যক্ষ্মা রোগীদের হাজারে ১ জন এইডসে আক্রান্ত: নিপসম

দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে প্রতি এক হাজার জনে একজন এইচআইভি ভাইরাসে (এইডস) আক্রান্ত হচ্ছেন বলে উঠে এসেছে নিপসমের গবেষণায়।

জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) পরিচালিত ‘এইচআইভি সেরো সার্ভে অ্যামাং টিউবারকিউলোসিস পেশেন্টস ইন বাংলাদেশ, ২০১৯-২০২০’ শীর্ষক এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। 

সোমবার (২৮ জুন) সকালে ভার্চুয়াল সভায় জরিপটির সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন গবেষণা দলের প্রধান নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ।

গবেষণায় দেশের চিকিৎসাধীন ১২ হাজার যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে চালানো জরিপে ১২ জন এইচআইভি বা এইডসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে পুরুষ ৬৫ শতাংশ, নারী ৪৩ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গ শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।

দেশে ৩৫ লাখের অধিক যক্ষ্মা রোগী রয়েছে। গত বছর নতুন করে ৩ লাখ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

গত বছর জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় চিকিৎসাধীন রোগীদের কাছ থেকে এই তথ্য নেওয়া হয়েছে। ৯০ হাজার যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে ১২ হাজারের অধিক রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয় গবেষণার জন্য।

গবেষণায় উঠে আসছে, এইচআইভিতে আক্রান্তদের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে। 

যারা এইডস আক্রান্ত, তাদের মধ্যে ৮৩ শতাংশ ফুসফুসের যক্ষ্মায় ভুগছেন। পরিবহন শ্রমিক ও দিনমজুরদের মধ্যে এইডসের প্রাদুর্ভাব বেশি বলে জানাচ্ছে এই গবেষণা প্রতিবেদন।

নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক বায়জীদ খুরশীদ বলেন, ‘যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে যদি এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগী বেশি পাওয়া যায় তবে চিকিৎসায় মারাত্মক ব্যাঘাত তৈরি করবে। দেশে যক্ষ্মা রোগীদের মাত্রা শূন্য দশমিক শূন্য ১ ভাগ এইচআইভিতে আক্রান্ত, যা মোট জনগোষ্ঠীর তুলনায় অনেক কম, এটা স্বস্তিদায়ক।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক শামিউল ইসলাম।

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ১০, ২০, ১০০ বা ২০০ জন করে নতুন রোগী প্রতিবছর শনাক্ত হয়েছে। ২০১৮ সালে নতুন রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬৯ জনে। এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম এক রোগী মারা যায় ২০০০ সালে। ২০১৮ সালে একই রোগে মৃতের সংখ্যা ১৪৮। ২০১৯ সালে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছিল।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //