সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় দারিদ্র্য দূর করবো: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার সাথে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশ থেকে দারিদ্র্য বিমোচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি তবে দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না।

তিনি বলেন, সরকার ইতিমধ্যে দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে ও আরো হ্রাস করতে চায়।

আজ শনিবার (৩১ অক্টোবর) ‘মুজিব বর্ষে গৃহহীন মানুষদের ঘর উপহার’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) গৃহহীন মানুষদের মধ্যে ১৬০টি ঘর হস্তান্তরের এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ঘোষণা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তবে করোনাভাইরাসের কারণে এটি করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ও থাকবে।

তিনি বলেন, সরকার সবাইকে সুন্দরভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেবে। ঢাকার বস্তিবাসীদের নিজেদের যার যার গ্রামে পাঠিয়ে দিয়ে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। 

দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এখন সবার পুষ্টি নিশ্চিতের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং মাছ, মাংস, দুধ, ডিমসহ অন্যর উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে।

বিত্তবান লোকদের নিজ নিজ এলাকায় সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সেই অঞ্চলের লোকেরা আরো উন্নত জীবন লাভ করতে পারবে। একা ভালো থাকা মোটেও মানবিকতা নয়।

তিনি আরো বলেন, মুজিব বর্ষে গৃহহীন মানুষদের বাড়িঘর সরবরাহের জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। আমরা মুজিব বর্ষে দেশের প্রতিটি বাড়ি আলোকিত করার উদ্যোগ নেবো, আমরা সে দিকে পরিকল্পনা নিয়েছি ও সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা কাজও করছি।

প্রধানমন্ত্রী এক ইঞ্চি জমিও ফেলে না রাখতে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের কোনো জমি অনাবাদি রাখা যাবে না। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। সরকার কৃষির যান্ত্রিকীকরণের ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার দেশজুড়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠার উদ্যোগও নিয়েছি। করোনাভাইরাসের কারণে জনকল্যাণে সরকারের নেয়া অনেক উদ্যোগ স্থগিত রয়েছে। তবে সরকার কাজ করছে, গ্রামীণ অঞ্চলে আর্থিক সহায়তা যাতে পৌঁছতে পারে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের জন্য কাজ করা তার জীবনের প্রধান লক্ষ্য, কারণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি তার জীবনের সব কিছু হারিয়েছেন। এই দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে সেটা হবে আমার জীবনের সাফল্য। আমি কখনই ভাবিনি যে আমি কী অর্জন করেছি বা পাইনি।  দেশের মানুষকে আমি কি দিতে পারলাম সেটাই আমার কাছে আসল।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //