বায়ুুদূষণে গড় আয়ু কমছে মানুষের

নানা ধরনের উদ্যোগের কথা বলা হলেও কমছে না বায়ুদূষণ। ক্রমাগত বাড়তে থাকা ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই একটি ভয়াবহ দুঃসংবাদ দিয়েছে বাতাসের মান যাচাইকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুমান যাচাই-বিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এয়ার ভিজুয়াল’ সংস্থাটি ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রাকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে চিহ্নিত করেছে। 

তাদের জরিপ অনুযায়ী, প্রতিদিনই শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসছে ঢাকা। ১০ জানুয়ারি দূষণের মানমাত্রা ছিল ৫০২, যা গত বছর থেকে অনেক বেশি। সর্বশেষ ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বরে মানমাত্রা উঠেছিল ৪৩০। গত ১১ মাসের বায়ুমান সূচকে বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক দূষণের মাত্রায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় এবং ঢাকা নগরী চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। সম্প্রতি এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশনের (এসডো) আরেকটি গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

এদিকে, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বায়ুদূষণের কারণে শ্বাসযন্ত্রের রোগসহ দেশে প্রায় দুই লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, এটি শুধু স্বাস্থ্যের ঝুঁকি নয়, বরং অর্থনৈতিক ঝুঁকিরও কারণ। বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে বায়ুদূষণ রোধ করা সম্ভব; কিন্তু সচেতনতার অভাবে তা কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না।

বায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই দূষণ কমাতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। এটি কেবল মানব শরীর বা পরিবেশ নয়, মানুষের গড় আয়ুতেও আঘাত করছে। মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান লরেন্স বার্কলি ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি বলছে, রাসায়নিক মিশ্রণ আছে, এমন দূষিত বায়ুর সংস্পর্শে থাকলে চোখ, নাক বা গলায় সংক্রমণ অথবা ক্ষতির কারণ হতে পারে, সেইসঙ্গে ফুসফুসের নানা জটিলতা যেমন- ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়া, মাথাব্যথা, অ্যাজমা এবং নানাবিধ অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

বায়ুদূষণের সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্কও দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ‘মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস’ প্রকল্পের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২.৬ বছর। এক বছর আগে একই সময়ে এ গড় আয়ু ছিল ৭২.৩ বছর। তবে বায়ুদূষণ অব্যাহত থাকলে এই গড় আয়ু এক লাফে নেমে যেতে পারে ৬৭ বছরে! বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ মানুষ দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশ- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালে বসবাস করে। এ চার দেশে বায়ুদূষণের মাত্রাও বেশি। গত এক দশক ধরে ৪৪ শতাংশ বায়ুদূষণ বাড়ায় এ চার দেশের মানুষের গড় আয়ু অন্তত গড়ে পাঁচ বছর কমে যেতে পারে। আর বিশ্বব্যাপী এ গড় আয়ু হ্রাস পেতে পারে কমবেশি তিন বছর। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৩৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণের দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। দেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই দূষণের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে দূষিত বায়ু ঢাকা এবং খুলনা অঞ্চলে। এ দুই অঞ্চলে বসবাসরত মানুষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনের আট গুণ বেশি দূষিত বায়ুতে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন। বিশ্বজুড়ে বাতাসে পিএম-২.৫ বায়ু কণার ২৫ শতাংশ সরবরাহ করছে যানবাহন। ২০ শতাংশ আসছে কাঠ ও কয়লা পোড়ানোর কারণে। এ ছাড়া বায়ুতে ১৫ শতাংশ অতি সূক্ষ্ম পদার্থের জন্য দায়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অন্যান্য শিল্পকারখানা।

আন্তর্জাতিক জার্নাল কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চে প্রকাশিত একটি গবেষণায়, বায়ুদূষণকে ‘মহামারি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যে কারণে সারাবিশ্বে মানুষের গড় আয়ু প্রায় তিন বছর কমেছে। অকালে মারা যাচ্ছে প্রায় ৮৮ লাখ মানুষ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- তেল, গ্যাস, কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উৎপন্ন দূষণ সৃষ্টিকারী কণার প্রভাব মানুষের ফুসফুসে প্রায় এক বছর পর্যন্ত থাকতে পারে। গবেষণার প্রধান লেখক জস লেলিয়েভেল্ড বলেন, জনস্বাস্থ্যের ওপর বায়ুদূষণের প্রভাব ধূমপানের চেয়েও ক্ষতিকর। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে এই ক্ষতি কমানো সম্ভব। মহামারির তুলনায় বায়ুদূষণেই বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু হচ্ছে। ম্যালেরিয়ার তুলনায় ১৯ গুণ এবং এইডসের তুলনায় প্রায় ৯ গুণ বেশি মানুষ বায়ুদূষণের কারণে অকালে মারা যাচ্ছেন। বায়ুদূষণ থেকে কেবল ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন প্রায় ৬ শতাংশ মানুষ। এর প্রভাবে ফুসফুসের অন্যান্য রোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অন্যান্য মহাদেশের তুলনায় এশিয়ায় বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি। বায়ুদূষণের কারণে চীনে ৪.১, বাংলাদেশে ৪.৭, ভারতে ৩.৯ ও পাকিস্তানে ৩.৮ বছর গড় আয়ু কমেছে। 

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বায়ুমান যাচাইয়ের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এয়ার ভিজুয়াল’ বাতাসের মানকে মোট ছয়টি স্কেলে পরিমাপ করে থাকে। এগুলো হলো- গুড, মডারেট, আনহেলদি ফর সেনসেটিভ গ্রুপস, আনহেলদি, ভেরি আনহেলদি এবং হেজার্ডাস (দুর্যোগপূর্ণ)। ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রাকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলেই অভিহিত করেছে এয়ার ভিজুয়াল। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) কিছুদিন পূর্বে ঢাকার ধুলাদূষণ নিয়ে একটি গবেষণা করেছে। এতে দেখা গেছে, ঢাকা শহরের গাছপালায় প্রতিদিন ৪৩৬ টন ধূলিকণা জমে। সে হিসাবে মাসে ১৩ হাজার টন ধুলা জমার হিসাব পেয়েছেন তারা। ঢাকার চারটি পার্ক ও উদ্যানে বিভিন্ন প্রজাতির ৭৭টি গাছের পাতা সংগ্রহের পর এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়।

এসডোর গবেষণায় শহর এবং গ্রামীণ অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক বায়ুদূষণের দিকসমূহ আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, বাহ্যিক বায়ুদূষণের কারণ হলো- নির্মাণ কার্যক্রম (৩৮ শতাংশ), প্লাস্টিক বর্জ্য পোড়ানো (২২ শতাংশ), শিল্প প্রক্রিয়াজাতকরণ (১৭ শতাংশ), ইট ভাটা (১০ শতাংশ), জীবাশ্ম জ্বালানি দহন, সড়ক পরিবহন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন (৮ শতাংশ)। তা ছাড়াও অভ্যন্তরীণ কারণগুলো হলো- রান্নার চুলা থেকে নিঃসৃত ধোঁয়া (৪১ শতাংশ), সিগারেট থেকে নিঃসৃত ধোঁয়া (২৫ শতাংশ), নর্দমা নিষ্কাশন (১৫ শতাংশ), রেডন গ্যাস ও অন্যান্য দূষণকারী পদার্থ (১০ শতাংশ)। মৌসুম পরিবর্তন ও বাতাসের আন্তঃসীমান্ত গতিশীলতাকেও বায়ুদূষণের একটি অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করা হয়। ওই গবেষণায় আরও বলা হয়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার, বিকলাঙ্গতা, শ্বাসযন্ত্রের দুর্বলতাজনিত কারণে মৃত্যু, স্ট্রোক, ফুসফুস ক্যান্সার, ডায়াবেটিসসহ নিউমোনিয়ার মতো ছোঁয়াচে রোগের কারণও বায়ুদূষণ।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘এটি খুবই আশঙ্কাজনক প্রতিবেদন। ঢাকার বাতাসকে দুর্যোগপূর্ণ বলে মনে করেছে সংস্থাটি। আমরা যদি দূষণের মাত্রা কমাতে এখনই পদক্ষেপ না নিই, তাহলে এটি আরও ভয়ংকর হয়ে দাঁড়াবে। ছয় ধরনের পদার্থ এবং গ্যাসের কারণে ঢাকায় দূষণের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। এর মধ্যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ধূলিকণা অর্থাৎ পিএম ২.৫-এর কারণেই ঢাকায় দূষণ অতিমাত্রায় বেড়ছে। ফলে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে উঠছে।’

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি নাসের খান বলেন, ‘কেন ঢাকার বাতাসকে দুর্যোগপূর্ণ বলা হচ্ছে, কেন দূষণ কমাতে পারছি না? এই প্রশ্নটি আমার মধ্যে সবসময় ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা বহুদিন থেকে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে কথা বলছি। সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমরা বিভিন্ন কার্যকরী প্রস্তাব দিয়েছি; কিন্তু সরকার এগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে কি-না। আমি বিশ্বাস করি, সরকার চাইলেই এটি রোধ করা সম্ভব। বায়ুদূষণ প্রতিরোধে অগ্রাধিকার দিয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে। এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প উদ্যোগ নেই।’

বাপার সভাপতির সঙ্গে একমত প্রকাশ করে পরিবেশবিদ ড. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “দেশে বায়ুদূষণ বাড়ছে। অথচ দূষণ কমাতে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে না। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে- এতদিন আমরা বাইরে থেকে আসা বাতাসের সঙ্গে ধুলোবালিকেই দায়ী করেছি বেশি। আজ বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন। আজ পুরো দূষণের কারণ আমরা নিজেরা দূষণ। বড় প্রকল্পের কাজ, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া, আবর্জনা পোড়ানোর ধোঁয়াই মূলত দায়ী। এগুলো বন্ধ করতে হবে। এর জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনকে একযোগে কাজ করতে হবে। প্রতিদিন রাস্তায় পানি ছিটানো দরকার যাতে ধুলাবালি কম থাকে। সিটি করপোরেশন কিন্তু সেই কাজটি সবখানে ঠিকঠাক করছে না। এখনই উদ্যোগ গ্রহণ না করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এ জন্যই ঢাকার বায়ুদূষণকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে।”

তবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি টিম করে। সেই টিমের মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। দূষণ রোধে প্রায় প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া দূষণ রোধে শুধু পরিবেশ মন্ত্রণালয় কাজ করলে হবে না, তাই দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গেও কয়েক দফা সভা করেছি আমরা।’ রাস্তায় পানি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়েও কাজ চলছে। দূষণ শুধু আমাদের জন্যই হয় তা নয়, বাইরে থেকেও বাতাসের সঙ্গে ধূলিকণা আসে। এতেও আমাদের দূষণ বেড়ে যায়। আমরা দূষণ কমিয়ে আনতে যা যা করা দরকার, তা করছি।’

পরিবেশ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বায়ুদূষণের জন্য ২০টি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণগুলো হচ্ছে- ইটভাটা, রাস্তা নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ ও মেরামত, সেবা সংস্থাগুলোর নির্মাণকাজ ও রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, বড় উন্নয়ন প্রকল্প, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বহুতল ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ, সড়ক বা মহাসড়কের পাশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বালু উত্তোলন ও সংগ্রহ, ট্রাক বা লরিতে বালু, মাটি, সিমেন্টসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী উন্মুক্ত অবস্থায় পরিবহন, রাস্তায় গৃহস্থালি পৌর বর্জ্য স্তূপাকারে রাখা ও বর্জ্য পোড়ানো, ড্রেন থেকে ময়লা তুলে রাস্তায় ফেলে রাখা, ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করতে গিয়ে ধুলাবালি ছড়ানো, বিভিন্ন সড়কের পাশে থাকা অনাবৃত স্থান, ফুটপাত ও রাস্তার আইল্যান্ডের মাঝের ভাঙা অংশের মাটি ও ধুলা, ফিটনেসবিহীন পরিবহন থেকে নিঃসৃত ক্ষতিকর ধোঁয়া, বিভিন্ন যানবাহনের চাকায় লেগে থাকা কাদামাটি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি কলোনির ময়লা-আবর্জনা পোড়ানো, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমল ও বাণিজ্যিক ভবনের আবর্জনা ও ধুলাবালি রাস্তায় ফেলে দেওয়া, ঢাকা শহরের দূষণপ্রবণ এলাকার ধুলা, হাসপাতালের বর্জ্য রাস্তায় ফেলা, অধিক সালফারযুক্ত ডিজেল ব্যবহার ও জনসচেতনতার অভাব।

এ ব্যাপারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকায় সরকার নির্মল বায়ুর জন্য শত কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সেই টাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের বহুতল ভবন, সড়কে উন্নতমানের ফুট ওভারব্রিজ, অনেক কর্মকর্তার বিদেশ সফর হয়েছে; কিন্তু সরকারি ওই তথ্য প্রমাণ করছে দূষণ কমেনি, বরং বেড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বেশিরভাগ ইটভাটায় দূষণ নিয়ন্ত্রণের কোনো প্রযুক্তি নেই। সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পগুলোর নির্মাণকাজ করার সময় তাতে ধুলা নিয়ন্ত্রণের ন্যূনতম উদ্যোগ বা পানি পর্যন্ত ছিটানো হচ্ছে না।’

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

বিষয় : বায়ুদূষণ

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //