এশিয়ান গেমসের আগে অ্যাথলেটিক্সের ব্যস্ততা নির্বাচন নিয়ে

সেপ্টেম্বরে চীনের হাংজুতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান গেমস। বাংলাদেশ এই গেমসে ১৭টি ডিসিপ্লিনে অংশ নেবে। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ এই গেমসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন দেশের খেলোয়াড়রা। বাংলাদেশ হকি দল কোরীয় কোচের অধীনে অনুশীলন করছে। অন্যতম সেরা শুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকী জার্মানির হ্যানোভারে গেছেন প্রস্তুতি নিতে। পুরুষ ও নারী ফুটবল দলেরও অনুশীলন চলছে। কিন্তু এশিয়ান গেমসের কথা বিবেচনায় না নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন মেতে আছে নতুন কমিটি গঠনের নির্বাচন নিয়ে। 

অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন দেশের অন্যতম শীর্ষ সংস্থা। তাদের কার্যকলাপে হতাশ ক্রীড়ামোদীরা। এশিয়ান গেমসের মতো বড় আসর যখন সামনে, তখন তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ২৮ কার্যনিবার্হী পদের বিপরীতে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন প্রার্থীরা। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টুর নেতৃত্বে ৪৪টি মনোনয়নপত্র সংগৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মন্টু ও কোষাধ্যক্ষ জামালই শুধু দুটি করে ফরম নিয়েছেন। জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ সমর্থিত মন্টুর প্যানেলে ওয়ালটন, হোসাফ এবং প্রতীক গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের মনোনয়নপত্র রয়েছে। জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ সমর্থিত মন্টুর নেতৃত্বের বাইরে চারটি ফরম ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহ করেছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত অ্যাথলেট ফরিদ খান চৌধুরী। তিনি বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। গত কয়েক বছর ধরে সাধারণ সম্পাদক মন্টুর সঙ্গে তার স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল। আসন্ন নির্বাচনে সেটি প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। ফরিদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন বেলী, সাদাত ও জাফরউল্লাহ। ময়মনসিংহ বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। 

এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত আটটি আসরে পদক পেয়েছে মাত্র ১২টি। এর মধ্যে রয়েছে স্বর্ণপদক মাত্র একটি। সেটা ছিল ২০১০ সালে চীনের গুয়াংজু এশিয়ান গেমসের পুরুষ ক্রিকেট ইভেন্টে। রৌপ্যপদক পেয়েছে মাত্র পাঁচটি। এর মধ্যে কাবাডিতে ১৯৯০ সালের বেইজিং আসর, ১৯৯৪ সালের হিরোশিমা আসর, ২০০২ সালের দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান আসর এবং ক্রিকেটে ২০১০ সালের গুয়াংজু আসরে নারী ইভেন্টে এবং ২০১৪ সালের দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিয়ন আসরে নারী ইভেন্টে। আর ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে ছয়টি। সেগুলো হলো- বক্সিংয়ে ১৯৮৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল আসরে পুরুষ লাইট হ্যাভিওয়েট ইভেন্টে, কাবাডিতে ১৯৯৮ সালের থাইল্যান্ডের ব্যাংকক আসরে পুরুষ ইভেন্টে, ২০০৬ সালের কাতারের দোহা আসরে পুরুষ ইভেন্টে, মহিলা কাবাডিতে ২০১০ সালের গুয়াংজু আসরে, পুরুষ ক্রিকেটে ২০১৪ সালের ইনচিয়ন আসরে এবং মহিলা কাবাডিতে একই আসরে। এই পদকের মধ্যে অ্যাথলেটিক্সে কোনো পদক নেই। তারা খেলায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য কখনো চেষ্টা করে না। এশিয়ান গেমসে পদকবিহীন অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন ব্যস্ত রয়েছে তাদের নির্বাচন নিয়ে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //