ফেরি চলাচল বন্ধ, ঘাটে আটকে যাত্রী ও যানবাহন

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখায় বিপাকে পড়েছে ঘরমুখো মানুষ। মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ায় ঘাটে হাজারো মানুষ আর শতশত যানবাহন আটকা পড়ছে।

আজ শনিবার (৮ মে) সকাল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় ভিড় করছেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীর চাপও বাড়ছে। বিআইডব্লিউটিএ সকাল থেকে ঘাট এলাকায় মাইকিং করলেও যাত্রীরা ঘাট থেকে সরছেন না।

বিআইডব্লিটিসির মাওয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, আজ ভোররাত সাড়ে ৩টা থেকে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায়ও ঘরমুখো মানুষের ঢল থামছে না।

এর মধ্যে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যান পারাপারে একটি ফেরি পাটুরিয়া ঘাটে ভেড়াতে গেলে যাত্রীরা দৌড়ে সেখানে ওঠার চেষ্টা করেন। ঘাট পারাপারে মরিয়া হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে দুই ঘাটের এলাকা থেকে কোনো ট্রলার বা স্পিডবোট ছেড়ে যায়নি। ঘাট এলাকায় পুলিশি প্রহরা জোরদার করা হয়েছে।

নদী পারাপারে গতকাল শুক্রবার (৭ মে) ঘরমুখী মানুষের ঢলের কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় শনিবার থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য শুধু রাতে ফেরি চলবে।

এদিকে হঠাৎ ফেরি বন্ধ কেরে দেওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ঘাটে আটকে থাকা গাড়ির চালক ও সাধারণ যাত্রীরা। এছাড়া ঘাট এলাকায় গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে।

বেশ কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেন, ফেরি বন্ধ রাখা হওয়ার বিষয়টি শুক্রবার থেকে জানানো জরুরি ছিল। তাহলে তারা ঘাটে আসতেন না। তাঁদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।

সকালে শিমুলিয়া ঘাটে দেখা যায়, ফেরিগুলো ঘাট থেকে দূরে মাঝ নদীতে নোঙর করা হয়েছে। সকাল সোয়া ৮টায় বাংলাবাজার থেকে সাতটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে একটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে আসে। সাথে সাথে ঘাটে অপেক্ষমান যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে উঠে পড়ে। শত নিষেধ সত্ত্বেও তাদের থামানো যায়নি। পরে ফেরিটি গাদাগাদি করে থাকা মানুষ নিয়েই ঘাটের অদূরে নোঙ্গর করে রাখা হয়। এর কিছু সময় পর ফেরিটি ঘাটে ফিরে লোকজনকে নামিয়ে দেয়।

অনেকে ফেরি ছাড়ার আশায় ঘাট এলাকায় অবস্থান করছেন। ফলে প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।

শফিকুল ইসলাম বলেন, লোকজন ঘাটে ভিড় করলেও লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরি বন্ধ থাকায় পদ্মা পাড়ির কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া ঘাটগুলোতে প্রশাসন সর্তক দৃষ্টি রাখছে। নদীতে নৌ-পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। 

এদিকে সকালে মাওয়া মৎস্য আরতে পাশে পদ্মা নদীতে ট্রলার ভিড়িয়ে লোকজন পারাপারের চেষ্টা করতে দেখা যায়। পরে প্রশাসন টের পেয়ে তা বন্ধ করে দেয় ও ঘাটে আসা লোকজনকে ফিরে যেতে বলে। তাদের কেউ কেউ ফিরে গেলেও অধিকাংশই ঘাটে অবস্থান করছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //