দেশের একটি ঘরও অন্ধকার থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

মুজিববর্ষে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষে ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আমরা সব ঘরে আলো জ্বালবো। 

তিনি বলেন, দেশের একটি ঘরও অন্ধকার থাকবে না। প্রতিটি ঘর পর্যায়ক্রমে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে। এটা আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি।

তিনি আরো বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো যাবে। ২০০৯ সালে বিদ্যুতের ব্যবহারকারী ছিল ৪৭ ভাগ, আজ ৯৭ দশমিক ৫০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে ৩১টি উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী একইসাথে দুইটি পাওয়ার প্ল্যান্ট, ১১টি গ্রিড সাব-স্টেশন, ছয়টি নতুন সঞ্চালন লাইনও উদ্বোধন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসার পর আমাদের প্রধান চেষ্টা ছিল রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা। শুধু বাতি জ্বেলে বসে থাকা নয়। বিদ্যুৎ থাকলে কর্মসংস্থানের ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে আমরা এ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পেরেছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রাহক বাড়িয়েছি।

সব জায়গায় যাতে বিদ্যুৎ পৌঁছায় সেজন্য সৌর বিদ্যুতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না সেখানে আমরা সোলারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বিশেষ করে চরাঞ্চলে সোলার ব্যবহার যাতে নিশ্চিত হয় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৮ লাখ সোলার দেয়া হয়েছে।

২০৪১ সালের মধ্যে দেশে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, শহরের পাশাপাশি গ্রামের মানুষও যাতে বিদ্যুৎ পায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গ্রামের মানুষ যেন সব সুযোগ-সুবিধা পায়, সে বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে। শুধু শহরের মানুষকে সুযোগ-সুবিধা দিলে হবে না, গ্রামে এখন অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। আমরা বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।

বিদ্যুতে ভর্তুকি ও সাশ্রয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উৎপাদন খরচ কিন্তু বেশি। এখনো ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ যা হয় তার চেয়ে কম দামে সরবরাহ করা হচ্ছে। তাই বলবো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীভাবে ব্যবহার করুন, অপচয় যাতে না হয়। এটা আমার বিশেষভাবে অনুরোধ। মনে রাখতে হবে সব সময় ভর্তুকি দেয়া সম্ভব না। তবু উন্নয়নের স্বার্থে এখনো তা দেয়া হচ্ছে।

মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়ার জন্য সরকার ভর্তুকিসহ সব ধরনের সহযোগিতা করছে বলেও জানান তিনি।

এসময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হন। মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ২৭টি জেলার জনপ্রতিনিধিরাও ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //