আফগানিস্তান ও সৈয়দ মুজতবা আলী

আফগানিস্তানকে বাদ রেখে ভারতবর্ষের ইতিহাস পূর্ণ হয় না। কাবুল, কান্দাহার, খাইবার গিরিপাস- এই ভৌগোলিক পথ ধরে যুগে যুগে ভারতবর্ষে এসেছে নানা জাতি, নানান বিখ্যাত মানুষ। আফগানিস্তানের খাইবার পাস হয়ে ভারতবর্ষে এসেছিল আর্যরা। এ পথেই ভারতবর্ষে এসেছিলেন গান্ধারী। একসময় আফগানিস্তানকে বলা হতো গান্ধারদেশ।

আজকে দেশটি গান্ধারদেশ নামে পরিচিত না হলেও, আমাদের চিরপরিচিত কান্দাহারই সেই প্রাচীন গান্ধার নগরী। যে নগরী থেকে ভারতবর্ষে এসেছিলেন দুর্যোধনের মা গান্ধারী। গান্ধাররাজ সুবলের মেয়ে, দেশটির রাজকুমারী বলেই, দেশের নামে নামাঙ্কিত হয়েছিলেন। সুসাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী মনে করছেন, ‘পাঠান মেয়ের দৈর্ঘ্যপ্রস্থ দেখেই বোধ করি মহাভারতকার তাকে শতপুত্রবর্তরূপে কল্পনা করেছিলেন।’

শুধু আর্যজাতি বা গান্ধারীই বা বলি কী করে, এ পথেই তো ভারতবর্ষে এসেছেন বাদশাহ সিকান্দার, সুলতান মাহমুদ, বাবর, পাঠান, মুঘলরা। এসেছেন বখতিয়ার খিলজি। চীনা পর্যটক হিউয়েন সাঙ তাশখন্দ, সমরখন্দ হয়ে আমুরদরিয়া পেছনে রেখে এসেছিলেন কাবুলে। এই পর্যটক কান্দাহার, কাবুল, গজনীকে ভারতবর্ষের অংশ হিসেবেই দেখেছেন। হিউয়েন সাঙের এই দেখায় ভুল ছিল না। কারণ তিনি যখন দেখেছেন, তারও বহু যুগ আগে যখন বৌদ্ধধর্ম অভ্যুদয়ের শুরু, সেই তখন তো বটেই এবং তারপরও বহুযুগ ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে কোনো সীমান্তরেখা ছিল না। আবার একইভাবে আফগান ও ইন্দো-ইরানিয়ান ভূমি পারস্যের মধ্যেও কোনো সীমান্তভূমি ছিল না। ফলে বক্ষু বা আমুদরিয়ার উভয় পারের দেশকে সংস্কৃত সাহিত্যে ভারতের অংশ ধরেছে, অন্যদিকে প্রাচীন ইরানি সাহিত্যে ধরা হয়েছে ইরানের অংশ হিসেবে। আফগানিস্তান যে তার নিজস্বতা দিয়ে একদিন গ্রিক ও ভারতবর্ষকে মিলিয়ে দিয়ে তৈরি করেছিল গান্ধার-কলার, সেই আফগানিস্তানের গিরিপথ দিয়ে ইতিহাসের ধারাক্রমে যুগে যুগে বাইরে থেকে এভাবে অনেকেই এসেছেন ভারতবর্ষে; কিন্তু সেই অর্থে এই পথে মানে খাইবার গিরিপাস পেরিয়ে বাঙালির ভারতবর্ষের বাইরে যাবার খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই, নেই গুরুত্বপূর্ণ অভিযানও।

এদিক থেকে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম সৈয়দ মুজতবা আলী। তিনি ভারতবর্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিলেন আফগানিস্তানের কাবুলে। যদিও তারও অনেক অনেক বছর আগে, ভারতবর্ষ থেকে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য এই উল্টোপথে মাধ্যন্তিক নামের এক শ্রমণকে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য আফগানিস্তানে পাঠিয়েছিলেন সম্রাট অশোক। যার হাত ধরে আফগানিস্তানে ছড়ায় বৌদ্ধধর্ম। 

আফগানিস্তানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মন মাতানো বর্ণনা আমরা জেনেছি মধ্যযুগে। কাবুল, কান্দাহার পেরিয়ে সেই সুদূর ফরগনা থেকে ভারতে এসে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবরের আত্মজীবনীতে। মির্জা জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, ইতিহাসে যিনি সম্রাট বাবর বা বাবুর নামেই পরিচিত। মাত্র বারো বছর বয়সে ফরগনার সিংহাসনে বসা বাবর, এক লড়াকু সৈনিক যিনি জন্মভূমি থেকে বহুদূরে এসে সাম্রাজ্য স্থাপন করেছিলেন ভারতবর্ষে, তার আত্মচরিতে ছড়িয়ে রয়েছে আফগানিস্তানের সৌন্দর্য ও এর জন্য ভালোবাসা। সমালোচকরা বলেন, তিনি ভারতবর্ষকে আপন করে নিলেও, ভালোবাসেননি। তার প্রকৃত ভালোবাসা ছিল আফগানিস্তানের জন্য, ফরগনা, কাবুলের জন্য। তাই মৃত্যুর পর সম্রাট বাবর তাকে সমাহিত করার জন্য মৃতদেহ কাবুলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন। আফগানিস্তানের প্রকৃতি তাকে আকৃষ্ট করেছিল। এর বৈচিত্র্য তিনি উপভোগ করেছেন।

আফগানিস্তানের ভূপ্রকৃতির বৈচিত্র্যের বর্ণনা দিয়ে আত্মজীবনী বাবুরনামায় বলেছেন, ‘কাবুল একদিনে তুমি এমন জায়গায় যেতে পারবে যে স্থানে কোনদিন বরফ পড়ে না, আবার দুই দিনের মধ্যে এমন জায়গাও যেতে পারবে যে স্থানে গ্রীষ্মেও নিদারুণ গরমের দুই চারদিন ছাড়া বার মাস বরফেই ঢাকা থাকে। কাবুলের অধীনস্থা এলাকাগুলোতে শীত-গ্রীষ্ম উভয় মৌসুমের ফল পর্যাপ্ত পরিমাণে জন্মে, কাবুলের ঠান্ডা এলাকার ফল হচ্ছে আঙুর, ডালিম, খুবানী, পীচ, সেব, জলপাই, কাঠবাদাম ইত্যাদি। এ সবই প্রচুর পরিমাণে মেলে। আমি টক চেরীগাছ এখানে এনে বুনেছিলাম, চমৎকার ফল দিচ্ছে। এর গরম মৌসুমের ফল হচ্ছে : কমলালেবু, আমলাক, আখ ইত্যাদি। আমি লামগানাত থেকে আখ এনে আবাদ করেছি। ...এখানকার মদ খুব কড়া, এতে সহজেই নেশা হয়। খাজা খান সাঈদ পর্বতের এলাকায় যে মদ তৈরি হয় সেই হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী। অবশ্য এ সম্পর্কে আমি যা শুনেছি তা থেকেই এরূপ কথা বলছি : শরাব সুবাস কে জানবে ভাই শরাব প্রেমিক বাদে,/ ঠান্ডা মাথার হে সংসারী কেমন করে জানবে তুমি/ কী সুরে সে কাঁদে?’

খুরাসান, মানে বাইরের স্থান। অর্থাৎ দেশের বাইরের যে কোনো স্থানকেই একসময় হিন্দুস্থানের লোকেরা খুরাসান বলতো। সম্রাট বাবর তার আত্মজীবনীতে বলছেন, ‘খুরাসানের রাস্তা কান্দাহার হয়ে যায়। এটি সোজা সমতল পথ, কোন পাহাড়ের ওপর দিয়ে যায় না। হিন্দুস্থান থেকে চারটি রাস্তা কাবুলে এসেছে।... এর সব রাস্তাগুলোতেই অল্প-বিস্তর দুর্গম গিরিপথ রয়েছে। এ পথে যারা আসে তাদেরকে তিন স্থানে সিন্ধু নদী পার হতে হয়। নিলাব পথ হয়ে যারা যায় তাদেরকে লামগাতের পথ ধরতে হয়। কাবুল নদী সিন্ধু নদীর সঙ্গে যেখানে মিশেছে শীতকালে সেখানে সিন্ধু নদী, সাওয়াদ নদী এবং কাবুল নদী পার হতে হয়। আমি হিন্দুস্থানে যেসব অভিযান করেছি তার বেশির ভাগেই এইভাবে সিন্ধুকে অতিক্রম করেছি।’

আফগানিস্তানের এই বর্ণনার পর, দেশটি এবং দেশটির মানুষের বিস্তৃত বর্ণনা পাই আমরা সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখায়। আফগানিস্তানের সৌন্দর্য এবং মানুষের    অকৃত্রিমতার উদারহণ উঠে আসে তার প্রথম বই, ভ্রমণগদ্যের বই ‘দেশে বিদেশে’। এই বইয়ের হাত ধরেই আফগানিস্তানের সঙ্গে আমাদের নতুন করে পরিচয়। যদিও আফগানিস্তানের মানুষের আন্তরিকতা, পিতৃহৃদয়ের ব্যাকুলতার আরও একটি ছবি আমাদের মনে গেঁথে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কাবুলিওয়ালা গল্পের মধ্য দিয়ে।  

সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯০৪ সিলেটে। উদার এবং পরিপূর্ণ এই মানুষটির জন্মের শতবর্ষ ইতোমধ্যে আমরা পেরিয়ে এসেছি। সামনে এগিয়ে আসছে তার প্রথম বই ‘দেশে বিদেশে’ প্রকাশের শতবর্ষ। শান্তিনিকেতনের প্রথম মুসলিম আশ্রমিক কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের প্রিয় ও কৃতী ছাত্র সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯২৭-১৯২৯ পর্যন্ত আফগানিস্তাানের শিক্ষা বিভাগে কাজ করেছেন। সেখানের কলেজে তিনি ফারসি ও ইংরেজি ভাষা পড়িয়েছেন। এসময়ের অভিজ্ঞতা নিয়েই রচনা করেন ভ্রমণ কাহিনি ‘দেশে বিদেশে’। এই ভ্রমণ গদ্যে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনার মাধ্যমে সৈয়দ মুজতবা আলী বাঙালির সঙ্গে আফগানিস্তানের নতুন সম্পর্ক স্থাপন করেন। যা বাঙালির সামনে আফগানিস্তান সম্পর্কেও নতুন ভাবনার দুয়ার খোলে। শুধু তাই নয়, এই ভ্রমণ গদ্যের মধ্য দিয়ে সৈয়দ মুজতবা আলী আমাদের সামনে, আগামীর হাতে আফগানিস্তানের রাজনীতি, ইতিহাস এবং দেশটির ভূত-ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণাও তুলে দেন।  

ভ্রমণকাহিনির শুরু হাওড়া স্টেশন থেকে পেশওয়ারের দিকে ট্রেনযাত্রার মাধ্যমে। অন্যদিকে সমাপ্তি টানার আগের অধ্যায়ে রয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরে প্লেনে বসে দেখা বাইরের দৃশ্যের। সে দৃশ্য বর্ণনায় তিনি বলছেন, ‘তাকিয়ে দেখি দিকদিগন্ত বিস্তৃত শুভ্র বরফ। আর অ্যারফিল্ডের মাঝখানে, আবদুর রহমানই হবে, তার পাগড়ির ন্যাজ মাথার উপর তুলে দুলিয়ে দুলিয়ে আমাকে বিদায় জানাচ্ছে। বহুদিন ধরে সাবান ছিল না বলে আবদুর রহমানের পাগড়ি ময়লা। কিন্তু আমার মনে হল চতুর্দিকের বরফের চেয়ে শুভ্রতর আবদুর রহমানের পাগড়ি আর শুভ্রতম আবদুর রহমানের হৃদয়।’ আবদুর রহমানের ভেতর দিয়ে আমরা আফগানদের যে পরিচয় পাই, তাদের সরলতার যে দৃষ্টান্ত হাজির হয় এবং তাদের সরলতাকে কাজে লাগিয়ে বিপথগামিতার যে উদাহরণ সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯২৭ সালেই হাজির করেন, সেই সংকট থেকে এই একশ বছরেও দেশটি বেরিয়ে আসতে পারেনি। 

সৈয়দ মুজতবা আলীর কাবুল নিবাসকালে আফগানিস্তানের শাসক ছিলেন আমান উল্লাহ। তিনি শুরু করেছিলেন নানামুখী সংস্কার, তার সেই সংস্কারকে রুক্ষ আফগানরা সুনজরে নেয়নি। ফলে বিপুল সেনা থাকার পরও, ডাকাত সর্দার বাচ্চায়ে সকাওয়ের (হবীর উল্লা) ভয়ে বড় ভাই ইনায়েত উল্লার হাতে ক্ষমতা দিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই এনায়েত উল্লাহও হাওয়াই জাহাজে উঠে পালিয়ে বাঁচেন। বাদশাহী আসে ডাকাত সর্দার বাচ্চায়ে সকাওয়ের হাতে। তিনি ফরমান জারি করেন, ‘আমান উল্লাহ কাফির। কারণ সে ছেলেদের এলজেব্রা শেখাত, ভূগোল পড়াতো, বলত পৃথিবী গোল।’ তার এই ফরমানের প্রতিবাদ করার মানুষ আফগানিস্তানে সেদিন সৈয়দ মুজতবা আলী খুঁজে পেয়েছিলেন। তিনি মীর আসলম। যার সম্বন্ধে সৈয়দ মুজতবা আলী ‘দেশে বিদেশে’তে মৌলনার বয়ানে লেখেন, ‘যতদিন আফগানিস্তানে মীর আসলমের মতো একটি লোকও বেঁচে থাকবেন ততদিন এ দেশের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে নিরাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

দুর্ভাগ্য, আজ হয়তো দেশটিতে মীর আসলমের মতো কেউ-ই নেই, তাই সেখানে ভর করেছে নিরাশা। যে নিরাশা ভর করেছিল গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকেও। সেদিনও বাচ্চা সকাওয়ের মতো করেই, আফগানিস্তানের ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয়েছিল। সেবারই প্রথম ক্ষমতায় আাসে তালেবান সরকার। ক্ষমতায় আসার পরই তারা গুঁড়িয়ে দেয় আফগানিস্তানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বৌদ্ধমূর্তি, ইতিহাসের অক্ষয় সব উপাদান। সম্রাট অশোকের পাঠানো শ্রমণের হাত ধরে যে আফগানিস্তানে প্রচার হয়েছিল বৌদ্ধধর্ম। যার নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মাটির তলা থেকে বেরিয়ে আসা বৌদ্ধমূর্তিতে। পাহাড়ের গায়ে, বামিয়ানের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধমূর্তিকেও সেদিন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সভ্য পৃথিবীর ততোধিক সুসভ্য মানুষের আহাজারি, ক্রন্দনেও কারো মন গলেনি। মাঝে আবারও আফগানিস্তানে ক্ষমতার পালাবদল হয়। ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত, নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়েও শান্তি আসেনি আফগানিস্তানে। এর রুক্ষ মাটি। দেশটিতে তেল, সোনা, সম্পদ বলতে গেলে কিছুই নেই- তবু লোভী হাত বারবার আবদুর রহমানদের দিকে উদ্দত সঙ্গিন হাতে দাঁড়ায়। ১৭৪৭ সালে আহমদ শাহ আবদালী (সাদদোজাই দুররানী) সমস্ত আফগানিস্তান নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন নিজস্ব রাজবংশ। সেই শুরু, যারাই এসেছে তাণ্ডবলীলা চালিয়ে যেতে চেয়েছে নিজেদের মতো করে প্রতিষ্ঠা। তেমনি করেই ইতিহাসের সেই পথ বেয়েই ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট অকল্পনীয় দ্রুততায় আবারও কাবুল দখল করে তালেবানরা। এবারও সেই একশ বছর আগের দৃশ্যেরই পুনরাবৃত্তি। শাসকের পলায়ন। কাবুল দখলে নিয়ে তালেবানরা নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করে। 

সরকার গঠনের পর আফগানিস্তানের সবকিছুই যখন তালেবান সরকারের প্রায় নিয়ন্ত্রণে, তখনও প্রায় মাসাধিকাল লড়ে গেছে পানসিরের মানুষ। গত বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুতেও পানসিরের দখল নিতে পারেনি তালেবান। স্থানীয়রা তখনও পর্যন্ত তালেবানদের বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছিল তীব্র প্রতিরোধ। যদিও গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তালেবানদের পক্ষ থেকে পানসিরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কথা জানানো হয় সংবাদমাধ্যমে। সেই পানসির, যেখানে আবদুর রহমানের বাড়ি। যার সঙ্গে বাঙালির আত্মার সম্পর্ক গড়ে দিয়েছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। যেখানের বরফে ও হাওয়ায় ভেজাল নেই, যেখানের ‘বরফে নেই বাবুয়ানী’। যা সত্যিকারের ‘খাঁটি বরফ’। 

সুলেখক সৈয়দ মুজতবা আলী আমাদের নতুন করে চিনিয়েছিলেন আফগানিস্তানকে। সেই আফগানিস্তানে বারবার ভ্রাতৃঘাতী দ্বন্দ্ব বর্তমান পৃথিবীর জন্যও শঙ্কার। আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থা কি আমাদের জন্যও কোনো বার্তা বহন করে আনে না? ক্ষুদ্র স্বার্থের বৃত্তে আটকে আমরা কি ভুলে থাকব- ‘আফগানিস্তানের ইতিহাস না লিখে ভারত ইতিহাস লেখবার জো নেই। আফগান রাজনীতি না জেনে ভারতের সীমান্ত প্রদেশ ঠান্ডা রাখবার কোনো মধ্যমনারায়ণ নেই।’ আমরা কি ভুলে থাকব, ‘নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়’ বাক্যটির মর্মার্থ?

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //