‘এরশাদকে ক্ষমতা দখলের সুযোগ করে দেন শেখ হাসিনা’

সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ক্ষমতা দখলের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কোনোভাবেই জড়িত কিংবা সংশ্লিষ্ট ছিলেন না বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন সেনাপ্রধান লে. জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে ক্ষমতা দখলের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এরশাদের ক্ষমতা দখলের সঙ্গে খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে সংসদে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য অসত্য। খালেদা জিয়াকে নিয়ে এ ধরনের মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।’

তিনি আরো বলেন, এই সংসদে এরশাদের পর রওশন এরশাদও গৃহপালিত বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব নিয়েছেন।

বিএনপির অঙ্গসংগঠন নারী দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা বলেন।

‘এরশাদকে ক্ষমতা দখল করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্য অসত্য উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এরশাদকে ক্ষমতা দখলের সুযোগ করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন তার দলকে নিয়েই সরকার ক্ষমতা দখল করে আছে। বরাবরই এরশাদের কর্মকাণ্ডের সুবিধা নিয়েছে আওয়ামী লীগ। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে সংসদে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অসত্য বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এরশাদকে সঙ্গে নিয়েই এ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন এবং মানুষের অধিকারকে কেড়ে নিয়েছেন। কারণ বরাবরই তিনি এরশাদকে সঙ্গে নিয়েই অ্যালায়েন্স করেছেন এবং তাঁদের সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করে তাদেরই (জাতীয় পার্টি) বিরোধী দলে বসিয়েছেন। যেটাকে আমরা বলি, এরশাদ হচ্ছে সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনার গৃহপালিত বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন এবং তাঁর মৃত্যুর পরে এখন সেই দায়িত্ব নিয়েছেন রওশন এরশাদ।’

রবিবার সংসদ অধিবেশনে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের মৃত্যুতে আনা শোকপ্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আদালতের রায় অনুযায়ী সাবেক সেনা শাসক জিয়াউর রহমান এবং এইচ এম এরশাদের শাসনামল অবৈধ। এ দুজনের কাউকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করা বৈধ নয়। এই রায়ের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখার সুযোগ হয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৮২ সালে এরশাদকে ক্ষমতা দখল করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।’

খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে প্রতিহিংসামূলকভাবে আটকে রেখেছে সরকার। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তাঁর কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা হচ্ছে না। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।

জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //