বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সহায়তা করবে এফবিআই

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সব ধরনের সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। 

রাজধানী ঢাকার র‌্যাডিসন হোটেলে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস আয়োজিত 'প্রটেক্টিং পাবলিক ইন্টেগ্রিটি: ইনভেস্টিগেটিং অ্যান্ড প্রসিকিউটিং কমপ্লেক্স করাপশন কেসেস' শীর্ষক তিন দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এই সহায়তার আশ্বাস দেন এফবিআইয়ের বিশেষজ্ঞরা। 

বাংলাদেশ কীভাবে এফবিআইয়ের সহায়তা নিতে পারবে এবং সহায়তার জন্য এফবিআইয়ের কোন অথরিটি কীভাবে কাজ করবে সেসব বিষয়েও বিশেষজ্ঞরা ওই কর্মশালায় ব্যাখ্যা তেন।

উল্লেখ্য, ওই প্রশিক্ষণ গত ১৯ থেকে ২১ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দুদকের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা বলেন, এফবিআইয়ের সহায়তার প্রক্রিয়া বাস্তবে রূপ দিতে দুদকের সাথে এফবিআইয়ের প্রাতিষ্ঠানিক আলোচনা হওয়া দরকার। দুদক শিগগিরই এ প্রাতিষ্ঠানিক আলোচনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অন্যথায় এফবিআইয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা পাওয়া যাবে না। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্রিটিক্যাল করাপশন, বৃহৎ দুর্নীতির অনুসন্ধান, মানি লন্ডারিং অনুসন্ধান- এসব বিষয়ের ওপরই প্রশিক্ষণে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কিভাবে পাচার টাকা ফিরিয়ে আনা যায় সেসব বিষয়ে কি কি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় সবকিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এফবিআই বিশেষজ্ঞরা।

প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া দুদকের মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি) এ কে এম সোহেল বলেন, পাচার অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে কি প্রক্রিয়ায়, কাদের সহায়তা চাওয়া যেতে পারে- এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন এফবিআই বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের যেকোনো দেশে বাংলাদেশের পাচার অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে তাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। এসব কাজে দুদক কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তারা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আলোচনা করেছেন।

তিন দিনের প্রশিক্ষণের সময় এফবিআই বিশেষজ্ঞরা অর্থ পাচার নিয়ে বিভিন্ন দেশে তাদের কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। পাচার অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে দুদককে কীভাবে সহায়তা করা যায়- এনিয়ে এফবিআই বিশেষজ্ঞরা কথা বলেন। বাংলাদেশের পাচার অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে দুদককে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের রেসিডেন্ট লিগ্যাল অ্যাডভাইজার সারাহ এডওয়ার্ড ছিলেন প্রশিক্ষণের চিফ কো-অর্ডিনেটর। দুদক মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল প্রশিক্ষণের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। এফবিআই বিশেষজ্ঞসহ আলোচনায় অংশ নেন ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস, ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টিকরাপশন কো-অর্ডিনেশন সেন্টার, অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসিস্ট্যান্সসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা। তিন দিনের প্রশিক্ষণে দুদকের ১৮ তদন্ত কর্মকর্তা, ১২ প্রসিকিউটরসহ মোট ৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //