ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১০:০৬ এএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১০:২২ এএম
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১০:০৬ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১০:২২ এএম
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামিতে বিপর্যস্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ টোঙ্গার সঙ্গে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। টেলিফোন, ইন্টারনেট, মোবাইল, কেব্ল পরিষেবা কাজ করছিল না।
প্রায় চারদিন পরে গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে খবর পাওয়া যায় ছোট দ্বীপরাষ্ট্রের।
জানা গেল, সমুদ্রের তলদেশে হুঙ্গা-টোঙ্গা-হুঙ্গা-হাপাই আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠার ফলে সুনামির কবলে পড়েছিল টোঙ্গা। টোঙ্গার প্রশাসন জানিয়েছে, অন্তত ৪৯ ফুট উঁচুতে উঠেছিল সেই ঢেউ।
সরকারের দেওয়া ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক খতিয়ান থেকে জানা গেছে, আন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ডুবে গেছে শতাধিক বাড়ি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টোঙ্গার পশ্চিম উপকূল। সুনামির জেরে একটি গ্রাম সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। বহু জায়গায় রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
প্রতিকূলতা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকারীরা একনাগাড়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। টোঙ্গার বহু অঞ্চল এখনও বিচ্ছিন্ন।
গত শনিবার (১৫ জানুয়ারি) প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই ছোট্ট দ্বীপের শেষ খবর মিলেছিল নিউজিল্যান্ডের সৌজন্যে। নিউজিল্যান্ড জানিয়েছে, সমুদ্রের তলদেশে পাতা কেবল্ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিধ্বস্ত। তা ফের চালু করতে অন্তত এক মাস লাগবে।
উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, রাজধানী নুকুয়ালোফাসহ টোঙ্গার বিস্তীর্ণ এলাকা ছাইয়ে ঢাকা। ছাইয়ে ঢেকেছে দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি। তবে অক্ষত রয়েছে।
টোঙ্গায় দেখা দিয়েছে খাবার ও পানির সঙ্কট, আগামী কয়েক দিনে বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বেশ কয়েকটি জাহাজ ও বিমানের। আগ্নেয় ছাইয়ে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দূষিত এবং সুনামিতে ঘরবাড়ি ধ্বংস হওয়ার পাঁচদিন পর গত বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) নিউজিল্যান্ডের একটি বিমান ত্রাণ নিয়ে টোঙ্গায় পৌঁছায়।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, এই বিপর্যয়ের মধ্যে জরুরি সহায়তা চেয়েছে টোঙ্গা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে জাতিসংঘ। ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের পাশাপাশি কতটা সাহায্য প্রয়োজন বুঝতে টোঙ্গার প্রায় সবগুলো দ্বীপেই পৌঁছে গেছেন কর্মীরা।
তিনি আরও বলেন, আগ্নেয় ছাই আর সাগরের লবণাক্ত পানির কারণে ফসল, গবাদিপশু ও মাছের যে ক্ষতি হয়েছে, তার সরাসরি প্রভাব পড়বে অন্তত ৬০ হাজার মানুষের ওপর। বাতাস ও পানিতে যে দূষণ ঘটেছে, তাতে আগামীকে অ্যাসিড বৃষ্টি হতে পারে। ইতিমধ্যে টোঙ্গায় জ্বালানি সঙ্কটও দেখা দিয়েছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : টোঙ্গা সুনামি অগ্ন্যুৎপাত প্রশান্ত মহাসাগর
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh