কষ্ট নিয়ে দেশ ছাড়লেন ড. বিজন কুমার শীল

কিছুটা কষ্ট নিয়ে সিঙ্গাপুরে ফিরে গেলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনাভাইরাসের কিট উদ্ভাবন দলের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। 

আজ রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোরে সিঙ্গাপুরের একটি ফ্লাইটে ড. বিজন ঢাকা ছাড়েন বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।

বাংলাদেশে জন্ম নেয়া এই বিজ্ঞানী সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ড. বিজন সিঙ্গাপুর ফিরে গেছেন। তবে একেবারে চলে গেলেন, না সাময়িকভাবে গেলেন- তিনি নিজেও জানেন না। কিন্তু তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসতে চান।

সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব পাওয়া বিজন ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে শিক্ষকতা করছিলেন। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে আগের অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি অ্যান্টিজেন্ট ও অ্যান্টিবডি কিটের উদ্ভাবন করেন। তবে তা অনুমোদন দেয়নি সরকার।

গত জুলাইয়ে তার ওয়ার্ক ভিসার মেয়াদ শেষ হয় । তারপর ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো উত্তর দেয়া হয়নি। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে তিনি দেশ ছাড়লেন।

ড. বিজনের স্ত্রী ও দুই সন্তান সিঙ্গাপুরে থাকেন। গত সাত মাস গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ল্যাবে সঙ্গীদের নিয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষণা ও করোনা পরিস্থিতির কারণে সিঙ্গাপুরে যেতে পারেননি। তার ওয়ার্ক পারমিট প্রক্রিয়া কতদিনে সম্পন্ন হবে, তা তিনি জানেন না। এখনো বিশ্বাস করেন তার উদ্ভাবিত অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি কিট সরকারের অনুমোদন পাবে। উৎপাদন শুরুর সময়ে তিনি বাংলাদেশে থাকতে চান।

এর আগে ১৯৯৯ সালে ছাগলের মড়ক ঠেকানো ভ্যাকসিন, ২০০২ সালে ডেঙ্গু ও ২০০৩ সালে সার্চ ভাইরাসের র‌্যাপিড টেস্টের কিট উদ্ভাবন করে আলোচনায় আসেন। চলতি মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতে গণস্বাস্থ্য যখন র‌্যাপিড কিট আবিষ্কারের ঘোষণা দেয় তখন সামনের সারিতে ছিলেন ড. বিজন কুমার শীল।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //