ঢাকার মানুষ ঈদের দীর্ঘ ছুটির সুযোগে ছুটছে গ্রামের পথে। ঈদের আগে অধিকাংশ অফিস-আদালতে বৃহস্পতিবার ছিল শেষ কার্যদিবস, সেদিন বিকালেই অনেকে বাড়ির পথ ধরেছিলেন। আজ শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ আরো বেড়েছে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে।
তবে আগের দুদিনের মতই ঠিক সময়ে সব ট্রেন ছাড়তে পারছে না রেল কর্তৃপক্ষ। বেলা ১০টা পর্যন্ত তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে ছেড়েছে।
গত ২৩ এপ্রিল থেকে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেদিন বিক্রি করা হয়েছিল ২৭ এপ্রিলের টিকেট। বুধবার থেকেই ঈদের ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
চিলাহাটি রুটের নীলসাগর এক্সপ্রেস ছাড়ার কথ ছিল সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে। এক ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরি করে বেলা ৭টা ৫০ মিনিটে সেটি ঢাকা ছেড়ে যায়।
রংপুর এক্সপ্রেস ছেড়ে যায় বেলা সোয়া ৯টায়, অর্থাৎ ১৫ মিনিট দেরিতে। সুন্দরবন এক্সপ্রেসও সময়মত ছাড়তে পরেনি।
সকালে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে যাত্রীদের ভিড় ছিল গত কয়েক দিনের চেয়ে বেশি। অনেক যাত্রী দাঁড়িয়েও বাড়িতে যাচ্ছেন। রোজার মধ্যে প্রচণ্ড গরমে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সবাইকে।
রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী আনিতা আক্তার বলেন, দাঁড়িয়ে যাত্রী রাখার ব্যবস্থাটাই সমস্যা। দেখেন অনেকে মাথার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এতে তারও কষ্ট হচ্ছে, আমাদেরও ভোগান্তি হচ্ছে।
সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী আনোয়ার হোসেন যাবেন কুষ্টিয়ায়। তিনি বললেন, প্রতি বছরই ঈদের সময় বাড়ি যেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এবারো ব্যতিক্রম হয়নি। সেজন্য পরিবারের বাকি সদস্যদের আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখন ছুটি শুরু হওয়ায় তিনি নিজেও যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমি চেয়েছিলাম ২৮ তারিখ যেতে। কিন্তু টিকেট পাইনি। পরে ফেইসবুকের একটা গ্রুপে টিকেট পেলাম, কিন্তু দাম চায় এক হাজার টাকা করে, তাই কিনিনি। পরে অনেকটা ভাগ্যক্রমে আজকের টিকেট পেয়েছি। ট্রেনের টিকেট পাওয়া ঝামেলা, বাসে গেলে রাস্তায় যানজট।
সুন্দরবন এক্সপ্রেসের আরেক যাত্রী ফারুখ হাসান বলেন, সকালে ট্রেন ধরতে প্রায় এক ঘণ্টা আগে এসেছেন। কিন্তু ট্রেন ছাড়তে দেরি করেছে। ঈদের সময় এই সমস্যা সব সময় হয়। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে খুব কষ্ট হয়েছে। প্রচণ্ড গরম।
রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা আমিনুল হক বলেন, আজ বেলা ১০টা পর্যন্ত ১৭টা ট্রেন ছেড়ে গেছে। তার মধ্যে ১০টা আন্তঃনগর ট্রেন। যে ট্রেনগুলো দেরিতে এসেছে সেগুলো ছাড়তেও দেরি হয়েছে।
এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, একটা ট্রেন আসলে ফেরত পাঠাতে তো ত্রিশ মিনিট সময় লাগে। এ কারণে ওই তিনটা ট্রেন দেরি হয়েছে। বাকী ট্রেনগুলো সময়মতোই ছেড়ে গেছে।
বিষয় : কমলাপুর ট্রেন ঈদযাত্রা বাংলাদেশ রেলওয়ে
© 2022 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh