বাইডেনের জয়: আশা-নিরাশার দোলাচলে বেইজিং

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলকে এর আগে কখনোই এত গুরুত্ব দেয়নি চীন। হোয়াইট হাউস যার দখলেই যাক না কেন, প্রতিযোগিতা মার্কিন-চীন সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করবে, বিশ্বাস চীনা নেতাদের। 

সেইসাথে তারা মনে করেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয় হয়তো দুই দেশের মুখোমুখি সংঘাতের পথ আপাতত বন্ধ করে দেবে। অথবা সংঘাত মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেয়ার আরো খানিকটা সময় পাবে দুই দেশ। তবে সব মিলিয়ে আশা-নিরাশার দোলাচলে বেইজিং। 

ট্রাম্পের শাসনামলে মার্কিন-চীন সম্পর্কের অবনতি হয়েছে বিস্ময়করভাবে। বাণিজ্য যুদ্ধ এর সুস্পষ্ট উদাহরণ হলেও, বৃহত্তর কৌশলগত উত্তেজনা সংঘাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। চীনের প্রতি প্রথম থেকেই বিরূপ ছিল ট্রাম্প প্রশাসন। ক্রমাগত দোষারোপ, সুস্পষ্ট বর্ণবাদিতাসহ চীনের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়ে এই প্রশাসনের নাক গলানোয় বেশ মর্মাহতই হয়েছেন ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) উচ্চপদস্থ নেতারা। 

নেতৃত্ব পর্যায় থেকে নীরবতা অবলম্বন করলেও, মার্কিন নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ ছিল চীনা জনগণের মধ্যে। এই নির্বাচন নিয়ে চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি মিমের জনপ্রিয় হওয়া থেকেই তাদের বাইডেন প্রেসিডেন্সির বিষয়ে উন্মাদনা বোঝা যায়। ওই মিমে বেইজিংয়ের ফরবিডেন সিটির নতুন নামকরণ হয়েছে ‘ফর-বাইডেন সিটি’। অর্থাৎ বাইডেনকে নিয়ে খুশি চীনারা। তবে এখানেই শেষ নয়। বাইডেন শাসনামল ঘিরে এ আশাবাদেও পরিবর্তন আসতে পারে শিগগিরিই। যেমনটি ঘটেছিল ট্রাম্পের ক্ষেত্রে। খুব বেশি সময় নয়, চার বছর আগের কথা- ট্রাম্পের নির্বাচন জয়কে একইভাবে স্বাগত জাানিয়েছিল চীনারা। পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী ট্রাম্প। চীনা নেতাদের অনেকেই ভেবেছিলেন ব্যবসায়ী ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবসাটা করা যাবে খুব সহজেই; কিন্তু আশায় গুড়েবালি। ব্যবসা তো দূর অস্ত, বাজল এ নিয়ে যুদ্ধের দামামা। তিক্ততা বাড়ল। 

অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এখন পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বেশ সতর্ক চীন। তবে বাইডেন প্রশাসনের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়তে আশাবাদী তারা। এবার বেশ সতর্কতা অবলম্বন করেই প্রতিটি পদক্ষেপ নিচ্ছেন চীনা নেতারা; কিন্তু ট্রাম্পের চীন নিয়ে পরিকল্পনায় রয়েছে বেশ কিছু কঠিন শর্ত। এসব শর্ত খুব সহজে এড়ানো যাবে না। তাই বিশ্বের ক্ষমতাধর দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন খুব একটা সহজ হবে না বলেই মনে করেন ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনস জন এল থরটর চায়না সেন্টারের পরিচালক চেং লি। এক প্রবন্ধে তিনি তুলে ধরেছেন এ সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতাগুলো।

ট্রাম্প সমস্যা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন চলাকালে নির্দিষ্ট প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ার বিষয়টি ঐতিহাসিকভাবে এড়িয়ে গেছেন চীনা নেতারা। ‘চীন কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না’- চীনা নেতারা এই বচনটি আদর্শ মেনে দেশটির নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে গেছেন। কিন্তু ট্রাম্পের শাসনামলে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা নিয়ে বেশ হতাশই তারা। তবে চীনা নীতিনির্ধারকদের একাংশ মনে করেন, ট্রাম্পের শাসনামল আরো দীর্ঘ হলে তার প্রশাসনের বিশৃঙ্খলা ও উদাসীনতা চীনকে শক্তিশালী করবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অপ্রত্যাশিত পররাষ্ট্রনীতি দুই দেশকে সংঘাতের দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেবে বলেই তাদের মত। 

তাইওয়ানের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপগুলো চীনাদের কাছে বিশেষ উদ্বেগের বিষয় ছিল। ২০১৮ সালে তাইওয়ান ট্রাভেল অ্যাক্ট ও ২০১৯ সালে তাইপে অ্যাক্ট বিল পাস হয় ইউএস কংগ্রেসে। ট্রাম্পের শাসনামলে পাস হওয়া এই আইন দুটি যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। 

বেইজিংয়ের আশঙ্কা, তাইওয়ানকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পথে এগোচ্ছে ওয়াশিংটন। সার্বিক পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের প্রতি সিসিপি নেতাদের মনোভাব বিরূপ হয়ে ওঠে।

বেইজিং ভাবছে, ঠান্ডা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নকে পরাজিত করেছিল, ট্রাম্প প্রশাসন চীনকে অনেকটা সেভাবেই পরাস্ত করতে চেয়েছিল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল পম্পেও ও জ্যেষ্ঠ বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারোসহ ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা চীনের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনেরও আহ্বান জানিয়েছেন। এতে সিসিপি নেতাদের মনক্ষুণ্ন হওয়াটা অমূলক নয়। ফলে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও সিসিপির সাথে ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদে একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সম্ভাবনা ছিল ক্ষীণ। অক্টোবরের কোরিয়া যুদ্ধের ৭০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বেইজিংয়ে এক অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে চীনের সামরিক বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন শি জিন পিং। বলেছিলেন, ‘যুদ্ধ প্রতিহত করতে যুদ্ধ করবে চীন।’

বাইডেনের প্রতিশ্রুতি

চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব, তা কেবল ট্রাম্প প্রশাসনেই সীমাবদ্ধ নয়, এ বিষয়ে ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল চীনা নেতারা। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট- দুই দলই বেইজিংয়ের কঠোর সমালোচনা করে। দুই দলই চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করার পক্ষে। 

একইসাথে অনেক চীনা কর্মকর্তা মনে করেন, ওয়াশিংটনের চীনবিরোধী মনোভাব নেই। ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের একটি উল্লেখযোগ্য পর্বে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল- যুক্তরাষ্ট্র চীনকে কীভাবে দেখে- প্রতিযোগী, প্রতিদ্বন্দ্বী নাকি শত্রু? যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর কমলা হ্যারিস কেউই সরাসরি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি বা দেননি। বিষয়টি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের কৌশলগত অবকাঠামোর অভাবকেই স্পষ্ট করে। 

বাইডেন ক্লিশেভাবেই বলেছেন, ট্রাম্পের চীনা নীতি ব্যর্থ। নতুন প্রশাসন চীনের বিরুদ্ধে নেয়া ট্রাম্পের সব নীতিতে সহমত পোষণ করবেন না বলে চীনা কর্মকর্তাদের আশ্বস্তও করেছেন তিনি। বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণকারী দল নিয়েও আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই দলে আছেন এমন কয়েকজন কূটনীতিক, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন। শি জিনপিং ও জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে নিজ নিজ দেশের পক্ষে বেশ কয়েকবার মুখোমুখি হয়েছেন। এ সময় তারা একটি দীর্ঘ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই বজায় রেখেছিলেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ড্যানিয়েল রাসেল বলেন, ‘বাইডেন ও শি অন্তত আটবার মুখোমুখি হয়েছেন। ২০১১ থেকে ২০১২ সাল- এই দুই বছরের ১৮ মাসে প্রায় ২৫ ঘণ্টা একান্ত বৈঠক করেছেন। প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে শি ও সিসিপির কঠোর সমালোচনা করেছেন বাইডেন; কিন্তু চীনা নেতারা জানেন, এই কটূক্তি কেবলই বিতর্কের জন্য, এটি বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতির পূর্বাভাস নয়।’

সম্পর্ক উন্নয়ন কীভাবে

যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক প্রশাসনের সাথে বেইজিং পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা মোতাবেক এগোলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্র্ক উন্নয়ন আরো জটিল হবে। যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক অবনতির জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের চীনের উত্থানকে নিয়ন্ত্রণের বাসনাকেই দায়ী করেন চীনা নেতারা। তবে ট্রাম্প প্রশাসন ও রিপাবলিকানদের দ্বারা সিসিপির সমালোচনার পাশাপাশি রয়েছে দেশটির জনসাধারণের চীনের প্রতি বৈরী মনোভাব, যা নতুন প্রশাসনের জন্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্র্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টায় বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।

অন্যদিকে, বাইডেন প্রশাসন নিশ্চিতভাবেই হংকং, তিব্বত ও উইঘুরে চীনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করবে। এসব বিষয়ে ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেনই বরং বেশি তৎপর হবেন। চীন কর্তৃপক্ষ সীমান্তবর্তী অঞ্চলের অস্থিরতাকে তাদের দেশের জাতীয় সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে। এছাড়াও হুমকি হিসেবে তারা চিহ্নিত করেছে আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতাকে। এসব নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সাথে আলোচনায়ও বসতে রাজি নয় চীন। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দাবি বেইজিং কতটা পূরণ করবে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। 

বেশ কিছু বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আবার কাজ করতে আগ্রহী হবে বেইজিং। ওবামার আট বছর মেয়াদের শাসনামলে নারী নেতৃত্ব, শৈশবকালীন শিক্ষা, সাইবার ক্রাইম, জলবায়ু পরিবর্তনসহ ১০৫টি বিষয়ে সরকার প্রতিশ্রুত দ্বিপক্ষীয় সংলাপ ছিল। ট্রাম্পের শাসনামলের প্রথম দুই বছরে এই চ্যানেলগুলোকে চারটি ভাগে বিভক্ত করে কাজ শুরু হলেও পরে তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

বাইডেন আমলে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য- বিশেষ করে কভিড-১৯ মোকাবেলা, জলবায়ু পরিবর্তন, পারমাণবিক কর্মকাণ্ড রোধ, সন্ত্রাসবাদ, সাইবার নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি ও আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চীন। সম্প্রতি চীনের অন্যতম কূটনীতিক ইয়াং জিয়াচি চীন-মার্কিন সমন্বয় ও সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে এই বিষয়গুলোয় গুরুত্ব দিয়ে একটি রূপরেখা দিয়েছেন। সেইসাথে তিনি আফগানিস্তান, কোরীয় উপদ্বীপ ও মধ্যপ্র্যাচ্যের ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কাজ করার সম্ভাবনাও দেখছেন। 

এছাড়া বেইজিং বিশ্বাস করে, চীনা অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, কভিড-১৯ মহামারির অভ্যন্তরীণ মোকাবেলা ও এর আপেক্ষিক সমাজ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মতো বিষয়েও চীন-মার্কিন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে আগ্রহ তৈরি করছে। চীনা নেতৃত্ব কিছু ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি পূরণ করতে পারে। তবে তাইওয়ান, হংকংসহ অভ্যন্তরীণ স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে যুক্তরাষ্ট্রকে নাক গলাতে দেবে না চীন।

সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের আশা

কোনো ক্ষেত্রে বাইডেন চীনকে সহযোগিতা করবে, আবার কোনো ক্ষেত্রে বেইজিংয়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় শামিল হবে ওয়াশিংটন। তাই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে উদ্বেগ থাকবে, তা বলাই বাহুল্য; কিন্তু বেশ কয়েকজন চীনা বিশেষজ্ঞ বাইডেনের জয়কে চীনের জন্য ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।

সম্প্রতি চীনের স্টেট কাউন্সিলের উপদেষ্টা শি ইনহং বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নীতিমালায় চীনের প্রতি বাইডেন বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব রাখবেন বলেই তিনি আশা করছেন।’ 

চীনের রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আমেরিকান স্টাডিজ বিভাগের এই অধ্যাপক আরো বলেন, “বাইডেন প্রশাসনের সাথে ‘যেমন কর্ম তেমন ফল’ প্রবাদ বন্ধের সুযোগ খুব কম থাকবে। বিশ্ব মঞ্চে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও যুক্তরাষ্ট্রের অস্থির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবেশ- দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবে মজবুত করার প্রক্রিয়া আরো কঠিন করে তুলবে।” 

বেইজিং-ওয়াশিংটনকে উদ্দেশ্য করে শি বলেন, ‘সামনের দিনগুলোয় অতীতের ভুলগুলো পুনর্বিবেচনা ও সম্পর্ক উন্নয়ন করার মূল্যবান সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়।’ 

বিশেষজ্ঞরা চীন-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে নিজেদের অভিমত জানিয়ে যাচ্ছেন। তবে সময়ই বলবে, এই দুই শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ কীভাবে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মজবুত করবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //