সকলেরই হতে এসেছিল সে

কী এক বিভার মধ্যে যে জেগে থাকি আজকাল। মনে হয় কল্পনাগুলো জীবন্ত শৈবালের মতো বোধের ওপর বসে আছে। চোখের ওপর স্থির ছড়িয়ে আছে সুদৃশ্য একটি বন। বাইবেলে উল্লেখিত প্রাচীন সেই বিখ্যাত দারুবৃক্ষের গহিন বিপিন। যার সামান্য দূরেই বৈরুতের পূর্বোত্তর বিশারি গ্রামে ১৮৮৩ সালের ৬ জানুয়ারি জন্মাল অপূর্ব এক শিশু। পরবর্তীকালে পৃথিবীর কাছে যে লেবাননের ‘অনশ্বর নবী’ নামে পরিচিতি পেল। তার কবিতা, ছবি, উপন্যাস হয়ে উঠল নতুন এক দৃষ্টির চোখ। যাতে মিশে গিয়েছিল এমন এক প্রেম, তার আগে এমনতর কায়দায় কোনো কবি যা বলেননি। ভালোবাসার অফুরন্ত এ আবেশ এই ঢঙে বিচ্ছুরিত করতে পেরেছিলেন জগতের খুব কম সংখ্যক শিল্পীই। তিনি সেই আশ্চর্য কোমল শিশু, যাতনার যাবতীয় কারুকার্য যার হাতে চিত্রিত হয়েছিল আদিগন্ত বিস্তৃত শ্যামল আকাশ আর পরিশুদ্ধ বাতাসের অবগাহনে। তার কবিতায় কান পাতলে, ছবিতে চোখ মেলে ধরলে প্রকৃতির অভূত সেই চিহ্নগত প্রভাবটি স্পষ্ট প্রত্যক্ষ হয়, যার মাঝে নিবিড়ভাবে শৈশবের কিছুটা সময় বেড়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই সবুজ আপেল আর স্নিগ্ধ দ্রাক্ষার বাগান। সম্মুখেই বহুদূর ভূমধ্যসাগরে ডুবে থাকা একটি নিমগ্ন দৃষ্টি। পাহাড়ের রুক্ষ উঁচুনিচু ঢাল আর প্রকৃতির গম্ভীর প্রশান্তির মাঝে এক মনে বসে থাকা শিশুটি বুঝি প্রকৃতির সেই সন্তান- যার দর্শন, চিন্তা ও উপলব্ধির মাঝে প্রকৃতির অস্তিত্বই ছড়িয়েছিল। মিশে গিয়েছিল আধ্যাত্মিকতার ধ্যানমগ্ন গান। যেভাবে তিনি তা তার স্বধর্ম তথা খ্রিষ্টবাদ থেকে গ্রহণ করেছিলেন, ঠিক ততটাই নিয়েছিলেন ইসলামের সুফিবাদ থেকে। ফলে তার সৃষ্টিই হয়ে উঠেছিল এমন এক প্রেমধর্ম- যা সর্বধর্মের সব মানুষের সব সৃষ্টির একাত্মতাই কামনা করে। যা জগতের সমস্ত জীবের প্রতিই প্রসারিত করে দেয় তার প্রশস্ত বাহু। সেখানে বাঁচে প্রম, কেবলই ভালোবাসা।

শিশুটির নাম জিবরান। কাহলীল জিবরান। জন্মের পর পরিবার তাকে ম্যারোনাইট (বিশেষ গোষ্ঠীর সিরীয় খ্রিষ্টান) চার্চে দীক্ষিত করে। শৈশবে গ্রামের পাদ্রির কাছে নিল বাইবেল আর আরবি ভাষার পাঠ। কিন্তু মাত্র বারো বছর বয়সেই অমলিন এ আনন্দ পরিত্যাগ করে তাকে। যখন তার মদ্যপী ট্যাক্স কালেক্টর পিতা রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে অপদস্থ হন। অটোমান শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বাজেয়াপ্ত করা হয় তার সমস্ত সম্পত্তি। পরিবারকে করা হয় গৃহহীন। তখন জিবরান তার মা কামিলাহ, সৎ ভাই পিটার, ছোট দুই বোন মারিয়ানা ও সুলতানার সঙ্গে ১৮৯৫ সালে অভিবাসী হয়ে আমেরিকা চলে যায়। বস্টন শহরে সিরিয়ান অধ্যুষিত এলাকায় অন্য সিরিয়ানদের সঙ্গে থাকতে শুরু করে তারা। 

সেখানে শুরু হয় জিবরানের নতুন এক জীবন। যে জীবনে পিতার কোনো প্রভাবই ছিল না তার ওপর। বরং মা-ই ছিল সব। কৈশোরে বুদ্ধিবৃত্তিক ও শৈল্পিক ভাবনার যে বিকাশ, তাতে তার মায়ের ভূমিকাই প্রধান। যখন তিনি পুত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ধ্রুপদী আরবি কবিতার প্রধান কবিদের একজন আবু নুয়াসের শিকার ও যুদ্ধের গীতিকবিতার। ফলে সমগ্র জীবনব্যাপী কবিতার যে আরাধনা জিবরান করে গেছেন, অঙ্কুরে তাতে জলসিঞ্চন করেছিলেন তার মা-ই। সেই সঙ্গে ক্রমশ পরিব্যাপ্ত ও প্রকাশ হচ্ছিল তার মেধা ও অন্তর্হিত প্রতিভার। যেন এর প্রাথমিক ইঙ্গিতটি ছিল বস্টন পাবলিক স্কুলে নিজের আমেরিকান সহপাঠীসহ ক্লাসের সবার চেয়ে সর্বোচ্চ নাম্বার অধিকার। যখন আর্ট টিচার ফ্লোরেন্স পিয়ার্স তার মাঝে অভূতপূর্ব এক শৈল্পিক ভবিষ্যতের রেণু দেখতে পান। ফলে ত্বরিত তিনি তৎকালে ভিশনবাদী হিসেবে আখ্যা পাওয়া কবি, শিল্পীদের বিরাট এক দলের নেতা বস্টনের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ‘ফ্রেড হল্যান্ড ডে’র সঙ্গে জিবরানের ব্যাপারে কথা বলেন। যে হল্যান্ডই জিবরানের জন্য শিল্পচর্চার দুয়ারকে উš§ুক্ত করে দিয়েছিলেন। সম্মান, খ্যাতি ও শিল্পী জীবনের মহাসড়কে জিবরানের পথটা তিনিই মসৃণ করে দিয়েছিলেন। তার পরিচর্যা, জিবরানের চিত্রাঙ্কনে আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি তার উৎসাহ ধীরে ধীরে জিবরানকে সাহিত্যের প্রতি আকর্ষক করে তোলে। যে সাহিত্যেই জিবরান অনন্তের মতো থিতু হলেন। পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত কবিদের একজন হয়ে উঠলেন আপন রচনার মাধ্যমে। 

তার কাব্য, গদ্য যা-ই পড়ি, তাতে আনন্দের এমন এক আভা উপলব্ধ হয়, মনে হয় মিহি রোদের মতো সারা শরীরে তা মেখে নেওয়া যায়। যেন কল্পনায় তার রূপটি, কৃশকায় শরীরের কৃঞ্চ গোঁফের পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি লম্বা একজন নিশ্চুপ লেবানিজ অভিবাসীর মুখটি ভেসে ওঠে। শান্ত দুপুরে জলের ওপর ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার মতো দাঁড়িয়ে থাকে তার যাবতীয় কবিতা, ছবি ও উপন্যাসের ভাষারা। বুঝি অতি সন্তর্পণে এমন এক আহ্বানে তা ডাকে, যার স্বরটি বড় মোলায়েম বড় কোমল বড় শান্তিময়। তিনি তার প্রথম সাহিত্যমূলক প্রবন্ধ প্রকাশ করেন ১৯০৩ সালে। ১৯০৭ সালে তার পরিচয় হয় মেরি হাসকেলের সঙ্গে। সারাটা জীবন যে নারীটি তার ওপর কল্যাণের মতো ছেয়ে ছিলেন। যিনি তার বিবিধ রচনার নিবিড় সম্পাদনা করে দিতেন এবং যার কল্যাণেই জিবরান প্যারিসে আর্ট বিষয়ে পড়তে সক্ষম হয়েছিলেন। সর্বোপরি হাসকেল যেন তার জীবনে কবিতার পঙ্ক্তির মতোই অপূর্ব এক সামঞ্জস্যে জড়িয়ে ছিলেন। যদিও দুই দুইবার তাকে বিবাহের প্রার্থনা জানিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন জিবরান। যেন রহস্যের মতো এ এক অবোধ্যই। জিবরান যা জীবনভর যাপন করে গেছেন। ১৯১২ সালে জিবরান স্থায়ীভাবে নিউইয়র্কে থিতু হলেন এবং নিজেকে সর্বতোভাবেই আরবি ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই সাহিত্যমূলক প্রবন্ধ, ছোটগল্প ও চিত্রাঙ্কনে নিবেদিত করলেন। সেখানে তার সাহিত্যিক ও শৈল্পিক দৃষ্টিতে রোমান্টিকতার এমন এক বিস্ময় পরিলক্ষিত হয়- যা বাইবেল, ফেডরিক নিৎশে এবং উইলিয়াম ব্লেক দ্বারা প্রভাবিত। তার সৃষ্টিকর্মগুলো অধ্যয়ন করলে হৃদয়ে যে অনুরণন জাগে, তাতে স্বাগত হয় প্রেম, প্রকৃতি, মৃত্যু ও স্বদেশের প্রতি মমতা। গীতধ্বনির মতো যা গভীর ধর্মবোধ ও রহস্যপূর্ণ প্রকৃতির অনুভবে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।

সেই অপূর্ব শব্দসম্ভার বুঝি কোনো স্বর্গের গান। নিরুত্তাপ কোনো শান্ত ধমনি থেকে বেরিয়ে আসা গল্প। কখনো যদি তাতে মিশে গেল বেহালার সুর, কখনো বা তাতে জেগে উঠল দর্শনের গূঢ়লিপি। ফলে একাধারে আরবিতে তিনি লিখছেন, ‘আরায়িসুল মুরুজ’ (১৯১০; Nymphs of the Valley), দামআতুন ওয়া ইবতিসামাহ (১৯১৪; A Tear and a Smile), আল-আরওয়াহ আল-মুতামাররিদাহ (১৯২০; Spirits Rebellious), আল-আজনীহাতুল মুতাকাসসিরাহ (১৯২২; The Broken Wings), আল-আওয়াসিফ (১৯২৩; The Storms) এবং আল-মাওয়াকিব (১৯২৩; The Procession)। তেমনি আরবির মতো ইংরেজিতেও তার প্রধান সৃষ্টিকর্মগুলো: The Madman (১৯১৮), The Forerunner (১৯২০), The Prophet (১৯২৩), Sand and Foam (১৯২৬) Ges Jesus, the Son of Man (১৯২৮)।

শিল্পে মহর্ষির মতো দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। কিন্তু বেদনা যে একজন শিল্পীর সবচেয়ে আপন। দুঃখই যে কবির শ্রেষ্ঠ অশ্রু। তাই বুঝি ভাগ্য সেই একই সিঁদুর তার কপালেও এঁকে দিল। ফলে বেদনার যে গভীর এক দীর্ঘশ্বাস তার রচনায় প্রতিফলিত, তা মূলত ১৯০৩ সালের কয়েকটি ঘটনা থেকেই উদ্ভূত। যা তার জীবনকে সামগ্রিকভাবে প্রভাবিত করেছিল। যখন তার বোন সুলতানা মারা যায়। যখন প্যারিসে ছিলেন তিনি। এই সংবাদ পেয়ে বস্টনে ফিরে আসার অল্প কয়েক দিন পরই তার মা হাসপাতালে শয্যাশায়ী হন। এই দুর্দশা ক্রমাগত বাড়তেই থাকে, সে বছরেরই মার্চে যখন তার ভাই পিটার মারা যায়। এবং দুঃখের ষোলোকলা পূর্ণ হয় এর তিন মাস পর যখন তার মা তিরোধান করেন। জীবনের এই বিপর্যয়ে কোথায় যাবেন জিবরান? তার মাতা, তার একমাত্র আন্তরিক বন্ধুটি যে চিরকালের জন্য তাকে নিঃসঙ্গ রেখে চলে গেল। ভোরের আকাশের মতো স্বচ্ছ, শান্ত, স্বাপ্নিক যে মাতৃক্রোড়ে এতকাল জিবরান নিশ্চিন্তে মাথা পেতে রাখত, তাই বুঝি আজ অনন্ত প্রস্থানের ফলে শূন্য হয়ে গেল। ফলে মাতৃত্ব নিয়ে জিবরান তার (আল-আজনীহাতুল মুতাকাসসিরাহ) ‘দ্য ব্রোকেন উইংস’-এ লিখলেন এই কয়েকটি ছত্র। যা পড়লে শিশিরের মতো দুই চোখে অশ্রুর সমাগম ঘটে। মায়ের একটা চিত্র যেন জোয়ারের জলের মতো সম্মুখে ভাসতে থাকে। তিনি বলছেন, ‌‘The most beautiful word on the lips of mankind is the word

‘‘Mother,’’ and the most beautiful call is the call of¸ “mother,” It is our word full of hope and love, a sweet and kind word coming from the depth of the heart. The mother is everything- she is our consolation in
sorro,w our hope in misery, and our strength in weakness. She is the
source of love, mercy, sympathy, and forgiveness. He who loses his
mother loses a pure soul who blesses and guards him constantly.
Everything in nature bespeaks the mother. The sun is mother of
earth and gives it its nourishment of heat, it never leaves the universe at
night until it has put the earth to sleep to the song of the sea and the
hymn of birds and brooks. And this earth is the mother of trees and
flowers. It produces them, nurses them, and weans them. The trees and
flowers become kind mothers of their great fruits and seeds. And the
mother, the prototype of all existence, is the eternal spirit, full of beauty
and love.’

তাই এমন জীবনঘনিষ্ঠ বর্ণনা-ভাবনার সঙ্গে জিবরান যদি বেদনার দার্শনিক ও মানব প্রকৃতির সীমাবদ্ধতার একজন মহান মনোবিজ্ঞানী হয়ে থাকেন, এর কারণ তার যন্ত্রণাময় অস্তিত্বের উদ্বেগ এবং মানুষের দুর্দশার বাস্তবতাকে গভীরভাবে অনুভব। প্রাণের অস্তিত্বের খুব সামান্য, সূক্ষ্ম ও ক্ষীণ বিষয়ের ওপর আতশি কাচের যে দৃষ্টি তিনি নিবদ্ধ করেন, তাতে উঠে আসে জীবনের সারমর্ম। তার বোধ যেন অন্য সবার চেয়ে আলাদা। তার বলাটা এত সহজ, অথচ তাতে থাকে চিন্তার সারবত্তা। তাই বুঝি তার মহাগ্রন্থ ‘দ্য প্রফেট’ (আরবিতে যেটি তিনিই ‘আন্ নাবিয়্যু’ শিরোনামে দ্বিতীয়বার রচনা করেছিলেন) পড়তে গেলে মনে হয়, মাত্র ছাব্বিশটি টানা গদ্যের এই কবিতাপুস্তক যেন ইতিহাসের ভাঁজে পুঁতে থাকা আদিম কোনো পবিত্র গ্রন্থ। এর শৈলী, ধরন কিংবা নিগূঢ় বিষয়বস্তুর দ্যোতনা- পূর্বাপর কোনো কাব্যগ্রন্থের সঙ্গেই মেলে না। এ বুঝি কল্পনারও অধিক বাস্তবিক এক ভাষা। এতকাল আমরা যা সাহিত্যে, শিল্পে হন্যে হয়ে খুঁজে ফিরছিলাম। তাই যখন সেটি প্রকাশ পেল, যেন বহুদূর আকাশের চিত্তে দাঁড়িয়ে থাকা প্রোজ্জ্বল আলোকস্তম্ভর মতো সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে গেল। বিংশ শতাব্দীতে আমেরিকায় বাইবেলের পর সবচেয়ে বেশি বিক্রীত গ্রন্থের একটি বলে বিবেচিত হলো। সারা দুনিয়ায় একশরও অধিক ভাষায় অনূদিত হলো। কাব্যে পৃথিবীর ইতিহাসে শেক্সপিয়ার ও লাওৎসির পর তৃতীয় সর্বোচ্চ জনপ্রিয় গ্রন্থ হিসেবে খ্যাতি ছড়াল। ফলে যুগের পর যুগ পাগলের মতো মানুষ তার রচনার কাছে এসে দুহাত বুকে গুটিয়ে শ্রদ্ধায়, প্রেমে, ভালোবাসা ও ঈর্ষায় আনত হয়ে রইল। জন্ম, মৃত্যু, বিচ্ছেদ, বিদায়, ভাষণ, শেষকৃত্য, সংগীতসহ জীবনের স্পর্শকাতর বহু উপলক্ষেই চোখ বন্ধ করে মানুষ এর পঙ্ক্তিগুলো আওড়াল। ঈষৎ কম্পমান ঠোঁটের ওপর জিবরানের কথারা তখন বিচিত্র ভঙ্গিতে বহু মানুষের কথা হয়ে উঠল। তার কণ্ঠ অগুনতি মানুষের কণ্ঠ হয়ে বাজল। তার হৃদয় অসংখ্য প্রাণের হৃদয়ে প্রবেশ করল। যেন তিনি তার সৃষ্টির পরিণাম জানতেনই। তাই দ্বিধাহীনভাবে বলে যেতে পেরেছিলেন-
I came to be for all and in all.
That which alone I do today 
Shall be proclaimed before the people in days to come.
And what I nwo say with one tongue, 
tomorrwo will say with maû.

তারপর আমার সম্মুখে এই তো সেই বিষণ্ণ কালো রাতটি এসে দাঁড়িয়েছে। নিউইয়র্কের ভিনসেণ্ট হাসপাতালের জানালা দিয়ে একটা ক্ষীণ আলোকরশ্মি দৌড়ঝাঁপ করছে। বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে ওই আলোর দিকে তাকিয়ে জিবরান কত কী যে ভাবছে। হয়তো ভাবছে জীবনের কথা। ভাবছে শিল্পের কারুকার্যের কথা। কিংবা ভাবছে রহস্যময় যে জীবন এতকাল তার সৃষ্টিতে গোপন ছিল, আজ তা উন্মোচনের কথা। সময় রাত দশটা পঞ্চান্ন মিনিট। অপার্থিব হয়ে তা উন্মোচন করার অভিপ্রায়ে চিরতরে চোখ বুজলেন আধুনিক সাহিত্যের প্রধান এক শিল্পী। তার প্রস্থানে নিশ্চয় শিল্পের সহযাত্রী প্রিয় বন্ধুদ্বয় আমেন রিহানি এবং মিখাইল নাঈমী কাঁদছেন। খুব কাঁদছেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //