সাত নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, উত্তরাঞ্চলে বন্যা

টানা বৃষ্টির ফলে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে বন্যা শুরু হয়েছে। দ্রুত এই বন্যার ঢেউ লাগতে পারে দেশের মধ্যাঞ্চলেও। ভারতের পূর্বাঞ্চল বা উজান থেকে নেমে আসা পানি, অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে এ বন্যা দেখা দিয়েছে। 

ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তিস্তা, ধরলা, সুরমা, কুশিয়ারা, যদুকাটাসহ ৯টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সোমেশ্বরী, ভুগাই ও কংস নদীর পানিও বিপৎসীমা পার করবে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙনও তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদীতীরবর্তী এলাকায় তিন শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় সড়কও ভেঙে গেছে। আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। বাড়িঘরে পানি ওঠায় বন্যাকবলিত মানুষ গবাদিপশু নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ অথবা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। আমনের বীজতলাসহ পাট, ভুট্টা, কাউন ও শাকসবজির ক্ষেত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি) বলেছে, ইতোমধ্যে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, জামালপুর, সিলেট ও সুনামগঞ্জ বন্যাকবলিত হয়েছে। সিরাজগঞ্জ ও বগুড়াও আক্রান্ত হবে। সবমিলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটবে।

এফএফডব্লিউসির বুলেটিনে বলা হয়, উল্লিখিত নদীগুলোয় বাড়তে পারে পানি প্রবাহ। ফলে উল্লিখিত জেলাগুলোয় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। বর্তমানে বিপৎসীমার সবচেয়ে উপরে বইছে যদুকাটা লরেরগড় পয়েন্টে ১২১ সেন্টিমিটার উপরে। ধরলায় বইছে ৪১ সেন্টিমিটার, তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নুনখাওয়া ও চিলমারিতে যথাক্রমে ২১ ও ৩৫ সেন্টিমিটার উপরে বইছে। যমুনা ফুলছড়ি ও বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ২৫ ও ১৮ সেন্টিমিটার উপরে এবং সুরমা কানাইঘাটে ৪০ ও কুশিয়ারা সুনামগঞ্জে ৪৬ সেন্টিমিটার উপরে বইছে। সাম্প্রতিক দেশকাল পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-


সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলায় টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়তে শুরু করেছে জেলার সব উপজেলার নদ- নদীর পানি। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শনিবার (২৭ জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি  বিপৎসীমার ৪৬ সে.‌মি. উপর দি‌য়ে প্রবাহিত হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৯০ মি‌লিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে পাহাড়ি ঢলে ডুবে গেছে সুনামগঞ্জ-‌বিশ্বম্ভরপুর সড়ক সড়ক, সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ, তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর বাদাঘাট সড়ক ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। এ‌তে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাধারণ মানুষ চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগা‌ন্তি পোহাচ্ছে। ঢলের পানিতে সড়ক ক্ষতিগ্রস্তের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল এলাকার বাড়ি ঘরে পানিতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। আর বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।  

জেলার তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কে চলাচলকারী আমির মিয়া জানান, শুষ্ক মৌসুমে সড়কে মেরামত কাজ না করায় বর্ষা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আর গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে কয়েকটি স্থানে সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌকা নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। সুনামগঞ্জ-বিশ্রম্ভর পুর -তাহিরপুর সড়কের সিএনজি চালক আরিফ মিয়াসহ অনেকেই জানান, এই সড়কের লালপুর, শক্তিয়ারখলার একশত কিলোমিটার, আনোয়ারপুর সড়কসহ কয়েকটি স্থানে পানিতে ডুবে যাওয়ায় যাত্রী নিয়ে চলাচল করা কঠিন হয়ে পরেছে। ফলে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বো‌র্ডের নির্বাহী প্র‌কৌশলী স‌বিবুর রহমান বলেন, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে নদী‌তে পানি বাড়ছে। এই সময়টা‌তে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক। বৃষ্টি বাড়লে পাহাড়ি ঢলের পানি বাড়বে। মাঝারি ধরনের বন্যা হবার সম্ভাবনা রয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ জানান, টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার নিম্ন এলাকায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রগুলো তৈরি রাখার জন্য সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। আর বন্যা পরিস্থিতিতে ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে।


জামালপুর: জামালপুরে হু হু করে বাড়ছে বন্যার পানি। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি কয়েকদিনে ব্যাপকহারে বেড়েছে। এর ফলে নিম্নাঞ্চলের ফসলি ক্ষেত, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে।

এদিকে মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর থেকে ইসলামপুর উপজেলার উলিয়া সড়ক যোগাযোগ বন্যার পানিতে তলিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তীব্র স্রোতে দেওয়ানগঞ্জের মন্ডল বাজার এলাকায় সড়ক ভেঙে পড়ায় দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান, সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্রের পানি ফেরিঘাট পয়েন্টে ১৪.৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা সদরের কিছু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। ইতোমধ্যেই পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শত শত মানুষ। নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে পানিবন্দি মানুষ। সরিষাবাড়ী উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সাতপোয়া, পোগলদিঘা, ভাটারা, পিংনা ইউনিয়নের চরাঞ্চলগুলোর ফসলি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে।

বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের দক্ষিণ চিনাডুলি, দেওয়ানপাড়া, ডেবরাইপ্যাচ, বলিয়াদহ, পশ্চিম বামনা, বেলগাছা ইউনিয়নের কছিমার চর, দেলীপাড়, গুঠাইল, সাপধরী ইউনিয়নের আকন্দপাড়া, পূর্ব চেঙ্গানিয়ারসহ নদীপারের আরও বেশকটি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। পার্থশী, নোয়ারপাড়া ও পলবান্দা ইউনিয়নের লোকালয়ে হু হু করে বন্যার পানি প্রবেশ করছে।

