দ.কোরীয়কে হত্যা পর মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলেছে উ.কোরিয়া

উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা দক্ষিণ কোরিয়ার এক নাগরিককে গুলি করে হত্যার পর তার মৃতদেহও পুড়িয়ে ফেলেছে বলে দাবি করেছে সিউল।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সিউলের সামরিক কর্মকর্তারা একথা জানান। 

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্ত দ্বীপ ইয়নপিয়ংয়ের কাছে একটি টহল জাহাজ থেকে এ ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছিল। তিনি পক্ষত্যাগ করে উত্তর কোরিয়ার প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন বলে এক সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। 

দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থা জানায়, নিজেদের সীমানায় পাওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার একজন কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরবর্তী সময়ে তাকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর তার গায়ে তেল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এই কর্মকর্তাকে পোড়ানোর সময় উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা গ্যাস মাস্ক পরা অবস্থায় ছিলেন।

করোনাভাইরাস মহামারির পর থেকে সীমান্তে বেশ কড়াকড়ি করেছে উত্তর কোরিয়া। সীমান্তে অবৈধ্যভাবে প্রবেশের ক্ষেত্রে দেশটি ‘দেখামাত্র গুলি’ করার নীতি অবলম্বন করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই কারণেও ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ওই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের ধারণা উত্তর কোরিয়ার করোনাভাইরাস মোকাবেলা পদক্ষেপের অংশ হিসেবে লাশটি পুড়িয়ে ফেলা হয়।

এটিকে ‘পাষবিক কাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। যদিও এ বিষয়ে পিয়ংইয়ং এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। -এএফপি