বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০৩:৩২ পিএম
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:৫৯ পিএম
বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০৩:৩২ পিএম
অনুমতি দেয়ার দুই মাসের মধ্যে এই পদ্ধতিতে দ্রুততম সময়ে নতুন করোনাভাইরাস শনাক্তের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা দেশের ১০ জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
আজ শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
প্রাথমিকভাবে পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, পটুয়াখালী, মেহেরপুর, মুন্সিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, মাদারীপুর ও সিলেটে টেস্ট চালু হচ্ছে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, কভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য পরীক্ষা করানো অনেক জরুরি। যেসব জেলায় পিসিআর ল্যাব নেই সেসব জেলায় অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করছি। এতে অল্প সময়ের মধ্যে টেস্টের রেজাল্ট পাওয়া যায়। পর্যায়ক্রমে দেশের যেসব জেলায় পিসিআর ল্যাব নেই, সেসব জেলায় অ্যান্টিজেন শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, দ্রুত সময়ে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্তের জন্যই এই অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হল। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন,অ্যান্টিজেন পরীক্ষা অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী করা হবে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় কোনো ব্যক্তির যদি নেগেটিভ ফলাফল আসে, তাহলে তাকে আবার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হবে।
অনুষ্ঠানের স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, অ্যান্টিজেন টেস্ট লক্ষণ উপসর্গ দেখা দেয়ার সাত দিনের মধ্যে করা হবে। দেশের ১০টি সরকারি হাসপাতালের ল্যাবে এ টেস্ট করা হবে। এতে পিসিআর টেস্টের ওপর চাপ কমবে। ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে এ পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, পিসিআর টেস্টের সীমাবদ্ধতা হলো এর সেনসিটিভিটি কম তাই ভুল পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অ্যান্টিজেন টেস্টে কোনো রোগী নেগেটিভ হলে ও তার শরীরে করোনার উপসর্গ রয়েছে, তাকে আবার পিসিআর টেস্ট করা হবে।
কারও দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে কি না, তা দ্রুততম সময়ে জানার পদ্ধতি হল অ্যান্টিজেন টেস্ট। এজন্য নাক বা মুখ গহ্বর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন বা আরটি-পিসিআর পদ্ধতি সংক্রমণ শনাক্তে বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। তবে এই পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহের পর ফল পেতে বেশ সময় লেগে যায়, খরচও তুলনামূলকভাবে বেশি। তাছাড়া সব জায়গায় এ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরিও নেই। সেখানে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে আধা ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে কি না।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : করোনাভাইরাস শনাক্ত অ্যান্টিজেন পরীক্ষা
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh