শনিবার সারা দেশে টিকা পাবে ৩২ লাখ মানুষ

করোনাভাইরাস মহামারি থেকে সুরক্ষা পেতে দেশে আগামী শনিবার (৭ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি। প্রথমদিন ৩২ লাখ টিকা দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে সরকার।

এরই মধ্যে টিকা দিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আবার কোন পর্যায়ে কয়টি করে টিকাকেন্দ্র হবে, কোথায় টিকাকেন্দ্রগুলো করা হবে, তা-ও ঠিক হয়েছে। এ বিষয়ে মাঠপর্যায়ে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল বুধবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অনলাইন সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সভায় প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।

কয়েকদিন ধরে দিনে তিন লাখের মতো করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দিতে কেন্দ্র থাকবে প্রায় ১৪ হাজার।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, প্রতিটি ইউনিয়নে সপ্তাহে দুইদিন নিয়মিত টিকাদান ঠিক রাখা হবে। এর বাইরে তিনদিন করোনার টিকা দেয়া হবে।

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যসচিব ডা. মো. শামসুল হক বলেন, একেক দিন প্রায় ৩২ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ জনকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। কর্মসূচির প্রথমদিন এ রকম পরিমাণ টিকাই দেয়া হবে। সারা দেশে ৮১ হাজার ১৬৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী এ কাজে নিয়োজিত থাকবেন।

এর আগে ১ আগস্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক অনুষ্ঠানে জানান, ৭ থেকে ১৪ আগস্টের মধ্যে সরকার এক কোটি টিকা দিতে চায়। সরকারের হাতে এখন প্রায় সোয়া কোটি টিকা আছে। আরো এক কোটির মতো টিকা এ মাসের মধ্যেই আসবে। 

এ কর্মসূচির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, প্রতিটি ইউনিয়নে দিনে তিনটি ওয়ার্ডের জন্য একটি করে টিকাকেন্দ্র পরিচালনা করা হবে। সেখানে তিনটি বুথ থাকবে। পৌরসভার ক্ষেত্রে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে টিকাকেন্দ্র থাকবে।

এর আগে গত ২৮ জুলাই সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির পক্ষ থেকে টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন পরিকল্পনার নির্দেশনা দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একটি চিঠি পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, টিকাদানকেন্দ্রে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত টিকা দেয়া হবে। শেষ টিকা দেয়ার পর টিকাদান দল এক ঘণ্টা কেন্দ্রে অবস্থান করবে। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের টিকা দেয়া হবে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত বয়োজ্যেষ্ঠ ও নারীদের টিকা দেয়া হবে। এরপরে এলেও তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

টিকা দেয়ার আগে গ্রহীতাদের তথ্য লিপিবদ্ধ করা হবে। নিবন্ধনের পর গ্রহীতাদের টিকা কার্ড দেয়া হবে। এই কার্ড দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার দিন অবশ্যই সাথে আনতে হবে। টিকাকর্মীরা টিকাদানের পর অনলাইন নিবন্ধনসহ টিকার তথ্য লিপিবদ্ধ করবেন। সব তথ্য দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার আগেই হালনাগাদ করতে হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //