পূর্বাচলে হবে বিশ্বমানের প্যাক হাউজ ও অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাব

কৃষিপণ্যের রফতানি বাড়াতে পূর্বাচলে বিশ্বমানের সর্বাধুনিক প্যাক হাউজ ও অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাব স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। 

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মিলনায়তনে ‘হর্টিকালচার এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (হর্টেক্স) আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

কৃষিপণ্যের রফতানি বৃদ্ধিতে ‘আধুনিক প্যাক হাউজ সুবিধা এবং অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাবরেটরি নির্মাণ বিষয়ে পরামর্শ ও  কর্মশালায়’ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক প্যাক হাউজ স্থাপনের জন্য পূর্বাচলে  ২ একর জমি কৃষি মন্ত্রণালয়কে  দিয়েছেন। সেখানে  কৃষিপণ্যের  রফতানি বাড়াতে বিশ্বমানের সর্বাধুনিক প্যাক হাউজ এবং অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে। এই প্যাক হাউজ নির্মাণের জন্য দ্রুত উদ্যোগ ও প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এটি নির্মিত হলে ইউরোপ,  মধ্যপ্রাচ্যসহ বিদেশে এদেশের ফলমূল ও শাকসবজি রফতানি বহুগুণ বাড়বে। আর দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হবে কৃষি খাত।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যকরণের দিকে যাচ্ছে। কৃষি অবশ্যই আধুনিক হবে। সেজন্য, একই সঙ্গে কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার বাড়াতে হবে। এটির ক্ষেত্রে অন্তরায় হলো প্যাকেজিং এবং নিরাপদ ফুড হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য সার্টিফিকেটের অভাব। পূর্বাচলে  এই প্যাক হাউজ ও ল্যাব স্থাপিত হলে এসব অন্তরায় দূর হবে। এছাড়া, বিমানবন্দরের কাছে হওয়ায় পণ্য পরিবহন সহজ হবো।’

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনজুরুল হান্নান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব  বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. কামরুল হাছান। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ, গবেষক, ফল ও সবজি রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, ভ্যালু চেইন এক্সপার্ট, ল্যাবরেটরি এক্সপার্ট/বিজ্ঞানী ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাজা ফলমূল ও শাকসবজি রফতানি হচ্ছে। সারা পৃথিবীজুড়ে এ বাজারের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, গ্রিস, জার্মানি, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ, মালয়েশিয়া, হংকং, শ্রীলঙ্কাসহ প্রায় ৪৩টি দেশে তাজা শাকসবজি ও ফলমূল রফতানি হয়ে থাকে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তাজা শাকসবজি ও ফলমূল এদেশ হতে রফতানি হয়েছে। এছাড়া ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের আলু রফতানি হয়েছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //