দেশে মাছের উৎপাদন ৫০ শতাংশ বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের কার্যকর ও সময়োপযোগী পদক্ষেপে দেশের মৎস উৎপাদন শতকরা ৫০ শতাংশ বেড়ে দেশ আজ মৎস উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

আজ বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকালে একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আলী আজমের একটি তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।

স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই পর্বটি টেবিলে উত্থাপিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের কার্যকর ও সময়োপযোগী পদক্ষেপে দেশে মাছের উৎপাদন ৫০ শতাংশের অধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। কেননা ২৫ প্রজাতির স্বাদু পানির মাছকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা ও চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পোনা উৎপাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনস্টিটিউটে গবেষণার মাধ্যমে কৃত্রিম প্রজনন, পোনা উৎপাদন ও চাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী স্বাদু পানির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির হারে এবারে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে ও দেশ আজ মৎসে স্বয়ংসম্পূর্ণ। একইসাথে বর্তমানে জনপ্রতি দৈনিক ৬০ গ্রাম চাহিদার বিপরীতে ৬২ দশমিক ২৫ গ্রাম মাছ আমরা গ্রহণ করছি।

তিনি আরো বলেন, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশের জনগোষ্ঠীর শুধু পুষ্টি চাহিদা পূরণ নয়, ব্যাপক কর্মসংস্থান ও বিদেশে মাছ রফতানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করাই তার সরকারের লক্ষ্য। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে মৎস উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৪৩ লাখ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন। যা ২০০৮-০৯ সালের চেয়ে (২৭ লাখ ১ হাজার মেট্রিক টন) ৬২ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় মৎস খাতের উন্নয়নে সরকার গৃহীত পদক্ষেপের উল্লেখ করে বলেন, পাঙ্গাস, শিং,কই, মাগুড় ও তেলাপিয়া মাছের উৎপাদনে উৎসাহ প্রদান এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে দেশের মৎস খাতে নীরব বিপ্লব সাধিত হয়েছে। বদ্ধ জলাশয়ে উৎপাদন বৃদ্ধিও লক্ষ্যে ব্রুড ব্যাংক স্থাপন (তৃতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চীন থেকে আমদানিকৃত সর্বোচ্চ জেনেটিক গুণ সম্পৃদ্ধ সিলভার কার্প, বিগহেডেড কার্প ও প্রাস কার্প মাছের পোনা দেশের ৩৯টি সরকারি হ্যাচারিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সেইসাথে প্রতিবছর দেশব্যাপী পোনা অবমুক্তি কার্যক্রম ও বিল নার্সারি স্থপন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং মাছ চাষের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সারাদেশে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৮৯ হেক্টর জলাশয় সংস্কার ও পূণর্খনন করা হয়েছে। জাটকা নিধন বন্ধ ও ইলিশের জন্য ছয়টি অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠাসহ আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে ও পরে মোট ২২দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। -বাসস

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //