হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ: ১২ ঘণ্টায় ৫০২ ডায়রিয়া রোগী ভর্তি

১২ ঘণ্টায় ৫০২ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) মহাখালী হাসপাতালে। গতকাল বুধবার (২৩ মার্চ) রাত ১২টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুর ১২টা পর্যন্ত এসব রোগী হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষ।

আগের ২৪ ঘণ্টায় (২৩ মার্চ) একই হাসপাতালে ১ হাজার ২৩৩ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।

আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালটিতে ডায়রিয়া রোগীর ব্যাপক চাপ রয়েছে। এত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন আইসিডিডিআরবির চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে সব চিকিৎসা হচ্ছে বিনা মূল্যে।

হাসপাতালের শয্যার চেয়ে ডায়রিয়া রোগী বেশি। তাই রোগীদের জায়গা দিতে আগেই বাইরে একটি তাঁবু টানিয়ে ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা দিয়ে আসছিল আইসিডিডিআরবি। এখন বাইরে আরও একটি তাঁবু টানিয়ে হাসপাতাল বড় করা হয়েছে।

আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের ২৩ শতাংশ তীব্র ডায়রিয়া বা কলেরার রোগী।

ঢাকা মহানগর ও এর আশপাশের এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আইসিডিডিআরবি বলছে, প্রতিষ্ঠানের ৬০ বছরের ইতিহাসে এত রোগীর চাপ তারা দেখেনি।

আইসিডিডিআরবি সূত্র বলছে, সারা বছর দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ ডায়রিয়া রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে রোগীর সংখ্যা কিছু বাড়ে। সাধারণত মার্চের শেষ সপ্তাহে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে শেষ সপ্তাহে রোগী চূড়ান্তভাবে বাড়ে। কিন্তু এ বছর ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে।

আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহে দৈনিক ৫০০ মতো রোগী আসে। দ্বিতীয় সপ্তাহে দৈনিক রোগী বেড়ে হয় ৬০০। ১৭ মার্চ থেকে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হয়। ২১ মার্চ রোগী ভর্তি হয়েছিল ১ হাজার ২১৬ জন। ২৩ মার্চ ১ হাজার ২৩৩ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীরের পরামর্শ দিয়েছেন, এ সময় পানি ফুটিয়ে বা বড়ি দিয়ে বিশুদ্ধ করে খেতে হবে। হাত না ধুয়ে কোনো খাবার খাওয়া উচিত হবে না। রাস্তার পাশের খাবার ও বাসি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।