জেকেজি কেলেঙ্কারি
করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আজ বুধবার (৫ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।
অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
উল্লেখ্য, গত মার্চে জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার (জেকেজি) বুথের মাধ্যমে বিনামূল্যে করোনা নমুনা সংগ্রহের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি করে। এরপর ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পৃথক ছয়টি স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। এসব এলাকা থেকে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে জেকেজি। তবে সংস্থাটি চুক্তি ভেঙে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে নমুনা সংগ্রহ শুরু করে। এসব নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই মনগড়া রিপোর্ট দেয় জেকেজি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একজন তেজগাঁও থানায় মামলা করে। এরপর গত ২৩ জুন আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১২ জুলাই ডা. সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শফিকুল ও জেবুন্নেসা রিমাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট ডিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৮ আসামির মধ্যে হুমায়ুন কবির হিমু ও তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী আদালতে জবানবন্দি দিয়ে দায় স্বীকার করেন। তাদের ভাষ্যে উঠে আসে- আরিফুল ও তার স্ত্রী সাবরিনার যোগশাজশে তারা করোনার ভুয়া সনদ বিক্রি করছিল। পরে একই তথ্য জানিয়ে শফিকুল ইসলামও জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া আরিফুল হক চৌধুরী ও ডা. সাবরিনাকে রিমান্ডে নিয়ে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শেষ পর্যন্ত ভুয়া টেস্টের কথা স্বীকার করেন তারা।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : সাবরিনা আরিফ জেকেজি হেলথকেয়ার
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh