যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আরো দুই আসামি মো. আব্দুল করিম (২৪) ও নেছার আহাম্মদ প্রকাশ (২৭) বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ডাকাত নুর মোহাম্মদসহ পাঁচ জন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলো। 

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজনই নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে থাকতেন। বন্দুকযুদ্ধে নিহত আব্দুল করিম (এমআরসি নং- ৪৫৯৫০) নয়াপাড়া রেজিস্টার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের জমির আহাম্মদের ছেলে। নেছার আহাম্মদ প্রকাশ নেছার ডাকাত (এমআরসি নং- ৩৫১২২) (২৭) একই ক্যাম্পের একই ব্লকের সৈয়দ হোসেনের ছেলে। 

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামিরা হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় চাইল্ড ফেন্ডলি স্পেস অফিসের পেছনে পাহাড়ের ওপরে পানির ট্যাংকির নিচে অবস্থান নিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল নিয়ে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রধারী দুষ্কৃতিকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। 

এতে ঘটনাস্থলে এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল নাবিল ও কনস্টেবল রবিউল ইসলাম আহত হন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। ওই সময় গুরুতর আহত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। 

পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকায় তল্লাশি করে আসামিদের বিক্ষিপ্তভাবে ফেলে যাওয়া ২টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ৭ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ এবং ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা জব্দ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট রাতে একদল রোহিঙ্গা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে থেকে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।

হত্যার জের ধরে, ১ সেপ্টেম্বর ভোরে ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ এবং ২৩ আগস্ট মো. শাহ ও আব্দু শুক্কুর নামে আরো দুই আসামি একই এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।