকর্ম করতে হয় এটিই সত্য। যা দেখি তাই-ই ভাবায় ফলে শিল্পকর্মও তো এসবেরই একটি রূপ।

ক্রাউড ফান্ডিংয়ের একটি বিষয় দেখলাম- ‘হিরোশিমা ভাস্কর্যটা’র কথা জানতে চাইছি... 

পৃথিবীতে পারমাণবিক-রাসায়নিক অস্ত্র এখন বিশ্বসভ্যতার জন্য হুমকির বিষয়। পৃথিবীকে মেরে ফেলতে চাইছে। সেই অবস্থায় আমাদের কেউই প্রতিরোধ হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। দাঁড়াতে হবে কাদের? শিল্পীদের। সৃজনশীল মানুষদের প্রতিরোধ গড়তে হবে। বলতে হবে পারমাণবিক-রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করো, বৃক্ষরোপণ বৃদ্ধি করো। এর মধ্যে পৃথিবীর উষ্ণায়ন বেড়ে গেছে। আরো ভয়ংকর অবস্থার মধ্যে আমরা চলে যাচ্ছি। তাই আমি একটি প্রস্তাব রেখেছি; হিরোশিমা ভাস্কর্য। এটি ৩০০ ফুট উঁচু পারমাণবিক-রাসায়নিক অস্ত্রবিরোধী একটি বিশাল ভাস্কর্য হবে। আপনি দেখুন, মুসলমান হিন্দু খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সবাই কিন্তু অস্ত্রের আঘাতে মারা যাচ্ছে। ফলে সব মানুষকে রক্ষা, এই অস্ত্রবাজদের প্রতিরোধ করার জন্য একটা মাইলস্টোন তো লাগবে। একটা পিলার লাগবে, যেখানে দাঁড়িয়ে আপনি কথাটা বলবেন। তাই আমি প্রস্তাব করেছি হিরোশিমা ভাস্কর্য প্রকল্প। 

কয় বছর লাগতে পারে কাজ শুরু করার পর?

অন্তত ৫ বছর লাগবে ভাস্কর্য করতে, আরো ৫ বছর লাগবে পুরো স্ট্রাকচারটি করতে। 

আর ফান্ড ম্যানেজ করতেও তো সময় যাবে, আপনার এটি তো ক্রাউড ফান্ডিংয়ে হবে? 

এই যেমন আফ্রিকায়, দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধী ভাস্কর্য। শত শত মানুষ কৃষিকর্ম করছে। ভিন্ন দেশের ভাস্কররা গিয়ে কাজ করছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ সেখানে টাকা দেয়, ১ ডলার করে জমা দিচ্ছে। আমার এই শিল্পকর্মটিতে আমি চাই ব্যাপক মানুষের সম্পৃক্ততা। দেশের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের মধ্যে শিল্পবোধ জাগরিত করতে হবে। বিশ্বব্যাপী ভাবুন, সিরিয়ায় যুদ্ধবিরোধী ভাস্কর্য। সিরিয়ায় যত বিশাল ভাঙাচোরা, যা আছে সব এক জায়গায় জড়ো করেন। জড়ো করে যুদ্ধবিরোধী ভাস্কর্য করেন। এই যে চলমান যুদ্ধ-আগ্রাসন, মানুষকে তার থেকে মুখ ফিরিয়ে আনতে হবে। অনেকেই বলছেন ডোনেশনের কথা। এখানে ওখানে বললে ডোনেশন পাওয়া যাবে; কিন্তু আমি বললাম না, ডোনেশন আনলে মানুষকে আপনি অংশগ্রহণ করাতে পারবেন না। মানুষের একটা শিল্পবোধ আছে, সেটা সুপ্ত। তাকে জাগিয়ে তুলতে হবে এই মুহূর্তে। 

শিল্পী হিসেবে আপনার শিল্পভাবনার অবস্থান থেকে বর্তমান সময়কে নিয়ে বলুন...

বিশ্বের একমাত্র হানাদার পারমাণবিক-রাসায়নিক অস্ত্রধারী ভেটো পাওয়ারের দেশগুলো, এরা তো দস্যুতার পর্যায়ে চলে গেছে। সাধারণ মানুষ আমরা, আমাদের জীবন তো এই কয়টা লোকের জন্য জিম্মি করে দিতে পারি না। ৭০০ কোটি লোকের জীবন এই কয়টা লোকের জন্য জিম্মি হয়ে আছে। তার বিরুদ্ধে আপনি দাঁড়াবেন না? আপনাকে দাঁড়াতে হবে শিল্পের ক্ষেত্র থেকে। শিল্প হলো সমাজ  গঠনের  একটি প্রক্রিয়া। সমাজকে আগামীতে কীভাবে গঠন করবেন, সেই ধারণাকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে, সামাজিকভাবে অংকনের মাধ্যমে ভাস্কর্যের মাধ্যমে উপস্থাপন করে। ভাবনার এই জায়গাগুলো আমাদের খুব জরুরি। আপনি দেখুন ইরিগেশন প্রজেক্ট হয় না, যদি দশটি দেশ গিয়ে আফ্রিকায় চাষ করে, তবে মানুষ বাঁচবে। আফ্রিকায় মানুষ  মারা যাচ্ছে না খেতে পেয়ে, লক্ষ লক্ষ শিশু পুষ্টিহীন। এত টাকা দিচ্ছেন বিশ্বব্যাংক রিফিউজিদের, কিন্তু আপনি ইরিগেশন প্রজেক্টে টাকা দিচ্ছেন না কেন! জাতিসংঘ? আপনি রিফিউজি বানাতে চাচ্ছেন তাদের? তাকে তো কর্মঠ মানুষ, দায়িত্বশীল মানুষ করতে চান না আপনি। উদ্ভ্রান্ত মানুষে পরিণত করে রাখতে চান রিফিউজি বানিয়ে। যারা রিফিউজি, তারাই আশেপাশে কৃষিকর্ম করুক। তখন আর সেই রিফিউজি সেন্সটা তার মাথায় থাকবে না। তখন মাটিকে সে ভালোবাসবে, সেখানে ফসল উৎপাদিত হবে। সে জীবন-স্বপ্ন দেখতে পারবে। অথচ আপনি আন্তর্জাতিকভাবে তাদের রিফিউজি বানিয়ে দিচ্ছেন।  

এই যে আয়লান কুর্দি, চিন্তা করেন বিশ-তিরিশ লক্ষ পরিবার, গৃহহারা হয়ে গেল! ছন্নছাড়া হয়ে গেল, যুদ্ধের কারণে। এটাকে রোধ করতে হবে। শিল্পীদের রোধ করতে হবে, সৃজনশীল মানুষদের রোধ করতে হবে। এই জায়গাটা খুবই জরুরি। 

শিল্প কি মাফিয়া লুটেরাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে না?  

আমাদের দেশে নব্য ধনিক শ্রেণির মধ্যে শিল্পবোধ কিন্তু খুব জাগরিত না। শিল্পীকে তারা মনে করেন করুণার পাত্র। তবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ ব্যতিক্রম; কিন্তু এই সংখ্যা খুবই কম। বিজ্ঞাপনের জন্য, স্পন্সরের জন্য আপনি বড়লোকের কাছে যাবেন; সে করুণা করবে আপনাকে; কিন্তু হাজার হাজার বড়লোক আছে, কোটি কোটি টাকা, কিন্তু একটাও নজরুল তো আর নাই। সব টাকা দিয়ে তো একটা সুকান্ত বানাতে পারবেন না, একটা নজরুল বানাতে পারবেন না, একটা জীবনানন্দ বানাতে পারবেন না, একটা জয়নুল বানাতে পারবেন না। 

এই বোধ আমাদের সমাজ থেকে উবে গেছে। একে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে যে টাকা দিয়েই সব হয় না। আর তাদের দায়িত্বশীল করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার ভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বলবে তাদের কথা। দেশপ্রেমিক শিল্পপতির দায়িত্ব তো অনেক। তার সিএসআর (CSR) আছে, সামাজিক অর্থ খরচ করার; ওইটা কোথায় করে? শিল্প-সাহিত্যে করে? কতটুকুইবা করে? আমরা তো দেখি না। এদের বিরুদ্ধে আরেকটা অভিযোগ আছে, করপোরেট অত্যাচার। যেমন- কিছুদিন আগে আমরা দেখলাম চাল-তেলের দাম বাড়িয়ে দিল। ছয়টা কোম্পানি, দেশের বিখ্যাত কোম্পানি, নামকরা কোম্পানি। এরা সরকারকে বিপদে ফেলে দিল। দেশে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির জন্য এরা দায়ী। এরা চাচ্ছিল একটা কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হোক, এরা ফয়দা লুটুক। যেমন জর্জ ফ্লয়েডকে, আজকে মারল তা তো না। মারা হচ্ছে তিন-চার পুরুষ ধরে। আমার ছবিটা দেখেছেন আপনি? 

হ্যাঁ, তিনটি মানুষ তিন রঙে

দেখেন পেছনে তিনটা রূপ। একেক সময় একেক রূপে একেকভাবে মারা হচ্ছে। মানেটা কী? শত শত বছর ধরে চলে আসছে একই প্রথা। এটা যদি আপনি রোধ করতে না পারেন তাহলে তো একই অবস্থা থেকে যাবে। 

সুলতান-জয়নুল-কামরুল হাসানদের মতো শিল্পীর জন্ম এদেশে। অথচ ভাস্কর্য এবং চিত্রকলা নিয়ে সমাজে নানাবিধ সমস্যা রয়ে গিয়েছে এখনো, এ বিষয়ে কিছু বলবেন কি?

হ্যাঁ, সমস্যা ঘোরতর। সমাজ-রাষ্ট্রে একজন শিল্পী মানে অচ্ছুত, তারপর ধর্মান্ধতা আছে, ধর্মীয় বিকার আছে। যেটা আমাদের দেশে ভাস্কর্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করছে। এই ক্ষেত্রে তো জনগণকে দায়িত্বশীল হতে হবে, রাষ্ট্রকে আরো বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। ভাস্কর্য বিকাশের ক্ষেত্রে। জেলায় জেলায় ভাস্কর্যের উপর ওয়ার্কশপ হতে পারে না? সেখানে ভাস্কর্য নিয়ে ওয়ার্কশপ করেন প্রতিমাসে। অসুবিধা কী? কিন্তু করছেন না তো। মাইন্ডসেটের জায়গাটায় একটু সমস্যা আছে। এগুলো আস্তে আস্তে চলে যাবে। 

সাম্প্রতিক সময়কে কেমন মনে হচ্ছে? 

কেমন আর বলব, এখানে ঠিক নেই কিছুই। এ প্রজন্ম কোন দিকে যাচ্ছে? জেনারেশনকে আপনি মনে করিয়ে দেবেন, এই যে মুক্তিযুদ্ধ কেন? কীসের? হাজার বছরের সংগ্রামের। শ্রেষ্ঠ ফসল। আমরা কার মাধ্যমে পেয়েছি? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে এটা আমরা অর্জন করেছি। অনেকেই বলে ৭ই মার্চে উনি ঘোষণা দেননি। ৭ই মার্চে উনি ক্ষমতা নিয়ে নিয়েছেন। ঘোষণা তো দূরের কথা, ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। এত বড় বিরল নেতাকে আমরা হত্যা করে ফেলেছি। আমাদের দেশের লোক, কতিপয়  দুষ্কৃতকারী, তারা কীসের নামে হত্যা করেছে আমি বুঝিই না। এসব জিনিস রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। 

তরুণদের জন্য কিছু বলুন...

রাজনীতির জন্য সবচেয়ে জরুরি যেটা, একটা স্কুলিং থাকতে হবে। মা বাচ্চাকে ভাত মাখানো খাওয়া শিখিয়ে দেয়, তবে বাচ্চা খাওয়া শেখে। আমাদের তো রাজনীতি শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো স্কুলিং নেই। ফলে এখানে তো রাজনীতি হচ্ছে না। রাজনীতির জন্য স্কুলিং লাগবে। সবকিছুই তো শিক্ষার আওতায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমরা কী পড়াচ্ছি? পলিটিক্যাল সায়েন্স। পলিটিক্যাল সায়েন্সের বাংলা কী? তারা করেছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান। তা-তো না। পলিটিক্যাল সায়েন্স হলো রাজনীতি বিজ্ঞান। রাষ্ট্র বিজ্ঞানকে ইংরেজি করলে হয় স্টেট সায়েন্স। ওখানেও তো গোঁজামিল। আর রাজনীতি তো বিজ্ঞান না, রাজনীতি তো শিল্পকলা। সবচেয়ে গতিশীল শিল্পকলার নাম হচ্ছে রাজনীতি। 

বঙ্গবন্ধু আমাদের সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তখন তো সোনার বাংলা ছিল না। অর্থাৎ, স্বপ্ন তৈরি করার  কাজ হচ্ছে রাজনীতি এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। ফলে স্বপ্ন তৈরি করে কে? শিল্পী। বঙ্গবন্ধু হলেন শিল্পী। নেলসন ম্যান্ডেলা শিল্পী, রাজনৈতিক শিল্পী। ইয়াসির আরাফাত শিল্পী। তারা স্বপ্ন দেখিয়েছেন আমাদেরকে। তার স্বপ্ন আমাদের বুকে প্রোথিত করেছেন। সেসব লোককে সায়েন্স বলে আপনি কি একটা হ-য-ব-র-ল লাগিয়ে দিয়েছেন। পলিটিক্স ইজ আর্ট, এবং সবচেয়ে গতিশীল শিল্পকলা। গান গাইতে ভুল করলে আবার গাইতে পারবেন, নাচতে গিয়ে ভুল করলে আবার নাচতে পারবেন, কিন্তু রাজনীতিতে ভুল করার সুযোগ নেই। কেন নেই? রাজনীতি হচ্ছে টোটাল লাইফ, সমগ্র জীবনকে নিয়ে। জনগণের সকল কিছুতে কিন্তু রাজনীতি। টোটাল লাইফ, এই সামগ্রিকতাকে নিয়ে আপনি কাজ করছেন। ফলে আপনার মেধার দীপ্ততা কত থাকতে হবে! কিন্তু আপনি দেখেন পড়ালেখার অভ্যাসই নেই। গড়ে ওঠেনি তা। আমি তো অনেকের সঙ্গেই কথা বলি, দেখিনি সে অভ্যাস। আপনি যা কিছু করবেন, প্রথম দরকারই তো জ্ঞান। এছাড়া তো আপনার বাহক নেই। বাহক কে? বাহক হচ্ছে জ্ঞান। জ্ঞানের চর্চা নেই। এই জায়গাগুলো দেখতে হবে, বলতে হবে সমাজের কাছে। দাঁড়াতে হবে একসঙ্গে। আর প্রতিবাদের জায়গায় সোচ্চার থাকতে হবে। আমরা সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চাই। 

অনুলিখন : আহসান মুন্না

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //