বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, এজন্যে ইতোমধ্যেই উপজেলা-জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ঢাকার ২২টি বিশেষায়িত হাসপাতালে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসাবঞ্চিত থাকবেন না।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) দিনাজপুরের বিরল উপজেলার নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা বীরের কণ্ঠে বীরগাঁথা প্রকল্প নিয়েছি। কিছু দিনের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতা রেকর্ড করে সংরক্ষণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও পরিচয়পত্র প্রদানের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এরই মধ্যে টেন্ডার হয়ে গেছে, কার্যাদেশও দেয়া হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে ডিজিটাল সার্টিফিকেট দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বীরনিবাস নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া গত ৭ বছরে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ৩ হাজার টাকা হতে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী এ সময় বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে আহ্বান জানান।
বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, নীলফামারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরীসহ বিরল উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh