ইন্টারনেট সংযোগে এলাকাভিত্তিক ‘খবরদারি’ নয়

সব এলাকায় একাধিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) সেবা দেবে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোনো এলাকায় যদি একটি আইএসপি অন্য আইএসপিকে ঢুকতে বাধা দেয়, সেবা দিতে না দেয় তাহলে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থায় অভিযোগ জানানো যাবে। অভিযোগ পেলে বিটিআরসি ব্যবস্থা নেবে। কোনো লাইসেন্স প্রাপ্ত অপারেটর আরেকটি লাইসেন্স প্রাপ্ত অপারেটরকে বা কোনো পাড়ার আইএসপি অন্য কোনো লাইসেন্স প্রাপ্ত আইএসপিকে সেবা দিতে বাধা দিলেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।

রবিবার (২২ আগস্ট) বিটিআরসি আয়োজিত ‘টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ সম্পর্কিত গণশুনানিতে অভিযোগকারীর প্রশ্নে জবাবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান এই জবাব দেন।

তিনি বলেন, যিনি যে এলাকায় বসবাস করেন সেই এলাকায় যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে আমাদের জানান। আপনার নাম পরিচয় গোপন রেখে বিটিআরসি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কমিশন থেকে বলা হয়, কারা ডিস সংযোগের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে সেসবও খুঁজে বের করা হবে।

তিনি জানান,গত জুন মাস পর্যন্ত ৮৬টি আইএসপিকে প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে এবং ১৪টি আইএসপির ‍বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে

গণশুনানি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে নিবন্ধিত ব্যক্তিরাই অভিযোগ ও প্রশ্ন করতে পারেন। শুনানিতে ২৫টির বেশি প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়।

শুনানিতে অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট, টেলিটকের দুর্বল সেবা, অব্যবহৃত ডেটা ফেরত, ওকলার মোবাইল ইন্টারনেট গতি ইত্যাদি নিয়ে পাঠকরা প্রশ্ন করেন। যেসব প্রশ্নকারীরা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে শুনানি চলাকালে সংযুক্ত ছিলেন না, তাদের প্রশ্নের উত্তর তাদের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

পাঠকের প্রশ্নের উত্তরে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও অন্যরা বলেন, অবৈধ মোবাইল সেট বৈধ করার বিষয়ে কাগজপত্রাদি জমা দেয়া এবং যাচাইয়ের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ৩ মাস সময় পাবেন। তারপর সিদ্ধান্ত হবে মোবাইল ফোনের বিষয়ে। এরই মধ্যে বিটিআরসি পরীক্ষামূলক সময়ে হ্যান্ড সেট বন্ধ করার মতো সক্ষমতা অর্জন করেছে। সিদ্ধান্ত কী হবে তা কমিশন বৈঠকে নির্ধারিত হবে বলে জানানো হয়।

রাষ্ট্রায়ত্ব মোবাইল অপারেটর টেলিটকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ জমা হয় শুনানিতে। উত্তরে বলা হয়, সম্প্রতি একনেকে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্প পাস হয়েছে। টেলিটক নতুন বিনিয়োগ পাচ্ছে। বিনিয়োগ পেলে অপারেটরটি আরও সক্ষমতা অর্জন করবে, ভালো নেটওয়ার্কে উন্নত সেবা পাবেন ব্যবহারকারীরা।

অব্যবহৃত ডাটা (ইন্টারনেট) ফেরতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বলা, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড হলো সেইম প্যাকেজ হলে ডাটা ফেরত দেয়া এবং ডাটা ফরোয়ার্ড করা যাবে। ডাটা ফেরতের বিষয়ে কথা হচ্ছে। কমিটি গঠন করা হয়েছে। সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ইন্টারনেট গতির বিষয়ে ওকলার প্রতিবেদন (মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ১৩৯ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৩৫তম) নিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে রিপোর্টটি কতটা যৌক্তিক, বাস্তবসম্মত। পরে এ বিষয়ে জানানো হবে।

তিনি বলেন, ওকলা সর্বনিম্ন ১৩ এমবিপিএসকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে। বিটিআরসির স্ট্যান্ডার্ড ৭ এমবিপিএস। এটা আমরা রিভিউ করব।

শুনানিতে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত মৈত্রসহ বিভিন্ন বিভাগের কমিশনার, মহাপরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //