২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে দৃঢ় প্রত্যয়ী। ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর এ প্রত্যয় পূরণ হবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জেষ্ঠ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) জাতীয় সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন এই জেষ্ঠ্য সচিব।

বক্তব্যে তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান জিরো টলারেন্স। মাদকের প্রথম ধাপ হলো ধূমপান। সেজন্য ধূমপান নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি।

তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে এই জেষ্ঠ্য সচিব জানান। শিগগিরই এই আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দশ্যমান হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য) কাজী জেবুন্নেছা বেগম।

সভায় মাদক দ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, ই-সিগারেটের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে অন্যান্য দেশগুলোর মতো আমাদেরও উচিত এটি নিষিদ্ধ করা। এছাড়া পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে আগামী প্রজন্মকে রক্ষার্থে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে কাজী জেবুন্নেছা বেগম বলেন, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রত্যেকে যদি যার যার অবস্থান থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন তবে আমি বিশ্বাস করি অচিরেই আমাদের দেশ তামাকমুক্ত হবে।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের ‘তামাক ছাড়ুন, সুস্থ থাকুন’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ তার বক্তব্যে বলেন, তামাক ছাড়তে উৎসাহীদের ও যারা তামাকবিরোধী কাজে সম্পৃক্ত আছেন তাদের এ বিষয়ে ধারণা দিতে উল্লেখযোগ্যভাবে ‘তামাক ছাড়ুন, সুস্থ থাকুন’ বইটি সহযোগিতা করতে পারে।

ওই বইটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও রোগের প্রাথমিক শনাক্তকরণে একটি বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন ইকবাল মাসুদ।

তিনি বলেন, বইটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

জেষ্ঠ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া ও অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য) কাজী জেবুন্নেছা বেগম ‘তামাক ছাড়ুন, সুস্থ থাকুন’ বইটি লেখার জন্য ইকবাল মাসুদকে ধন্যবাদ জানান ও যারা তামাক ছাড়তে চান তাদের জন্য বইটি সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

সভায় যুগ্মসচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিশাখা) নিলুফার নাজনীন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, মাদক দ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরুপ রতন চৌধুরী, ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের হেড অব প্রোগ্রামস- বাংলাদেশ মো. শফিকুল ইসলাম, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।