পানি বাড়ার সাথে সাথে যমুনাপাড়ের বেশ কয়েকটি এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। দেওয়ানগঞ্জের চিকাজানী ইউনিয়নের খোলাবাড়ি, বরখাল ও মাদারগঞ্জের জমথলে যমুনা ভাঙছে বাড়িঘর, গাছপালা ও ফসলি জমি ভাঙনের শিকার হয়েছে।

লালমনিরহাট: ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী এলাকার ৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় এসব পানিবন্দি পরিবারগুলো পড়েছে বিপাকে। উঠতি ফসল ডুবে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তিস্তা পাড়ের কৃষকরা। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উজানে ভারতের পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের দিনের ভারি বর্ষণে গত শুক্রবার সকালে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে তিস্তা নদীর বাম তীরে জেলার ৫ উপজেলার ৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তবে শনিবার (২৭ জুন) সকাল ৯টা থেকে তিস্তার নদীর পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শনিবার (২৭ জুন) সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, তিস্তার চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার রাস্তা-ঘাট ডুবে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো। চৌকি ও খাটের উপর মাচাং বানিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন পানিবন্দি পরিবারগুলো। পানির নিচে তলিয়ে গেছে নলকূপ। শুকনো খড়ি না থাকায় এবং চুলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রান্না করে খেতে পারছে না পানিবন্দি পরিবারগুলো। ফলে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে বন্যা কবলিত এলাকায়। অনেকে ঘর বাড়ি ছেড়ে বাঁধের উঁচু স্থানে আবার কেউ কেউ পার্শ্ববর্তী গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। পানিবন্দি পরিবারগুলো চরম বিপাকে পড়েছেন বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, শিশু ও গবাদি পশু পাখি নিয়ে। 

এদিকে তিস্তার বিস্তীর্ণ চরে বাদাম ও ভুট্টাসহ নানান জাতের সবজি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন চরাঞ্চলের মানুষ। অনেকেই গবাদি পশু পালন ও মাছ চাষ করেও সংসারের চাকা সচল রেখেছেন। কিন্তু চরাঞ্চলের চাষিদের উঠতি এসব ফসলের ক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। অনেকের ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। বিশেষ করে বাদাম ক্ষেতে অভাবনীয় ক্ষতি হয়েছে চলমান বন্যায়। চরাঞ্চলের সব থেকে লাভবান ফসল বাদাম এ বছর বন্যায় ডুবে যাওয়ায় ঘরে তুলতে পারছেন না চাষিরা। কেউ কেউ পানিতে ডুবে ডুবে বাদাম সংগ্রহ করলেও তা পচে কালো রং ধারণ করেছে। ফলে চাষাবাদের খরচ তোলা নিয়েও শঙ্কায় চাষিরা। ভুট্টা ক্ষেতেও একই অবস্থা। 

জেলার আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন সলেডি স্প্যার বাঁধ এলাকার চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ করে ৩বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। তার মধ্যে অর্ধেক জমির বাদাম ডুবে ডুবে সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু পানি পাওয়ায় তা পচে কালো রং ধারণ করেছে ও গাছ (অঙ্কুরোদগম) বেড়িয়েছে। বাজারে এ বাদামের চাহিদা থাকবে না। আর বাকি অর্ধেক বন্যার পানিতে ডুবে পলিমাটি জমে তলিয়ে গেছে। এখন আবাদের খরচ উঠবে না। রোদে শুকাতে পারলেও কিছুটা খরচ উঠতো কিন্তু তাও হচ্ছে না টানা বৃষ্টির কারণে। 

একই এলাকার চাষি শাহ আলম জানান, তিনি ঋণ নিয়ে বাদাম চাষ করেছেন। তার ৮০ শতাংশ জমির বাদাম ক্ষেত তিন দিন ধরে বন্যার পানিতে ডুবে আছে। পানিতে ডুবে ডুবে কষ্ট করে বাদাম সংগ্রহ করেও টানা বৃষ্টির কারণে শুকানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাদামের দানা থেকে অঙ্কুরোদগম ঘটছে। দ্রুত তুলতে না পারলে এসব বাদাম আবার পলি পড়ে মাটির নিচে ডুবে যাচ্ছে। ফলে বাদাম ঘরে তোলার স্বপ্ন এবার পূরণ হচ্ছে না বলে তিনি জানান। 

তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ১৮ থেকে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকেল ৩টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত। ব্যারেজ রক্ষার্থে সব জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তবে শনিবার (২৭ জুন) সকাল ৯টা থেকে তিস্তার নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, বন্যায় পানিবন্দি পরিবারগুলোর খোঁজ খবর নিতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা করে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে। ত্রাণ পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে বলেও তিনি জানান।


মুন্সিগঞ্জ: পদ্মা নদী মুন্সিগঞ্জ জেলার ভাগ্যকূল পয়েন্ট এবং রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এসব জেলায় মধ্যমেয়াদি বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর পানি সামান্য বাড়তে পারে। তবে তা বিপৎসীমা অতিক্রম করবে না বলে কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে।

সিলেট : সিলেটের সবকটি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। পানি বাড়ার কারণে নদী তীরের তিনটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। পানিতে তলিয়ে গেছে সারি-গোয়াইনঘাট সড়কসহ গ্রামীণ অনেক সড়ক। এ কারণে শুক্রবার বিকাল থেকে উপজেলা সদরের সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ।

এই পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর অবস্থা নিয়ে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের শনিবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। স্থিতিশীল থাকতে পারে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার বন্যা পরিস্থিতি। এছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কুশিয়ারা, সমেশ্বরী এবং ভুগাই-কংশ নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। যমুনা নদী সারিয়াকান্দি ও কাজিপুর পয়েন্টে এবং ৪৮ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //